1. admin@kishorganjeralo.com : kishorganjeralo.com :
  2. admin@shadinota.net : shadinota net : shadinota net
নোটিশ :
ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পর থেকে ফিলিস্তিনের জনসংখ্যার পরিসংখ্যানের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট নবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রাহক পর্যায়ে আবারো বাড়ছে বিদ্যুতের দাম! নলেজ, ভ্যালুজ এবং স্কিলস এই তিনটির সমন্বয়ে হবে আমাদের শিক্ষা : শিক্ষামন্ত্রী রিজার্ভ থেকে আবারও বিলিয়ন ডলার চুরির খবর ভুয়া: বাংলাদেশ ব্যাংক আট লাখ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন প্রধানমন্ত্রীর, ৬ জুন পেশ র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে যা বললেন ডোনাল্ড লু দেশে ‌উইলসন রোগের নতুন ২ মিউটেশন শনাক্ত ২০ বছর পর নতুন প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে সিঙ্গাপুর এসএসসি উত্তীর্ণদের ৬০ হাজার টাকার শিক্ষাবৃত্তি, আবেদন করবেন যেভাবে
ব্রেকিং নিউজ :
ইসরাইল প্রতিষ্ঠার পর থেকে ফিলিস্তিনের জনসংখ্যার পরিসংখ্যানের একটি সংক্ষিপ্ত বিবরণ রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট নবায়নের সিদ্ধান্ত গ্রাহক পর্যায়ে আবারো বাড়ছে বিদ্যুতের দাম! নলেজ, ভ্যালুজ এবং স্কিলস এই তিনটির সমন্বয়ে হবে আমাদের শিক্ষা : শিক্ষামন্ত্রী রিজার্ভ থেকে আবারও বিলিয়ন ডলার চুরির খবর ভুয়া: বাংলাদেশ ব্যাংক আট লাখ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন প্রধানমন্ত্রীর, ৬ জুন পেশ র‍্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ব্যাপারে যা বললেন ডোনাল্ড লু দেশে ‌উইলসন রোগের নতুন ২ মিউটেশন শনাক্ত ২০ বছর পর নতুন প্রধানমন্ত্রী পাচ্ছে সিঙ্গাপুর এসএসসি উত্তীর্ণদের ৬০ হাজার টাকার শিক্ষাবৃত্তি, আবেদন করবেন যেভাবে

বাংলা ভাষা ও শেখ হাসিনা

  • আপডেট সময় : মঙ্গলবার, ৩০ মে, ২০২৩
  • ৮৫ বার পঠিত

বাংলাদেশের সেই রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম, যার স্বীকৃতি পরবর্তীকালে পথ দেখাল সারাপৃথিবীকে, হয়ে রইল এক অবিস্মরণীয় দৃষ্টান্ত।

১৯৫২-এর ফেব্রুয়ারিতে শহীদের রক্তের বিনিময়ে ভাষা আন্দোলন যৌক্তিক পরিণতি লাভ করে।

পূর্ব বাংলার সর্বস্তরের মানুষের মনে এই ভাষা আন্দোলন গভীর ছাপ ফেলে। শেখ হাসিনার শিশুমনের উপরও এর প্রভাব পড়ে।

১৯৫২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু জেল থেকে মুক্তি পেয়ে টুঙ্গিপাড়ায় গেলে শিশুকন্যা শেখ হাসিনা পিতাকে জড়িয়ে ধরে কচিকণ্ঠে ভাষা আন্দোলনের স্লোগান দেন।

অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন: [কারামুক্তির] ‘পাঁচ দিন পর বাড়ি পৌঁছলাম। …হাচু আমার গলা ধরে প্রথমেই বলল, ‘আব্বা, রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই, রাজবন্দিদের মুক্তি চাই। …২১ ফেব্রুয়ারি ওরা ঢাকায় ছিল, যা শুনেছে তাই বলে চলেছে (পৃ. ২০৭)।’ শিশুকাল থেকে লালিত মায়ের ভাষার প্রতি শেখ হাসিনার ভালোবাসার ঐতিহাসিক প্রমাণ মেলে ১৯৯৯ সালে আমাদের শহীদ দিবস রক্তে রাঙানো ২১শে ফেব্রæয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালনের জন্যে ইউনেস্কো কর্তৃক স্বীকৃতি লাভের মধ্যে দিয়ে।

১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। সে জন্য বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকারের আন্তরিক সহযোগিতা ও যথেষ্ট অবদান রয়েছে। মনে হতে পারে যে, এ সবকিছুই ঘটে গেছে রাতারাতি।

কিন্তু এ দিনটিকে ইউনেস্কোর কাছে তুলে ধরতে, তাৎপর্য বোঝাতে, বাস্তবায়নের পথে এগিয়ে নিতে জননেত্রী শেখ হাসিনার যে কত প্রতিকূলতা পার হতে হয়েছে, কত কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে, স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কতটা কাজ করতে হয়েছে তা অনেকেরই অজানা।

২১ ফেব্রুয়ারিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলেন কানাডার দুই বাঙালী প্রবাসী : রফিকুল ইসলাম এবং আব্দুস সালাম। তবে ১৯৯৮ সালে প্রথমে কানাডা প্রবাসী দুইজন বাঙালি  (যাঁদের নামের সঙ্গে কাকতালীয়ভাবে ভাষাশহিদ সালাম ও বরকতের নাম মিলে যায়) তৎকালীন জাতিসংঘ মহাসচিব কফি আনান-এর কাছে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণার জন্যে আবেদন জানান।

তখন জাতিসংঘের পক্ষ থেকে রফিকুল ইসলামকে অন্য কোনো সদস্য রাষ্ট্রের কাছ থেকে একই ধরনের প্রস্তাব আনার অনুরোধ জানানো হয়। তিনি আবদুস সালামকে সাথে নিয়ে একজন করে ইংরেজি, জার্মান, ক্যান্টোনি ও কাচ্চিভাষী সদস্য নিয়ে ‘মাদার ল্যাংগুয়েজ লাভার্স অব দ্যা ওয়ার্ল্ড’ নামে একটি সংগঠন দাঁড় করান এবং আবারও কফি আনানকে চিঠি লিখেন। পরের বছর ইউনেস্কোর পরামর্শে কানাডা, ভারত, হাঙ্গেরি, ফিনল্যান্ড ও বাংলাদেশ এই পাঁচটি দেশের উদ্যোগে প্রস্তাব আনেন এবং প্রস্তাবের পক্ষে ২৯টি দেশের সমর্থন আদায় করেন।

১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে বিশ্বের ১৮৮টি দেশের সমর্থনে অমর একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সাল থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে। জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট সংস্থা বেসরকারী ব্যক্তিদের কাছ থেকে এ প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারেনি। অনুরোধ/প্রস্তাব একটি সদস্য রাষ্ট্র থেকে জমা দিতে হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন এই বিষয়টি জানতে পেরেছিলেন, তখন খুব বেশি সময় বাকি নেই। আসলে, হাতে ছিল মাত্র ২৪ ঘণ্টা। আওয়ামী লীগ সরকার তখন প্রবাসীদের নেতৃত্বাধীন ‘মাতৃভাষা সংরক্ষণ কমিটি’র সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং প্রস্তাবনাটি ১৯৯৯ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ইউনেস্কোর কাছে প্রেরণ করে। জরুরী ভিত্তিতে আমাদের মিশনগুলোকে অন্যান্য সদস্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল; পাশাপাশি এই প্রস্তাবটির জন্য তাদের সমর্থন চাওয়া হয়েছিল।

ফলস্বরূপ, ’৯৯ সালের ১৭ নবেম্বর ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনে প্রস্তাবটি পাস হয়। পরের বছর অর্থাৎ ২০০০ সালে থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে।

১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে বিশে^র ১৮৮টি দেশের সমর্থনে অমর একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০০০ সাল থেকে দিবসটি জাতিসংঘের সদস্য দেশসমূহে যথাযথ মর্যাদায় পালিত হয়ে আসছে।

এই স্বীকৃতি আদায়ের লক্ষ্যে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে ব্যাপক কূটনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এখানে শেখ হাসিনা রচনাসমগ্র-১ থেকে উদ্ধৃতি দেওয়া আবশ্যক। শেখ হাসিনার ভাষায়- ‘১৭ সেপ্টেম¦র [১৯৯৯] জাতিসংঘ সদস্যপদ প্রাপ্তির ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে নিউইর্য়ক যাই। জাতিসংঘে রজতজয়ন্তী উদযাপন করি। জাতিসংঘের মহাসচিব এবং অন্যান্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধানদের সাথে সাক্ষাৎ হয়।

আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনও উপস্থিত ছিলেন। …জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রধানদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ হয়। বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষার জন্য বাঙালি জাতির অবদানের কথা বিশেষভাবে তুলে ধরি। মাতৃভাষাকে আমরা কত ভালোবাসি তা গর্ব ভরে উল্লেখ করি। …নিউইয়র্ক থেকে আমি প্যারিস যাই ইউনেস্কো কর্তৃক শান্তি পুরস্কার গ্রহণের জন্য। ২৪ সেপ্টেম্বর আমাকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়।

ইউনেস্কোর প্রধানের সঙ্গে আলোচনা প্রসঙ্গে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের বিষয়ে আলোচনা করি। ২১ ফেব্রুয়ারির কথাও উল্লেখ করি।

২০০০ সাল থেকে বিশ্বের ১৮৮টি দেশে এই দিনটি পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবেই। কারণ, এ তো শুধু বাংলা ভাষার আন্দোলন নয়, মায়ের ভাষা, গানের ভাষা, আবেগের ভাষা, সাহিত্যের ভাষা পুনরুদ্ধারের চেষ্টায় শহীদদের প্রতিটি রক্তবিন্দু মাতৃদুগ্ধকে করিয়েছিল স্মরণ প্রতিটি বাংলাভাষীর মনে এবং প্রাণে।

ভাষার ঐক্য, সম্প্রীতি, ভাষার মৌলিক অধিকার শিক্ষা, মানসিক ও নৈতিক বিকাশ এবং সর্বোপরি মাতৃভাষার প্রতি ভালবাসা- এই দিকগুলোর প্রতি নজর রাখার সময় এসেছে হয়ত।

আজ পৃথিবীর  ৫০ কোটি মানুষের বাংলা ভাষা কথা বলে। বিশ্ব আজ ভাষা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে আমরা ৭ম অবস্থানে আছি।

আমরা বাঙালি, বাংলা আমাদের মায়ের ভাষা। ভাষার জন্য রক্ত দিয়েছি। স্বাধীনতার জন্য দীর্ঘদিন সংগ্রাম করেছি। রক্ত দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমাদের মহান নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু জাতিসংঘে বাংলা ভাষায় প্রথম ভাষণ দিয়েছিলেন ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর। বিশ্বসভায় বাংলা ভাষা মর্যাদা পেয়েছিল। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০০৯ সালে

দীর্ঘ ৩৫ বছর পর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দিয়েছেন কোনও সরকার প্রধান।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর তারই কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের ৬৪-তম অধিবেশনে বাংলায় এ ভাষণ দেন।
তবে জাতিসংঘের কোনও অধিবেশনে বাংলায় ভাষণদানকারী সরকারপ্রধানদের মধ্যে তৃতীয় ব্যক্তি  শেখ হাসিনা।

 

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 shadinota.net
Design & Development By Hostitbd.Com