বাংলা একাডেমির সভাপতি ও কথা সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন বলেছেন, ভাষাবিজ্ঞানী মুহম্মদ আবদুল হাই বাংলা ধ্বনিবিজ্ঞান-চর্চার পথিকৃৎপ্রতিম ব্যক্তিত্ব। তাকে স্মরণ করে আমরা মূলত নিজেদের ঋণ স্বীকার করছি।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে ভাষাবিজ্ঞানী মুহম্মদ আবদুল হাইয়ের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সেলিনা হোসেন এসব কথা বলেন। বাংলা একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে সভাটির আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। ‘সাংগঠনিক ভাষাবিজ্ঞানী মুহম্মদ আবদুল হাই’ শীর্ষক বক্তৃতা করেন আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক অধ্যাপক হাকিম আরিফ।
মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, মুহম্মদ আবদুল হাই বাংলা ভাষা ও সাহিত্য চর্চার এক প্রণম্য নাম। তিনি তার অসাধারণ মেধা, পাণ্ডিত্য ও পরিশ্রমের মাধ্যমে বাংলা ধ্বনিবিজ্ঞান ও ধ্বনিতত্ত্বকে বিশ্লেষণ করে ভবিষ্যৎ গবেষকদের ভাষা ও সাহিত্য চর্চার পথকে প্রশস্ত করেছেন।
অধ্যাপক হাকিম আরিফ বলেন, মুহম্মদ আবদুল হাই উপলব্ধি করেছিলেন- শুধু ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গিজাত ভাষাতত্ত্বের তত্ত্ব ও পদ্ধতি দিয়ে ভাষার ভেতরকার সংগঠনসূত্রটি উন্মোচন করা সম্ভব নয়। এজন্য দরকার সাংগঠনিক ভাষাবিজ্ঞানের কৌশল ও পদ্ধতিতে দক্ষতা অর্জন করা।
তিনি বলেন, ‘ধ্বনিবিজ্ঞান এবং বাংলা ধ্বনিতত্ত্ব’, ‘রাজনীতি ও তোষামোদের ভাষা’, ‘প্রাথমিক বাংলা ব্যাকরণ’ এবং ‘A Phonetic And Phonological Study of Nasals and Nasalization in Bengali’ গ্রন্থের মধ্য দিয়ে মুহম্মদ আবদুল হাই সাংগঠনিক ভাষাবিজ্ঞানের অনন্য ভিত্তি স্থাপন করেছেন।
Leave a Reply