উৎসবমুখর পরিবেশে দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদে অনুষ্ঠিত হলো নির্বাচন। এর মধ্যে বিভিন্ন জেলায় গণনা শেষে বেসরকারিভাবে ফল ঘোষণা করা হয়েছে। ৩১টি জেলার মধ্যে রাজশাহী, মাগুরা, নেত্রকোণাসহ ১৯ জেলায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও ১১টিতে স্বতন্ত্র এবং দিনাজপুর নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় পার্টির এক প্রার্থী।
উৎসবমুখর পরিবেশে দেশের ৫৭টি জেলা পরিষদে অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন। সকাল ৯টায় শুরু হয়ে ভোট চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। প্রতিটি উপজেলা সদরের ভোটকেন্দ্রে এবার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে ভোট হয়েছে।
ভোট শেষে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, গাইবান্ধা ভোটের ইতিবাচক প্রভাব জেলা পরিষদ নির্বাচনে পড়েছে। দেশব্যাপী জেলা পরিষদ নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে সন্তোষ জানান সিইসি। কোথাও কোন অনিয়ম হয়নি বলেও জানান তিনি। ভোটাররা যেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেই লক্ষ্যে কাজ করেছে ইসি।
চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদসহ ২১ পদের বিপরীতে রয়েছে ৭০ জন প্রার্থী। সোমবার সকাল থেকে ১৫ উপজেলায় এ নির্বাচন ঘিরে উৎসবমুখর পরিবেশ। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে প্রতিটি কেন্দ্রে ছিল ৩টি করে সিসিটিভি ক্যামেরা।
খুলনায় জেলা ও সিটি কর্পোরেশনের ১০ টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় ভোট। সকালে ভোটার উপস্থিতি কিছুটা কম থাকলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়ে এ সংখ্যা।
রাজশাহীর ৯ উপজেলার ১৮টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় ভোট। ভোট নির্বিঘ্ন রাখতে মাঠে রাখা হয় র্যাব, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার বাহিনী।
বরিশালে চেয়ারম্যানসহ ৩ জন ওয়ার্ড সদস্য ও ২ জন সংরক্ষিত সদস্য বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এছাড়া, সিলেটসহ আরো ২৬ জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন চেয়ারম্যান। এসব জেলায় সোমবার ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
Leave a Reply