তেল উৎপাদন কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়ে সৌদি আরব রাশিয়ার পক্ষে অবস্থান নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর জেরে সৌদি আরবকে চড়া মূল্য দিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন’কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই হুঁশিয়ারি দেন জো বাইডেন।
ফাটল ধরেছে দীর্ঘদিনের মিত্র দুই দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের সম্পর্কে। তেল উৎপাদন কমিয়ে আনার ইস্যু নিয়ে দুই দেশের মধ্যে বাড়ছে বৈরিতা ।
সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনর্বিবেচনার ইঙ্গিতও দিয়েছেন বাইডেন। তিনি বলেন, তেল উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে সৌদি আরব।
জো বাইডেন বলেন, তেল উৎপাদন কমিয়ে আনার বিষয়টা দুঃখজনক। আমরা বিকল্প খুঁজে দ্রুত ঘাটতি কমানোর জন্য কাজ করছি। তবে সৌদি আরবের এমন সিদ্ধান্ত খুবই হতাশাজনক। এর মাধ্যমে এটাই বোঝা যায়, যে দুই দেশের মধ্যে কিছু সমস্যা রয়েছে।
এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসনও। রিয়াদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপের দাবি তোলা হয়েছে। এরইমধ্যে সৌদি আরব এবং আরব আমিরাত থেকে মার্কিন সেনা প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন ডেমোক্রেটিক দলের ৩ আইন প্রণেতা। এটি পাস হলে সেনা প্রত্যাহারের পাশাপাাশি প্যাট্রিয়ট এবং টিওডি ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হবে মার্কিন সরকার।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র জন কিরবি জানান, ওপেক এবং সৌদি নেতৃত্বের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের কারণে সৌদি আরবের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পর্যালোচনার বিষয়টি উঠে এসেছে। সৌদি আরব আমাদের জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে কাজ করছে কিনা তা ক্ষতিয়ে দেখা জরুরি।
যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি সত্ত্বেও ৫ অক্টোবর অপরিশোধিত দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন কমানোর বিষয়ে একমত হয় সৌদি আরব ও রাশিয়াসহ ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো। এই ঘোষণার পরই বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়তে শুরু করে।
Leave a Reply