মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সাথে শিগগিরই পতাকা বৈঠক করবে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের(বিজিবি)। এরমধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন শেষে বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ এ কথা জানান।
গত রাত থেকে সোমবার সকাল পর্যন্ত কক্সবাজারের উখিয়ার আঞ্জুমান সীমান্তে থেমে থেমে শোনা যায় গুলির শব্দ। টানা কয়েক দিন সীমান্ত পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক থাকলেও হঠাৎ ভারী অস্ত্রের গোলাগুলির শব্দে আতঙ্কে স্থানীয়রা।
এর মধ্যে সোমবার ঘুমধুমের তমব্রু সীমান্ত পরিদর্শন করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ- বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল সাকিল আহমেদ। পরে রেজুপাড়া বিওপিতে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তিনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে সীমান্তে বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে জানিয়ে মহাপরিচালক বলেন, মর্টারশেল নিক্ষেপ, আকাশ সীমা অতিক্রমসহ প্রত্যেকটি ঘটনায় তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। দ্রুত মিয়ামনমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজিপির সাথে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান বিজিবি প্রধান।
গত দুই মাস ধরে বান্দরবানের ঘুমধুম ইউনিয়নের তমব্রু, কোনার পাড়া, উত্তর পাড়া, বাইশফাঁড়ি ও চাকমা পাড়াসহ উখিয়া এবং টেকনাফের বিভিন্ন সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তরে দেশটির সরকারি বাহিনীর সঙ্গে আরাকান আর্মির সংর্ঘষ চলছে।
এই পরিস্থিতিতে মিয়ানমার দিক থেকে ছোড়া মর্টার শেলসহ বিভিন্ন গোলাবারুদ বাংলাদেশে এসে পড়েছিল। মিয়ানমারের জেট ফাইটার হেলিকপ্টারও কয়েকবার আকাশসীমা লংঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে।
মিয়ানমার সেনাবাহিনীর ছোড়া মর্টার শেলের আঘাতে ঘুমধুমের কোনার পাড়া সীমান্তের শূণ্যরেখার ক্যাম্পে এক রোহিঙ্গা শিশু নিহত এবং পাঁচজন আহত হয়।
সীমান্তে গোলাগুলির এসব ঘটনায় ঢাকায় মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূতকে বেশ কয়েকবার তলব করে প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
Leave a Reply