এ বছর শান্তিতে যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেল বেলারুশের মানবাধিকারকর্মী অ্যালেস বিয়ালিয়াৎস্কি, রাশিয়ার মানবাধিকার সংগঠন মেমোরিয়াল ও ইউক্রেনের মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিস। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বিকাল ৩টায় এ পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
নোবেল কমিটি বলছে, যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের তথ্য-প্রমাণ তুলে ধরার তাদের ভূমিকা অসাধারণ। শান্তি আর গণতন্ত্রের জন্য নাগরিক আন্দোলন কতটা জরুরি, সম্মিলিতভাবে তারা সেটাই দেখিয়েছেন।
পুরস্কার ঘোষণার সময় বলা হয়, নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীরা নিজ দেশে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিত্ব করেন। তারা বহু বছর ধরে ক্ষমতার সমালোচনা এবং নাগরিকদের মৌলিক অধিকার রক্ষার কাজ করছে। তারা যুদ্ধাপরাধ, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং ক্ষমতার অপব্যবহার নথিভুক্ত করার জন্য অসামান্য অবদান রেখেছে।
তিনি ১৯৯৬ সালে ভিয়াসনা নামে এক সংগঠন প্রতিষ্ঠা করেন। সংগঠনটি রাজনৈতিক বন্দীদের বিরুদ্ধে কর্তৃপক্ষের নির্যাতনের প্রতিবাদ করে আসছে। বিলিয়াতস্কি ২০২০ সাল থেকে বিনাবিচারে আটক রয়েছেন। তা সত্ত্বেও বেলারুশের মানবাধিকার ও গণতন্ত্রের জন্য তার লড়াই অব্যাহত রয়েছে।
বেলারুশের কারাবন্দী মানবাধিকারকর্মী অ্যালেস বিয়ালিৎস্কি বর্তমানে বিচারপূর্ববর্তী বন্দিদশায় আছেন। ১৯৯৬ সালে বেলারুশে মানবাধিকার সংগঠন ভায়াসনা’ হিউম্যান রাইটস কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠা করেন অ্যালেস বিয়ালিৎস্কি। ভায়াসনা শব্দের অর্থ বসন্ত। বেলারুশের শাসক আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কোর বিরুদ্ধে বিক্ষোভকারীদের ওপর চালানো হত্যাযজ্ঞ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছিল অ্যালেস বিয়ালিৎস্কির মানবাধিকার সংগঠন ভায়াসনা।
২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউক্রেনের মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর সিভিল লিবার্টিজও এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কার পেতে যাচ্ছে। চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনের ক্রিমিয়া ও দনবাসে ঘটে যাওয়া মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে কাজ করে আসছে সংগঠনটি।
পুরস্কার হিসেবে এক কোটি সুইডিশ ক্রোন পাবেন শান্তিতে নোবেলজয়ীরা। ডিসেম্বরের ১০ তারিখে আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুবার্ষিকীতে তাদের হাতে পুরস্কার ও অর্থ বুঝিয়ে দেওয়া হবে।
এর আগে গত বছর শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন দুই সাংবাদিক। তারা হলেন ফিলিপিনের মারিয়া রেসা ও রুশ সাংবাদিক দিমিত্রি মুরাতভ।
১৯০১ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে ১০২ বার। এর মধ্যে বিশ্বের সংকটপূর্ণ নানা ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২৫ বার শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয় বিভিন্ন সংস্থাকে।
পাঠকের মন্তব্য
Leave a Reply