1. admin@kishorganjeralo.com : kishorganjeralo.com :
  2. admin@shadinota.net : shadinota net : shadinota net
ব্রেকিং নিউজ :

আলোচনায় ডাকসু নির্বাচন, ‘রোডম্যাপ’ নিয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোতে বিভক্তি

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৪ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৩৬ বার পঠিত

নতুন বছরের শুরুতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের দাবি উঠেছে। সব সক্রিয় ছাত্রসংগঠনগুলো নির্বাচনের ব্যাপারে একমত হলেও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা নিয়ে তাদের মধ্যে বিভক্তি দেখা দিয়েছে। স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদ ও ছাত্রশিবিরসহ কয়েকটি ছাত্রসংগঠনের দাবি, দ্রুততম সময়ের মধ্যেই ডাকসু নির্বাচন দিতে হবে। রোডম্যাপ ঘোষণার জন্য তারা সময় বেঁধে দিয়ে এরইমধ্যে দুই দফায় আল্টিমেটামও দিয়েছে। তাদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি অংশও। আর ছাত্রদল, ছাত্র ফেডারেশনেসহ অন্য কয়েকটি ছাত্রসংগঠন বলছে, নির্বাচন দিতে হবে। তবে তার আগে ডাকসুর বর্তমান ‘অগণতান্ত্রিক’ গঠনতন্ত্র সংস্কার করে তারপর নির্বাচনি রোডম্যাপ ঘোষণা করতে হবে।

ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে গত ১ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি জমা দেয় স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদ, ছাত্রশিবিরসহ চারটি ছাত্র সংগঠন। সেদিন তারা এই দাবি বাস্তবায়নের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ‘দুই কার্যদিবস’ সময়ও বেঁধে দেন। পরের দিন সন্ধ্যায় সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভা চলাকালে বাইরে একই দাবিতে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীদের’ ব্যানারে শিক্ষার্থীদের একটি দল স্লোগান দিতে থাকে। অপরদিকে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল নেতাকর্মীদের পক্ষ থেকে এখনই ডাকসু না দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

সেদিন সন্ধ্যা ৬টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের সামনে শুরুতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা এবং পরে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা জড়ো হন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা সিন্ডিকেটে আওয়ামীপন্থিদের অংশগ্রহণের বিরুদ্ধে এবং দ্রুত ডাকসু নিশ্চিতের দাবিতে স্লোগান দেয়। এসময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরাও সিন্ডিকেটে আওয়ামীপন্থিদের রাখা নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সিনেটের সামনে আসেন।

ডাকসু নিয়ে সিন্ডিকেটে যেন কোনও আলোচনা না হয়, সে বিষয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের সঙ্গে কথা বলেন। এসময় সূর্য সেন হল ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক আবিদুর রহমান মিশু উপাচার্যকে উদ্দেশ করে বলেন, ক্যাম্পাসে ছাত্রদল এখনও রাজনীতি শুরুই করতে পারেনি। অস্থিতিশীল এক পরিবেশে বিভিন্ন জন বিভিন্ন ব্যানারে রাজনীতি করছে। এমন পরিস্থিতিতে কোনও পক্ষের চাপের মুখে অনির্বাচিত সিন্ডিকেট সদস্যদের সভায় এখনই ডাকসু নির্বাচন নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে না।

সেদিন একদিকে কিছু শিক্ষার্থী ডাকসু চেয়ে স্লোগান দেয়। অন্যদিকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা এখনই ডাকসুর বিষয়ে আলোচনা না করার দাবি তোলেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান সিন্ডিকেটে আওয়ামীপন্থিদের প্রসঙ্গে বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আজকের সিন্ডিকেটে আওয়ামীপন্থিদের রাখা হয়নি। নিয়ম মেনে সিন্ডিকেট থেকে আওয়ামীপন্থিদের অনেককেই বাদ দেওয়া হয়েছে। প্রশাসনিক কার্যক্রমের অগ্রগতির জন্য সিন্ডিকেট সভা করতে হচ্ছে বলে তিনি শিক্ষার্থীদের সহায়তা কামনা করেন।

সেসময় ডাকসু প্রসঙ্গে উপাচার্য বলেন, ‘আজকের (বৃহস্পতিবার) সিন্ডিকেট সভার এজেন্ডার মধ্যেই ডাকসু সংক্রান্ত কিছু নেই। ডাকসুর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কমিটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সবার সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সবার ঐকমত্য না হলেও বৃহত্তর অংশের সমর্থন নিয়েই আমরা এগিয়ে যাবো।’

এ ঘটনার পর বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে রাত পৌনে ১টার দিকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে ‘আল্টিমেটাম’ দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার। সবশেষ শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) ডাকসু নির্বাচনের দাবিতে ‘ডাকসু চাই আন্দোলন’ নামে একটি প্লাটফর্ম তৈরি করে মাহিন সরকারসহ শিক্ষার্থীদের একটি অংশ ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে উপাচার্যকে স্মারকলিপি দেয়।

‘ছাত্রদল উপাচার্যকে হেনস্তা করেছে’ এমন অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। অবশ্য এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদল। শাখা সভাপতি সাহস চন্দ্র রায় গণেশ ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন যৌথ বিবৃতিতে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভাকে কেন্দ্র করে ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ সমর্থিত সিন্ডিকেট সদস্যদের অংশগ্রহণ নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রতিবাদ জানানোর পর থেকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের নানান প্রোফাইল, পেজ ও গ্রুপে বিভ্রান্তিকর, ভিত্তিহীন ও মনগড়া তথ্য পরিবেশন করা হচ্ছে বলে পরিলক্ষিত হয়েছে। এসব বিভ্রান্তিকর, ভিত্তিহীন ও মনগড়া সংবাদ প্রচারের বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি ডাকসু বিষয়ে ছাত্রদলের অবস্থান নিয়ে কাউকে বিভ্রান্ত না হতে এবং সংবাদমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সঠিক তথ্য যাচাই করে প্রচার করতে আহ্বান জানাচ্ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ছাত্রদলের যে গণতান্ত্রিক প্রতিজ্ঞা, সে অনুসারে ডাকসু নির্বাচন শিক্ষার্থীদের গণতান্ত্রিক অধিকার। সেটিকে ছাত্রদলও নিজেদের প্রাণের দাবি হিসেবে বিবেচনা করে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে নিয়মিত আলোচনায় বারবার ডাকসু সংস্কার ও নির্বাচনের বিষয়টি নিয়ে দাবি জানিয়ে এসেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বর্তমানে ডাকসু’র গঠনতন্ত্র সংস্কারের বিষয়ে ছাত্র সংগঠনগুলোসহ সব অংশীদারের প্রস্তাবনা আহ্বান করেছে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলও তাদের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে নিয়মিত আলোচনার মাধ্যমে ডাকসু’র উপযুক্ত সংস্কার ও নিয়মিত নির্বাচন চালু করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সর্বোচ্চ সহযোগিতার মনোভাব পোষণ করছে। এরপরও ‘ছাত্রদল ডাকসু চায় না’, ‘তারা চায় ডাকসু দেরিতে হোক’ এরকম বিভ্রান্তিকর, ভিত্তিহীন ও মনগড়া শিরোনামে সংবাদ প্রচার করা নিতান্তই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হীন একটি চক্রান্তের অংশ বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে।

দ্রুত ডাকসু নির্বাচন চাওয়া ছাত্রসংগঠনের মধ্যে একটি ‘স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদ’-এর কার্যকরী সদস্য তামিম আহসান বলেন, ‘আমরাই প্রথম দ্রুত ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবি জানিয়েছি। আমাদের সঙ্গে আরও তিনটি ছাত্রসংগঠন ছিল। ভিসি স্যারের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। স্যার নিজেও চান সবার সঙ্গে আলোচনা করে রোডম্যাপ ঘোষণা করে হাঁপ ছেড়ে বাঁচতে। রবিবার আমাদের আল্টিমেটাম শেষ হবে।’

তবে বর্তমান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) গঠনতন্ত্র ‘অগণতান্ত্রিক’ দাবি করে সেটি সংস্কারের পর দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার কথা বলছে অধিকাংশ ছাত্র সংগঠন। একই সঙ্গে যারা ‘এখনই নির্বাচন’ চাইছেন, উত্তেজিত না হয়ে তাদের ‘সংস্কার সাপেক্ষে দ্রুততম সময়ে নির্বাচনের‘ কথা বলার আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্র নেতাদের কেউ কেউ।

বর্তমান গঠনতন্ত্র আলোকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচন একপেশে হওয়ার আশঙ্কা বেশি বলেও মনে করছেন শিক্ষার্থীদের এই অংশটি। তাদের অভিযোগ, এই গঠনতন্ত্রে ২০১৯ সালে প্রহসনমূলক ডাকসু নির্বাচন হয়েছে। তাই তারা আগে ডাকসু গঠনতন্ত্রের সংস্কার চান। সেটা দ্রুততম সময়ে সংস্কার করার পরেই নির্বাচন। তবে এই সংস্কার ‘কত দ্রুত’ হবে, তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ওপর নির্ভর করবে বলেও জানিয়েছেন তারা।

গণতান্ত্রিক ছাত্র জোটের আহ্বায়ক সালমান সিদ্দিকী বলেন, ‘আমরা চাই, অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন করতে হবে। দীর্ঘদিন ধরে ডাকসু বন্ধ থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার পরিবেশ এবং গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছিল। ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের পতনের পর বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে গণতান্ত্রিক ভিতের ওপর দাঁড় করানোর আকাঙ্ক্ষা প্রবল হয়েছে। এর অংশ হিসেবেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচন দিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, তবে নির্বাচনের আগে ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। যাতে সব সংগঠন সমানভাবে প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারে। নির্বাচনের আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে ডাকসু’র গঠনতন্ত্র সংশোধন করতে হবে এবং অগণতান্ত্রিক ধারাগুলো বাতিল করতে হবে। এবারের ডাকসু নির্বাচন যেন ২০১৯ সালের মত প্রহসনমূলক না হয়ে সুষ্ঠু প্রক্রিয়ায় সম্পন্ন হয়—সেদিকে প্রশাসনকে নজর দিতে হবে।‘

বর্তমানে ডাকসুর গঠনতান্ত্রিক যে কাঠামো, সেটিকে ‘মোটেই গণতান্ত্রিক নয়’ বলে মনে করেন সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘এই কাঠামোর মধ্যে নির্বাচন হলে প্রশাসনিক স্বৈরতন্ত্র মাথাচাড়া দেবে। তাই গঠনতন্ত্রের সংস্কার হওয়া জরুরি। সংস্কারের লক্ষ্যে বিভিন্ন অংশীজনদের সঙ্গে কার্যকর আলাপ-আলোচনা শুরু করা দরকার। তারপর আসবে ডাকসুর রোডম্যাপ ঘোষণার কথা।’

‘কত দ্রুত বা কত দেরিতে ছাত্র সংসদ নির্বাচন হবে; তা নির্ভর করবে প্রশাসনের এসব প্রয়োজনীয় উদ্যোগ কেমন গতিতে চলবে, তার ওপর। ডাকসুর গঠনতান্ত্রিক সংস্কার সম্পন্ন করে অবিলম্বে ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়া হোক, এটা আমরা চাই‘, বলেন মোজাম্মেল হক।

ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রাগীব নাঈম বলেন, ‘আমরা গণঅভ্যুত্থান করেছি গণতান্ত্রিক দেশ গড়ার লক্ষ্যে। আর সেজন্য প্রয়োজন আগে প্রয়োজনীয় সংস্কার, তারপর নির্বাচন। দেশ সংস্কারের কথা বললে আগে আসে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার। সেখানে ছাত্র সংসদ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সেখানে আমাদের বিদ্যমান ডাকসুর গঠনতন্ত্রও সংস্কার প্রয়োজন রয়েছে।’

ডাকসুর নির্বাচনের দাবিতে আল্টিমেটাম দেওয়া শিক্ষার্থীদের প্রতি উত্তেজিত না হয়ে, বরং সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনের কথা বলার আহ্বান জানান এই বামপন্থি ছাত্র নেতা। তিনি তাদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘আপনারা উত্তেজিত না হয়ে সংস্কার সাপেক্ষে নির্বাচনের কথা বলুন। তাহলেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব।’

ছাত্র ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক সৈকত আরিফ বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে ডাকসু নির্বাচন বন্ধ আছে। শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা নিয়মিত ছাত্র সংসদ নির্বাচন। নির্বাচনের জন্য ছাত্র সংগঠনগুলো দীর্ঘ আন্দোলনও করেছে। আমরা যত দ্রুত সম্ভব ডাকসুর নির্বাচন চাই। তবে তার আগে ডাকসুর গঠনতন্ত্র ও ‘৭৩ এর অধ্যাদেশের গণতান্ত্রিক সংস্কার করতে হবে।’

ঢাবি প্রশাসন ডাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার গঠনতন্ত্র সংশোধন কমিটির বৈঠক হয়েছে, সেখানে গঠনতন্ত্র সংশোধনে সব সংগঠনের মতামত নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই এবং যত দ্রুত সম্ভব ডাকসুর গঠনতন্ত্রের সংশোধন করে সবার সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে ডাকসু নির্বাচনের দিকে এগোনোর দাবি জানাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি ডাকসু নির্বাচন নয়, বরং আমরা ’৭৩ এর অধ্যাদেশ ও ডাকসুর গঠনতন্ত্রের এমন সংশোধনী চাই যাতে কোনও প্রশাসনই আর কোনও অজুহাতে ডাকসু নির্বাচন বন্ধ করতে না পারে। তাই একটি নির্বাচনকে মুখ্য না করে ডাকসু সবসময় যাতে সচল থাকে সেজন্য ‘৭৩ এর অধ্যাদেশ ও ডাকসুর গঠনতন্ত্রের যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে।’

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সাইমা হক বিদিশা জানান, ‘এটি (ডাকসু) নিয়ে একটি কমিটি হয়েছে এবং ইতোমধ্যে কমিটির একটি সভাও হয়েছে। ডাকসুর নির্বাচন নিয়ে বৃহস্পতিবার সিন্ডিকেট সভার শুরু ও শেষে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে উপাচার্যের কথাও হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত কী, সেটি ডাকসু নিয়ে গঠিত কমিটির পরামর্শ ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে জানানো হবে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 shadinota.net
Design & Development By Hostitbd.Com