1. admin@kishorganjeralo.com : kishorganjeralo.com :
  2. admin@shadinota.net : shadinota net : shadinota net
ব্রেকিং নিউজ :

বিশেষ সিলেবাসে ২০২৬ সালের এসএসসি, দ্বিধাদ্বন্দ্বে শিক্ষার্থীরা

  • আপডেট সময় : রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর, ২০২৪
  • ৩৯ বার পঠিত

নবম শ্রেণিতে বার্ষিক পরীক্ষা দিয়ে এবার দশমে উঠেছে প্রায় ১৫ লাখ শিক্ষার্থী। তারা ২০২৬ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেবে। সাধারণত নবম-দশম শ্রেণিতে একই পাঠ্যবই ও শিক্ষাক্রম পড়ানো হয়। ব্যতিক্রম এ শিক্ষার্থীরা। তারা নবম শ্রেণিতে বাতিল হওয়া ‘নতুন শিক্ষাক্রম’ পড়েছে। দশমে উঠে পড়বে ২০১২ সালে প্রণীত ‘সৃজনশীল শিক্ষাক্রম’।

মাত্র এক বছর পড়ে বসতে হবে এসএসসির মতো গুরুত্বপূর্ণ পাবলিক পরীক্ষায়। তাছাড়া কে বিজ্ঞান বিভাগ নেবে, কে মানবিক, কে বাণিজ্য- সেটাও ঠিক করতে হবে দশম শ্রেণিতে!

কম সময়, ভিন্ন শিক্ষাক্রম মাথায় নিয়ে ২০২৬ সালের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার প্রস্তুতি শুরু করবে শিক্ষার্থীরা। তার ওপর পাঠ্যবই দেরিতে হাতে পাওয়া নিয়ে রয়েছে শঙ্কা। সব মিলিয়ে আগামী বছরের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা ব্যাপক উৎকণ্ঠায়। কীভাবে পাঠ শেষ করানো হবে, তা নিয়ে গভীর চিন্তায় শিক্ষকরাও।

শিক্ষা প্রশাসন অবশ্য ‘সব সামলে’ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কষ্টসাধ্য হলেও ২০২৬ সালে তারা যথাসময়ে (ফেব্রুয়ারি-মার্চ) এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী। তবে শিক্ষা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষার্থীদের জন্য ‘সহজ পদ্ধতি ও প্রশ্নপত্র’ না দেওয়া হলে বড় ফল বিপর্যয় ঘটতে পারে। যাতে ক্ষতির মুখে পড়বে ১৪-১৫ লাখ শিক্ষার্থী।২০২৬ সালের এসএসসি ঘিরে সংকটের সৃষ্টি যেভাবে
‘জাতীয় শিক্ষাক্রম রূপরেখা, ২০২১’ অনুযায়ী—২০২৩ সাল থেকে নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন শুরু করে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার। চলতি (২০২৪) শিক্ষাবর্ষে নবম শ্রেণিতে নতুন এ শিক্ষাক্রম চালু করা হয়। তাতে একদিকে যেমন ছিল না পরীক্ষা পদ্ধতি, তেমনি ছিল না বিভাগ বিভাজনও (বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য)। সবাই একই বই পড়েছে।

‘শুধু এক বছরে কতটুকু একজন শিক্ষার্থী পড়তে পারবে, তা গবেষণা করে এনসিটিবির কর্মকর্তারা একটি সিলেবাস প্রস্তুত করবেন। সিলেবাসটি এমন হবে, যাতে নবম-দশমের বইয়ের মৌলিক শিক্ষাটা তাতে থাকে। পরবর্তী শ্রেণিতে গিয়ে যাতে শিক্ষার্থীদের বড় অসুবিধায় পড়তে না হয়। এ দায়িত্ব এনসিটিবির।’- চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার

২০২৬ সালে এ শিক্ষার্থীদের দিয়েই নতুন ধারার সেই শিক্ষাক্রমে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা নেওয়ার ‘ফায়ার টেস্ট’র পরিকল্পনা হাতে নিয়েছিল তৎকালীন সরকার। সেভাবে তাদের নম্বর বণ্টনের পদ্ধতিও ঠিক করা হয়। বছরের আগস্ট মাস পর্যন্ত নতুন শিক্ষাক্রমের বই ও শিক্ষাপদ্ধতি মেনে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা করেছে।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর সেপ্টেম্বরে নতুন শিক্ষাক্রম বাতিল ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। তারা ২০১২ সালের শিক্ষাক্রমে ফেরার ঘোষণা দেয়। ডিসেম্বরে পুরোনো সৃজনশীল পদ্ধতিতে বার্ষিক পরীক্ষাও নেয়। সেসময় ২০২৬ সালেও সৃজনশীল পদ্ধতিতে প্রচলিত নিয়মে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। তখন থেকেই কীভাবে এক বছর পড়ে শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দেবে তা নিয়ে শুরু হয় ধোঁয়াশা।

মতিঝিল সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০২৬ সালে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা দেবে জান্নাতুল মাওয়া তুলি। তার মা মোমেনা বেগম জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমার একটাই মেয়ে। পড়ালেখায় ভালোই। কিন্তু যত সমস্যা দেখছি ওদের সময়ই হচ্ছে। নতুন কারিকুলামে নাইনে পড়লো। এখন টেনে উঠে পুরোনো কারিকুলাম। কীভাবে পরীক্ষা হবে, কেমন হবে তা নিয়ে মেয়ে সব সময় টেনশন করে। আমাকে জিজ্ঞাসা করে, ওর ছোট খালাকে জিজ্ঞাসা করে। মেয়ের এমন ভয় পাওয়া দেখে আমরাও টেনশনে।’

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 shadinota.net
Design & Development By Hostitbd.Com