আইসিসি (আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত)-এর সদস্য রাষ্ট্রগুলোতে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু প্রবেশ করলে তাদের বাধ্যতামূলকভাবে তাকে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা রয়েছে।
নিচে আইসিসি সদস্য দেশগুলোর সম্পূর্ণ তালিকা দেওয়া হলো, যেখানে তিনি প্রবেশ করলে গ্রেপ্তারের ঝুঁকিতে থাকবেন:
এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর: বাংলাদেশ, জাপান, সাউথ কোরিয়া, মালদ্বীপ, মঙ্গোলিয়া, ফিজি, কিরিবাতি, নাউরু, সামোয়া, ভানুয়াতু।
ইউরোপ:
আলবেনিয়া, অ্যান্ডোরা, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, ক্রোয়েশিয়া, চেক প্রজাতন্ত্র, ডেনমার্ক, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, হাঙ্গেরি, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, মন্টেনেগ্রো, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পোল্যান্ড, পর্তুগাল, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, লিচটেনস্টাইন।
আফ্রিকা:
বতসোয়ানা, বেনিন, বুর্কিনা ফাসো, কেপ ভার্দে, চাদ, আইভরি কোস্ট, কমোরোস, গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, গ্যাবন, গাম্বিয়া, ঘানা, কেনিয়া, লেসোথো, লাইবেরিয়া, মাদাগাস্কার, মালাউই, মালি, মরিশাস, নামিবিয়া, নাইজার, নাইজেরিয়া, সিয়েরা লিওন, দক্ষিণ আফ্রিকা, তানজানিয়া, উগান্ডা, জাম্বিয়া
লাতিন আমেরিকা এবং ক্যারিবিয়ান:
আর্জেন্টিনা, বার্বাডোস, বলিভিয়া, ব্রাজিল, চিলি, কলম্বিয়া, কোস্টারিকা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, ইকুয়েডর, এল সালভাদর, গুয়াতেমালা, গায়ানা, হন্ডুরাস, মেক্সিকো, পানামা, প্যারাগুয়ে, পেরু, সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস, সুরিনাম, ত্রিনিদাদ ও টোবাগো, উরুগুয়ে, ভেনেজুয়েলা
মধ্যপ্রাচ্য এবং অন্যান্য: জর্ডান, ফিলিস্তিন ওশেনিয়া: অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড
এ তালিকায় থাকা যেকোনো দেশে নেতানিয়াহু প্রবেশ করলে তিনি গ্রেপ্তার হওয়ার ঝুঁকিতে থাকবেন, কারণ এই দেশগুলো আইসিসির আইন মেনে চলার জন্য বাধ্য। বিশেষ করে, ইউরোপ এবং আফ্রিকার দেশগুলো আইসিসির আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করে।
তবে অনেক দেশে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক জটিলতার কারণে এই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কার্যকর না হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। যেসব দেশ আইসিসির সদস্য নয় (যেমন: যুক্তরাষ্ট্র, চীন, রাশিয়া, ভারত, ইসরায়েল), সেখানে নেতানিয়াহু নিরাপদ থাকবেন।
Leave a Reply