ব্যাপক দুর্নীতি, লুটপাট ও স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে আর্থিক খাতের অব্যবস্থাপনার জন্য দেশে বিদেশে সমালোচিত হচ্ছিলো বিগত আওয়ামী লীগ সরকার। পাশাপাশি বৈদেশিক বিনিয়োগ, মূল্যস্ফীতি, আন্তর্জাতিক ঋণমানের দ্রুত অবনতিসহ অর্থনীতির অন্যান্য সূচকগুলোও গত কয়েক বছর ধরেই ছিল ক্রমাগত নিম্নমুখী। যা জনমনে ব্যাপক ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি করে, যার পথ ধরেই ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে পতন হয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বিগত সরকারের। শেখ হাসিনার পতনের পর ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলেও শপথ নেয়ার প্রথম দিন থেকেই তাদের পড়তে হচ্ছে একের পর এক চ্যালেঞ্জের সামনে। বিশেষ করে বিগত সরকারের আমল থেকে চলে আসা অব্যবস্থাপনার মোকাবেলার পাশাপাশি বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগ, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি এবং শিল্পাঞ্চলগুলোতে শ্রমিক অসন্তোষের মতো বিষয়গুলো মোকাবিলা করতে হচ্ছে সদ্য দায়িত্ব নেয়া সরকারকে। এর সঙ্গে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে বিগত সরকারের নেয়া নানা ভ্রান্তনীতির বোঝাও বহন করতে হচ্ছে তাদের। সব মিলিয়ে দেশের অর্থনীতি ঘিরে বর্তমান সরকারের সামনে তৈরি হয়েছে বেশ চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি।ফেরাতে হবে বিনিয়োগকারীদের আস্থা
অবশ্য অর্থনীতির বর্তমান নিম্নগামী প্রবণতার দায় মাত্র এক মাস বয়সী সরকারের কাঁধে চাপানো যায় না বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, মূলত বিগত সরকারের আমলে সংঘটিত দীর্ঘদিনের অব্যবস্থাপনার দায়ই চেপে বসেছে বর্তমান সরকারের কাঁধে। সহসাই এই অবস্থা থেকে পরিত্রাণের কোনো সহজ উপায় নেই তাদের সামনে। বরং সরকারের সব স্তরে সুশাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই ধীরে ধীরে এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ সম্ভব হবে। এজন্য সবার আগে প্রয়োজন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির মাধ্যমে শিল্পাঞ্চলগুলোতে মালিক শ্রমিকসহ সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের মধ্যে আস্থার পরিবেশ তৈরি। এর মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা তৈরির মাধ্যমে ফের বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগ ফিরিয়ে আনা সম্ভব।
অবশ্য বিগত সরকারের আমলেও দেশে বিদেশি বিনিয়োগের হতাশাজনক চিত্রই দৃষ্টিগোচর হয়। বিশেষ করে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ছিল হতাশাজনক চিত্র। জিডিপির বিপরীতে বিদেশি বিনিয়োগের হারের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশগুলোর থেকে বেশ পিছিয়ে রয়েছে। ২০২৩ সালে দেশে বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল ৩ বিলিয়ন ডলার।
বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জিডিপির বিপরীতে বাংলাদেশে এই বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ দেড় শতাংশেরও কম। যেখানে শ্রীলঙ্কায় বিদেশি বিনিয়োগ জিডিপির ২০ শতাংশেরও বেশি। অথচ বছর খানেক আগেই অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের মুখে দেউলিয়া হয়েছিল দেশটি। অর্থনীতিবিদদের মতে, চলতি বছরে বিদেশি বিনিয়োগের এই হতাশাব্যঞ্জক চিত্র অব্যাহত থাকবে। এমনকি তা কমে আসতে পারে ২ থেকে ২.৫ বিলিয়ন ডলারে।
বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত করছে শিল্পাঞ্চলের শ্রমিক অসন্তোষ
এদিকে সম্প্রতি গাজীপুর, সাভারসহ বিভিন্ন অঞ্চলে শ্রমিক অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। এই অসন্তোষের কারণে অনেক কারখানা বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তবে ইতোমধ্যে কোনো অঞ্চলে কিছু কিছু কারখানা সচল হলেও উৎপাদনের মাত্রা কমে গেছে। যার ফলে অনেক কারখানার মালিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। চলতি সেপ্টেম্বরের শুরু থেকেই আশুলিয়া, সাভার ও গাজীপুরের পোশাক কারখানা অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে দেখা দিয়েছে শ্রমিক অসন্তোষ। অসংখ্য কারখানায় বন্ধ হয়ে গেছে উৎপাদন ও বিপণন প্রক্রিয়া। বহু কারখানা ভাঙচুরের পাশাপাশি দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়েছে বেশ কয়েকটি কারখানায়। ফলে বর্তমানে হুমকির মুখে দেশের পোশাক খাত। ইতোমধ্যেই মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। ইতোমধ্যেই শিল্পের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ ও খাত সংশ্লিষ্টরা।
তারা বলছেন, অবিলম্বে শিল্পাঞ্চলে এই শ্রমিক অসন্তোষের অবসান না ঘটলে দেশের রফতানি ও বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তা মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। যে কোনো মূল্যে সরকারকে শিল্পাঞ্চলগুলো সচল করতে হবে বলে জানাচ্ছেন তারা। না হলে এই পরিস্থিতি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের প্রতি ভুল বার্তা দেবে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিকে শুধু শ্রমিক অসন্তোষই নয়, বর্তমানে তীব্র জ্বালানি সংকটে ভুগছে অধিকাংশ কারখানা। কারখানা মালিকদের দাবি, বেশি দামে গ্যাসের মূল্য পরিশোধ করে আসলেও চাহিদার মাত্র ৩০ শতাংশ গ্যাস কারখানায় পাচ্ছেন তারা। পাশাপাশি বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণেও ব্যাপকভাবে ব্যাহত হচ্ছে কারখানার উৎপাদন। এ পরিস্থিতিতে অনেক বিনিয়োগ পাইপলাইনে থাকলেও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের অনেকেই বাংলাদেশে এই মুহূর্তে বিনিয়োগ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে পারেন বলে সতর্ক করে দিয়েছেন বিশ্লেষকরা।
এ ব্যাপারে বৈষম্যহীন ও গতিশীল অর্থনীতি তৈরির জন্য সরকারের গঠিত টাস্কফোর্স এর সদস্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক সময় সংবাদকে বলেন, আমাদের অর্থনীতির অনেক পরিসংখ্যানের ক্ষেত্রেই কিন্তু সমস্যা ছিল, যা এখন বের হচ্ছে। রিজার্ভও বেশ কিছুদিন ধরেই কমে যাচ্ছে। আমাদের অর্থনীতির দুটো প্রধান খাত রফতানি ও রেমিট্যান্স এই দুটো যদি স্টেবল হয় তাহলে কিন্তু অর্থনীতি ভালো থাকবে। পাশাপাশি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে দেশের অর্থনীতিতে। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাঁধে অনেক দায়িত্ব। সংস্কারের বিষয় রয়েছে, গভর্নেন্সকে ঠিক করা। বর্তমানে অনেক কারখানায় সমস্যা চলছে, সেগুলোকে ঠিক করা। এগুলোর ওপর নির্ভর করবে অনেকখানি, কীভাবে বিষয়গুলো ঠিক করা যায়। আবার পজিটিভ দিক হচ্ছে, অনেক দেশ বর্তমান সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে, তারা বিনিয়োগ করতে চায়। তবে বিনিয়োগকারীরা আগ্রহ প্রকাশ করলেও তারা বর্তমানে পর্যবেক্ষণ করছে, পরিস্থিতি কোন দিকে যায় সে ব্যাপারে। তারা হয়তো দেখতে চাইবে, সরকার কারখানাগুলোকে কিভাবে স্থিতিশীল করে। এই পরিস্থিতিতে সরকার সব স্টেক হোল্ডারকে সঙ্গে নিয়ে পরিস্থিতি যত দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে, বিনিয়োগের পরিবেশ তত উজ্জ্বল হবে, ততই অর্থনীতির জন্য তা ভালো হবে।
সাম্প্রতিক আন্দোলন সংগ্রাম, বন্যা ও সর্বশেষ কারখানাগুলোতে চলা অস্থিরতার প্রভাব দেশের রফতানি খাতের ওপর পড়ার আশঙ্কা রয়েছে উল্লেখ করে ড. রুমানা হক বলেন, তবে আমাদের দেখতে হবে এই সরকার মাত্র এক মাস হলো দায়িত্ব হাতে নিয়েছে। তাদের কিছুটা সময় তো দিতেই হবে। বিশেষ করে দেশের অর্থনীতির প্রকৃত চিত্র বোঝা, দেশের বাইরে যে টাকাগুলো পাচার হয়েছে সেগুলো উদ্ধার করা, এগুলো একটি প্রক্রিয়া, যার জন্য কিছুটা সময় লাগবে তাদের। এই পরিস্থিতিতে অর্থনীতির হাল ফেরাতে হলে প্রথমে প্রয়োজন সুশাসন নিশ্চিত করা, দেশে স্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করা এবং আর্থিক খাতকে ঠিক করা। তবে আমরা আশাবাদী কেননা আর্থিক খাতে যোগ্য লোককেই দায়িত্ব দিয়েছে বর্তমান সরকার।
তবে দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের প্রবাহ হ্রাসের কারণ হিসেবে ড. রুমানা হক বলেন, দেশে তো একটা পরিবর্তন হয়েছে। যখনই কোথাও কোনো পরিবর্তন হয়, তখন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা একটু অপেক্ষা করে পরিস্থিতি বোঝার জন্য। তারা দেখবে কত দ্রুততার সঙ্গে এবং দক্ষতার সঙ্গে সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে। এ পরিস্থিতিতে যে সমস্ত বিদেশি বিনিয়োগ পাইপলাইনে ছিল, তারা হয়তো আরেকটু সময় নেবে। পাশাপাশি এখনও আমাদের দেশগুলোতে ট্রাভেল অ্যালার্ট রয়েছে। তবে আশার ব্যাপার হলো, মূল্যস্ফীতি কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। পাশাপাশি পুঁজিবাজার, আর্থিক খাতের সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
সরকারের সামনে অনেকেই বিভিন্ন দাবি দাওয়া নিয়ে হাজির হচ্ছেন, এ ব্যাপারে সরকারকে সতর্কতার সঙ্গে পা ফেলতে হবে উল্লেখ করে ড. রুমানা হক বলেন, দাবিদাওয়াগুলো যাচাই-বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সরকারকে সতর্ক হতে হবে। যেগুলো যুক্তিসঙ্গত দাবিদাওয়া সেগুলোকে দ্রুত সমাধান করতে হবে, আর যেগুলো অযৌক্তিক সেগুলোর ব্যাপারেও দ্রুত অবস্থান জানাতে হবে। তবে এই দাবিদাওয়া উত্থাপনের বিষয়গুলো একটি প্রক্রিয়া ও কাঠামোর মধ্যে আনতে হবে, যেন উভয়পক্ষ এগুলো নিয়ে মীমাংসা ও আলাপ আলোচনা করতে হবে। বিশেষ করে শ্রমিক ও মালিক উভয় পক্ষের মধ্যে এই আলাপ আলোচনার পরিবেশ তৈরি করতে হবে। শিল্পাঞ্চলে অসন্তোষ বাড়তে দেয়া যাবে না। এগুলোকে এখনই শ্রমিক মালিক উভয় পক্ষের সঙ্গে মিলে সমাধানের পথে যেতে হবে। সরকারকে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে সতর্কতার সঙ্গে। কারণ কারখানা বন্ধ রাখা যাবে না। পোশাক খাত, ওষুধ, চামড়াসহ সব খাতের কারখানাগুলো চালু রাখতে হবে, অর্থনীতির চাকা বন্ধ রাখা যাবে না। তাহলেই বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে আসবে। তারা দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবে।
বিগত সরকারের সময় আন্তর্জাতিক ঋণমাণ সংস্থার বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং বা ঋণমান কমিয়ে দেয়ার প্রভাবকেও বর্তমান সরকারকে মোকাবিলা করতে হবে উল্লেখ করে ড. রুমানা হক বলেন, ক্রেডিট রেটিং কমে গেলে, তার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব মোকাবিলা করতে হয় একটি দেশকে। সেক্ষেত্রে সরকারকে ধীরে ধীরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও ইতিবাচক বার্তা দিতে হবে। সেক্ষেত্রে হয়তো ঋণমান আবার উন্নতির দিকে যাবে। সব মিলিয়ে সরকারকে এখনই কারখানাগুলোতে কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে, পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে হবে। না হলে বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফেরানো যাবে না।
দেশে বৈদেশিক বিনিয়োগ হ্রাসের বিষয়ে অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবীর বলেন, দেশের বৈদেশিক বিনিয়োগ পরিস্থিতি বর্তমানে খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। এটা স্বাভাবিক অবস্থায় আসতে অনেক সময় লাগবে। বিশেষ করে দেশে যখন শিল্পাঞ্চলগুলোতে অস্থিরতা চলছে। অনেক কারখানা ইতোমধ্যেই বন্ধ হয়ে গেছে। আর এই সমস্যা শুধু পোশাক শিল্পেই নয়, দেশের ওষুধ, চামড়াসহ অন্যান্য খাতেও এর রেশ ছড়িয়ে পড়েছে। এই অবস্থা তো সবাই দেখতে পাচ্ছেন। বিদেশি বিনিয়োগকারীরা তো ঝুঁকিপূর্ণ ও অনিশ্চিত জায়গায় বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হন না।
বাংলাদেশের ক্রেডিট রেটিং হ্রাসের একটি প্রভাবও বিদেশি বিনিয়োগসহ অর্থনীতির অন্যান্য ক্ষেত্রে পড়ছে উল্লেখ করে ড. মাহফুজ কবীর বলেন, সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বাংলাদেশের খবর প্রায়ই আসছে। এর প্রভাব পড়ছে বিনিয়োগকারীদের ওপর।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রতি পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থন রয়েছে। এটা ইতিবাচক। তবে একই সঙ্গে সরকারকে ওইসব দেশের ব্যবসায়ীদের আস্থা অর্জন করতে হলে পরিবেশকে দ্রুত স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যেতে হবে। নাহলে তারা দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবেন না। তারা সব সময়ই এমন দেশই বিনিয়োগের জন্য খোঁজেন, যারা স্থিতিশীল, যেমন ভিয়েতনাম। এমনকি আমাদের প্রতিবেশী দেশের মধ্যে পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কাও কিন্তু বিদেশি বিনিয়োগ আনতে সক্ষম হচ্ছে। কারণ এই দেশগুলোতে এখন স্থিতিশীলতা ফিরতে শুরু করেছে। তবে বাংলাদেশে এখনও পরিস্থিতি ঘোলাটে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চেষ্টা করছে। তবে পরিস্থিতি ঠিক হতে কতদিন লাগবে, এটা এখনও অনিশ্চিত। এ পরিস্থিতিতে নিকটবর্তী সময়ে দেশে খুব একটা বিদেশি বিনিয়োগ নাও আসতে পারে। বিশেষ করে সামনের দিনগুলোতে দেশে ভারতীয় বিনিয়োগ হয়তো একেবারেই কমে যেতে পারে। সব মিলিয়ে আগে যেখানে বছরে তিন থেকে সাড়ে তিন বিলিয়ন ডলার বিদেশি বিনিয়োগ ছিলো, এখন হয়তো কিছুদিনের জন্য তা দুই থেকে আড়াই বিলিয়ন ডলারে নেমে আসতে পারে। সে জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। কারণ যখনই কোন দেশে বিদেশি বিনিয়োগ হ্রাস পায় তখনই তা নেতিবাচক বার্তা দেয় আন্তর্জাতিক ভাবে। পাশাপাশি সামনের কয়েক মাস হয়তো গ্যাস বিদ্যুতসহ জ্বালানি খাতেও কিছুটা সমস্যা মোকাবিলা করতে হবে। সরকারকে এ বিষয়েও সতর্ক থাকতে হবে।
Leave a Reply