1. admin@kishorganjeralo.com : kishorganjeralo.com :
  2. admin@shadinota.net : shadinota net : shadinota net
ব্রেকিং নিউজ :

অভিবাসন নিয়ে জার্মানিতে ঐক্যমতে চিড়

  • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
  • ৪১ বার পঠিত

অবৈধ অভিবাসনে রাশ টানতে সরকার ও প্রধান বিরোধী শিবির যে আলোচনা প্রক্রিয়া শুরু করেছে, বিরোধীরা তা বর্জন করছে৷ জার্মানির প্রতিবেশী দেশগুলির মধ্যেও সীমান্তে কড়া নিয়ন্ত্রণ নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে৷অবৈধ অভিবাসন কমাতে মরিয়া জার্মান সরকার প্রধান বিরোধী ইউনিয়ন শিবিরের সঙ্গে ঐকমত্যের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের উদ্যোগ নিতে চেয়েছিল৷ বিরোধীরাও ‘দেশের স্বার্থ’ সামনে রেখে সরকারের সঙ্গে আলোচনার পথ বেছে নিয়েছিল৷ চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস ইউনিয়ন শিবির ও দেশের ১৬টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক আলোচনার আয়োজন করেছিলেন৷ সরকারের প্রথম দফার কিছু প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা চলছিল৷ সোমবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফেসার স্থলসীমান্তে কড়া নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত ঘোষণার পর মঙ্গলবার বিরোধীদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে৷ কিন্তু সরকারের তীব্র সমালোচনা করে সিডিইউ ও সিএসইউ দল আলোচনা ছেড়ে চলে গেছে৷ ফলে রাজনৈতিক আশ্রয় ও অবৈধ অভিবাসন নীতি আরো কড়া করার উদ্যোগ নিয়ে ঐকমত্যের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়লো৷সিডিইউ দলের নেতা ফ্রিডরিশ ম্যারৎস বলেন, তাঁরা সীমান্তে রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীদের আবেদন সার্বিকভাবে নাকচ করার যে মূল দাবি জানিয়েছিলেন, শলৎসের জোট সরকার তা মানতে প্রস্তুত নয়৷ ফলে সেই প্রশ্নে ঐকমত্য সম্ভব হয় নি৷ আলোচনায় দলের প্রধান প্রতিনিধি বলেন, সরকার শুধু স্থলসীমান্তে আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের দ্রুত ফেরত পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছে৷ আশ্রয়প্রার্থীদের সংখ্যা কমানোর কোনো চেষ্টা করছে না৷ সিডিইউ দল জাতীয় স্তরে জরুরি অবস্থা ঘোষণার যে দাবি জানিয়েছে, সরকার তাও নাকচ করে দিয়েছে৷শলৎস উলটে ম্যারৎসের সমালোচনা করে বলেন, সিডিইউ নেতা যে খোলা মনে মধ্যপন্থা অর্জনের জন্য প্রস্তুত নন, তা আলোচনার আগেই তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল৷ তিনি বিরোধী নেতার চারিত্রিক দৃঢ়তা ও সততার অভাবের সমালোচনা করেন৷ তাঁর মতে, নেতৃত্বের বৈশিষ্ট্যই হলো আপোশ করার প্রস্তুতি৷

পূবের ব্রান্ডেনবুর্গ রাজ্যে নির্বাচনের ঠিক আগে জার্মানির সরকারি জোট ও প্রধান বিরোধী শিবিরের তৎপরতা ভোটারদের মনে কতটা প্রভাব ফেলছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়৷ পশ্চিমের সোলিঙেন শহরে ছুরিকাঘাতের ঘটনার পর অবৈধ অনুপ্রবেশ ও অপরাধের বিষয়টি অন্য দুটি রাজ্যের নির্বাচনের উপর যে গভীর প্রভাব ফেলেছিল, তা ফলাফলেই স্পষ্ট দেখা গেছে৷ চরম দক্ষিণপন্থিদের বিপুল সাফল্য মূল স্রোতের রাজনৈতিক দলগুলিকে কড়া অবস্থান নিতে কার্যত বাধ্য করছে৷অবৈধ অভিবাসন ও আবেদন নাকচ হয়ে যাওয়া আশ্রয়প্রার্থীদের মধ্যে অপরাধের প্রবণতা জার্মানির অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে উত্তাল করে তুললেও ইউরোপীয় স্তরে বিষয়টি নিয়ে অস্বস্তি বাড়ছে৷ শলৎসের সরকার একতরফাভাবে সীমান্তে কড়া নিয়ন্ত্রণ চালু করার ঘোষণা করেছে, জার্মানির একাধিক প্রতিবেশী দেশ সে বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করছে৷ অস্ট্রিয়া ও পোল্যান্ড সরাসরি জার্মানির সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে৷ জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিয়ম লঙ্ঘন না করেই আপাতত ছয় মাসের জন্য সীমান্তে কিছু কড়া পদক্ষেপের আশ্বাস দিয়েছেন৷ তিনি বলেন, জার্মানি আগের মতোই প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে নিবিড় সহযোগিতার উপর নির্ভর করে আছে৷

এসবি/এসিবি (ডিপিএ, এএফপি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 shadinota.net
Design & Development By Hostitbd.Com