যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিতর্কের মঞ্চে একে অপরের মুখোমুখি হয়েছেন। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ও সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে এ বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম এবিসি নিউজ এর আয়োজন করে। পুরো বিতর্ক জুড়েই প্রশ্নবাণে একে অপরকে জর্জরিত করার চেষ্টা করে গেছেন। তবে হ্যারিসের কথার তোড়ে পিছু হটতে দেখা গেছে ট্রাম্পকে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
বিতর্কের এক পর্যায়ে ট্রাম্পের সমাবেশ নিয়েও কটাক্ষ করেন হ্যারিস। তিনি বলেছেন, তার (ট্রাম্প) বাগাড়ম্বরে ক্লান্ত ও বিরক্ত হয়ে মানুষ দ্রুত সমাবেশ ত্যাগ করেন।
এর উত্তরে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার সমাবেশ, আমাদের সমাবেশ সবচেয়ে বড়, রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে অসাধারণ সমাবেশ।’ এরপর সম্পূর্ণ অপ্রাসঙ্গিকভাবে কোনও প্রমাণ ছাড়াই তিনি দাবি করেন, ওহাইও অঙ্গরাজ্যে হাইতি থেকে আসা অভিবাসীরা স্থানীয়দের পোষা প্রাণি খেয়ে ফেলছে।
এই দাবি শুনে হেসে ফেলেন হ্যারিস। তিনি মন্তব্য করেন, ‘উদ্ভট কথাবার্তা আর কাকে বলে!’
অভিবাসন, পররাষ্ট্রনীতি ও স্বাস্থ্যসেবার মত ইস্যু নিয়েও তাদের মধ্যে বাদানুবাদ হয়েছে। তবে নির্দিষ্ট কোনও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোকপাত করা হয়নি। বরং বিতর্কে পুরো মনোযোগ ট্রাম্পের দিকেই ধরে রাখতে সফল দেখা গেছে হ্যারিসকে।
এদিকে, বিগত সপ্তাহগুলোতে হ্যারিসের সম্পর্কে বর্ণবাদী ও লিঙ্গবিদ্বেষী মন্তব্য করে যাওয়া ট্রাম্পকে এদিন কোনও ব্যক্তিগত আক্রমণ করা থেকে বিরত থাকতে দেখা গেছে। তবে হ্যারিসের আক্রমণাত্মক প্রশ্নে নিজের বিরক্তি চেপে রাখতে পারেননি তিনি।
এর আগে এক অনুষ্ঠানে হ্যারিস সম্পর্কে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি (হ্যারিস) একজন ‘কালো মানুষ’ হয়ে গেছেন। এ বিষয়ে বিতর্ক অনুষ্ঠানে সঞ্চালকদের একজনের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার কিছু আসে যায় না। তিনি যা ইচ্ছা হতে পারেন।’
এর উত্তরে হ্যারিস বলেন, ‘মার্কিনিদের ক্রমাগত বিভক্ত করে ক্ষমতায় আসতে চাওয়া একজন মানুষ প্রেসিডেন্ট হতে চাচ্ছেন। বিষয়টা খুবই দুঃখজনক।’
এরপর তিনি পর্ন তারকাদের ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ রাখার মত ট্রাম্পের বেআইনি কাজের কঠোর সমালোচনা করেন। অবশ্য এসব অভিযোগ ক্রমাগত অস্বীকার করে গেছেন ট্রাম্প।
৫ নভেম্বরের নির্বাচনের মাত্র ৮ সপ্তাহ আগে এই বিতর্ক দুই প্রার্থীর জন্যই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হচ্ছে। ভোটারদের নিজের দিকে টানার প্রবল চেষ্টা ছিল উভয়পক্ষেই।
Leave a Reply