জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, আগে থেকেই ঠিক করা ছিল ফলাফল। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে ভয়-ভীতি ও জিম্মি করে তাদের নির্বাচনে যেতে বাধ্য করা হয় বলেও জানান তিনি। জিএম কাদের বলেন, দলে বিভাজন সৃষ্টি করা ছাড়াও সংসদ ও কর্মসূচিতেও প্রভাব বিস্তার করতো তৎকালীন ক্ষমতাসীন দলটি। এখন স্বাধীনভাবে রাজনীতি করতে চান তারা।
২০১৪ সালে দলীয় সরকারের অধীনে ভোটে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে বিএনপি, ভোট ঠেকাতে আন্দোলন জোরদার করে তারা। এমন প্রেক্ষাপটে জাতীয় রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে আসে জাতীয় পার্টি। সে সময় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ভোটে অংশগ্রহণ নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য দিতে থাকেন। একপর্যায়ে অসুস্থতার কথা বলে র্যাব পাহারায় তাকে নেয়া হয় হাসপাতালে।
জাতীয় পার্টির বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদেরের দাবি, সে সময় এরশাদকে ফাঁসির ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক নির্বাচনে যেতে বাধ্য করে হাসিনা সরকার। এমনকি নির্বাচনে আওয়ামী লীগই করেছে তাদের প্রচার-প্রচারণার কাজ।
জিএম কাদের বলেন,
তিনি (এরশাদ) বলেছিলেন নির্বাচনে যাবেন না। তাই আমাদেরকে বলায় আমারা নমিনেশন প্রত্যাহার করি। কিন্তু তাকে হাসপাতালে নিয়ে ব্ল্যাকমেইল করা হয়। আমরা শুনেছি, হত্যা মামলা দিয়ে তাকে ফাঁসি দেয়া হবে। পরে সামান্য কিছু লোক নিয়ে তিনি আসতে বাধ্য হলেন। আমাকে বলা হয়, আপনি শুধু বলেন যে আমি নির্বাচনে আছি। তাতেই আপনি নির্বাচনে জিততে পারবেন।
২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দলীয় সরকারের অধীনে ভোটে অংশ নেয়ার দায় বিএনপিরও আছে। আর ২০২৪ সালের নির্বাচনকে পাতানো আখ্যা দিয়ে জিএম কাদের বলেন, ভোটে না যাওয়ার সিদ্ধান্তের পরই তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী দিয়ে জিম্মি করা হয়।জিএম কাদের দাবি করে বলেন,
দলেন মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করা হতো। আমি কিছু করতে চাইলে কিছু লোককে যেন দল থেকে ছুটিয়ে নিয়ে যেতে পারে। তারা সব নির্বাচনই মেনিপুলেট করেছে। সংসদে আমরা কোনো প্রস্তাব নিয়ে গেলে এমপিদের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হতো। দলের কোনো কর্মসূচি দিতে গেলে একটা অংশ রাজি হতো না। ওই বিভাজনটা আওয়ামী লীগ তৈরি করে রেখেছিল। সব মিলিয়ে দলটাকে ঐক্যবদ্ধ রাখা যেত না। ঐক্য রাখতে গিয়ে অনেক সময় অনেক কিছু আপোস করতে হত।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর স্বাধীনভাবে রাজনীতির প্রত্যয় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের।
Leave a Reply