বিশ্বব্যাপী আন্তঃরাষ্ট্রীয় ও অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব তীব্র রূপ ধারণ করেছে। এসব জটিলতা বিশ্বব্যাপী শরনার্থী ও বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা বাড়ার জন্য দায়ী বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।
সোমবার সকালে গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুর সেনানিবাসে বিপসট মিলনায়তনে আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।সম্মলনে তিনি জানান, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গণহত্যার ইতিহাস সবসময়ই মানবাধিকারের পক্ষে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত দারিদ্র এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলার পথ খুঁজছি। যখন বিশ্বকে সংঘাত ও জ্বালানি সংকট গ্রাস করেছে। তখন তা প্রতিরোধ করে বিশ্ব শান্তি ফেরানোর জন্য আমরা চেষ্টা করছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বিশ্বশান্তি রক্ষায় সকলের সঙ্গে একযোগে কাজ করছি। আইএপিটিসি শান্তিরক্ষীদের আভিযানিক দক্ষতা বৃদ্ধি, প্রশিক্ষণের মানোন্নয়ন ও আধুনিকায়নের মাধ্যমে বিশ্বশান্তি রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।’
সম্মেলন সুন্দরভাবে আয়োজন করার জন্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিপসটকে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী এবং সম্মেলনের সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
আয়োজকরা জানান, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী নিরাপত্তা পরিবেশ অত্যন্ত জটিল হয়ে উঠছে। এই পরিবর্তিত নিরাপত্তা পরিস্থিতির গতি-প্রকৃতি মূল্যায়ন ও তা মোকাবিলায় ভবিষ্যৎ করণীয় নির্ধারণ এবং প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণের রূপরেখা প্রণয়ন আইএপিটিসির মূল উদ্দেশ্য। আইএপিটিসি শান্তিরক্ষী অপারেশন, প্রশিক্ষণ ও গবেষণার সঙ্গে জড়িত নীতিনির্ধারক, গবেষক, শান্তিরক্ষী, প্রশিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট অন্য ব্যক্তিবর্গের ও প্রতিষ্ঠানসমূহের এক অনন্য প্ল্যাটফর্ম।
তারা জানান, কানাডার পিয়ারসন পিসকিপিং সেন্টারে ১৯৯৫ সালের ২ জুলাই এই সংস্থার কার্যক্রম শুরু হয়েছিল। প্রতিষ্ঠার পর থেকে প্রায় ৯০টি বিভিন্ন কেন্দ্র প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা আইএপিটিসিতে অংশগ্রহণ করেছে। আইএপিটিসিতে বর্তমানে ২৬৭টি সদস্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
Leave a Reply