মার্কিন টেলিভিশন চ্যানেল সিএনএন জানিয়েছে ইহুদিবাদী ইসরাইল গাজার দক্ষিণাঞ্চলে খানইউনুসে অবস্থিত স্কুলগুলোতে বোমা বর্ষণে ব্যবহার করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি বোমা এবং গোলা ও ক্ষেপণাস্ত্র।

খানইউনুসের স্কুলগুলোতে বোমা হামলার ভিডিওগুলো বিশ্লেষণ করে সিএনএন এই তথ্য দিয়েছে। খানইউনুসের স্কুলগুলোকে ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের অস্থায়ী আবাস হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ইসরাইলি আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে।

পার্সটুডে জানিয়েছে, ইসরাইলি আগ্রাসনে সম্প্রতি সেখানে ৩০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ ও বিশ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। এর আগেও সিএনএন গাজার আননুসাইরাত শরণার্থী শিবিরের একটি স্কুলে নিক্ষিপ্ত বোমা বর্ষণের ভিডিওগুলো পরীক্ষা করে জানিয়েছিল যে এইসব অপরাধযজ্ঞে ব্যবহার করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া গোলা-বারুদ ও বিস্ফোরক। এখানেও সাম্প্রতিক ইসরাইলি নৃশংসতায় হতাহত হয়েছে ৪০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি।

এদিকে মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল জানিয়েছে, মার্কিন সরকার ৫০০ পাউন্ড বা ২২৭ কেজি ওজনের বোমা পাঠাবে ইসরাইলের কাছে। এইসব বোমা ইসরাইলে পাঠানোর কাজ শুরু হয়ে গেছে, আগামী কয়েক সপ্তা’র মধ্যে সেসব অধিকৃত ফিলিস্তিনে পৌঁছে যাবে।

কিছুকাল আগে ইসরাইলি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে আলমায়াদিন টেলিভিশন জানিয়েছিল দশটি মার্কিন পরিবহন বিমান বিপুল সমরাস্ত্র নিয়ে অধিকৃত ফিলিস্তিনে অবতরণ করেছে।

মার্কিন সরকার গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে তেলঅবিবে সামরিক সাহায্য ও রসদ পাঠাতে মোটেও বিলম্ব করেনি। আর তাই বিশ্ব-সমাজ ওয়াশিংটনকে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলি গণহত্যা বা জাতিগত শুদ্ধি-অভিযানের শরিক বলে দায়ি করছে।

ইহুদিবাদী ইসরাইল গত বছরের (২০০৩) ৭ অক্টোবর থেকে গাজা ও পশ্চিম তীরে মজলুম ও প্রতিরক্ষাহীন ফিলিস্তিনিদের ওপর গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরাইলি বর্বরতায় এ পর্যন্ত গাজায় ৩৮ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ ও ৮৭ হাজারেরও বেশি আহত হয়েছে।

ইসরাইলের অস্তিত্ব গড়ে ওঠে ১৯১৭ সালে উপনিবেশবাদী ব্রিটেনের ব্যালফোর নামক ঘোষণার আলোকে এবং বিশ্বের নানা অঞ্চল থেকে ইহুদিদেরকে ফিলিস্তিনে অভিবাসন করতে উৎসাহ যুগিয়ে। ১৯৪৮ সালে ইসরাইল তার অস্তিত্ব ঘোষণা করে। সেই থেকে ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে গণহত্যার এবং গোটা ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডগুলোকে দখলে নেয়ার নানা ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।

বিশ্বের কয়েকটি সরকার ইসলামী জনশাসনতান্ত্রিক সরকার ইরানের দাবির সঙ্গে সুর মিলিয়ে ইসরাইলি উপনিবেশবাদী শাসন বিলুপ্ত করার ও ইহুদিদেরকে তাদের নিজ নিজ দেশে ফিরে যাওয়ার জোরালো দাবি জানাচ্ছে।