প্রশাসনের দুর্নীতি এখন সবচেয়ে আলোচিত বিষয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক সদস্য মতিউর রহমান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি মূলত এ আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ও সাবেক আমলারা জানিয়েছেন, প্রশাসনে এখন দুর্নীতি ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। দুর্নীতি প্রতিরোধে যথেষ্ট বিধি-বিধান থাকলেও সেগুলোর বাস্তবায়ন নেই। অনিয়ম-দুর্নীতি রোধে কোনো রকম তদারকি নেই। নজরদারির অভাবে প্রশাসনের সব স্তরে লাগাম ছাড়াচ্ছে দুর্নীতি।
‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে মানুষকে বাড়তি টাকা দিতে হচ্ছে। এমন কোনো সেক্টর আপনি বের করেন যেখানে সেবা গ্রহীতা সেবাটা পাচ্ছেন অতিরিক্ত খরচ না করে। সব ক্ষেত্রে আমরা নজরদারির চরম দুর্বলতা দেখছি। কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার উদাহরণ নেই।’-আবু আলম মো. শহীদ খান, সাবেক সিনিয়র সচিব
যাদের দুর্নীতি সামনে আসছে, তারা অনেক দিন ধরেই এটা করছেন। নজরদারি না থাকায় এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি সরকার। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের তথ্য এসেছে। এমন বহু সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন; নজরদারি না থাকা কিংবা দুর্নীতি রোধে বিধি-বিধান বাস্তবায়নের আন্তরিক পদক্ষেপ না থাকায় এরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।যাদের দুর্নীতি সামনে আসছে, তারা অনেক দিন ধরেই এটা করছেন। নজরদারি না থাকায় এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারেনি সরকার। গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের তথ্য এসেছে। এমন বহু সরকারি কর্মকর্তা রয়েছেন; নজরদারি না থাকা কিংবা দুর্নীতি রোধে বিধি-বিধান বাস্তবায়নের আন্তরিক পদক্ষেপ না থাকায় এরা ধরা-ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা।
তারা আরও বলছেন, এখন শাস্তিও দেওয়া হচ্ছে রাজনৈতিক বিবেচনায়। বড় অপরাধ করেও সামান্য শাস্তিতে পার পেয়ে যাচ্ছেন। দৃষ্টান্তমূলক কোনো শাস্তির নজির নেই। সব মিলিয়ে দুর্নীতিকে উৎসাহিত করার অনুকূল পরিবেশ এখন প্রশাসনে।
Leave a Reply