দীর্ঘদিন ধরে দেশে চলছে ডলার সংকট। নানা উদ্যোগ নিয়েও এ সমস্যা সমাধান হচ্ছে না। রিজার্ভের সংকট মোকাবিলায় সৌদি আরবের সঙ্গে দ্বিতীয় রাজনৈতিক সংলাপে বড় অংকের তহবিল চাইবে বাংলাদেশ। সোমবার (১ জুলাই) রিয়াদে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
জানা গেছে, সৌদি আরব এর আগে এ ধরনের সহযোগিতা পাকিস্তানকেও করেছিল। বাংলাদেশের প্রত্যাশা রিয়াদ বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে এ তহবিল জমা রাখবে। আর এর বিপরীতে ১ শতাংশের মতো সুদ দেয়ার মতো বিষয়গুলো এসব তহবিলের ক্ষেত্রে হয়ে থাকে। যদিও বিস্তারিত এখনও ঠিক হয়নি। বিষয়টি এখনও আলোচনার পর্যায়ে রয়েছে। তবে রাজনৈতিক সংলাপে ঢাকার পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হবে। আর বিস্তারিত ঠিক করবে দুই দেশের অর্থ মন্ত্রণালয়।
গত বছর পাকিস্তান যখন ভয়াবহ বৈদেশিক মুদ্রার সংকট হয়েছিল। তখন বেইল আউট সহায়তা ঘোষণা করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সে সময়ে পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে ২০০ কোটি ডলার জমা করে সহায়তা করেছিল সৌদি আরব।
বিশ্বের ভূরাজনৈতিক হিসেবের পরিবর্তন আসছে। তারই অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ও সৌদি আরব দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন করে ঢেলে সাজাতে উদ্যোগ নিয়েছে। এর প্রেক্ষাপটে দুই দেশ সম্পর্ককে সমন্বিত অংশীদারিত্ব পর্যায়ে উন্নীত করতে চায়। বৈঠকে এ বিষয়টি কিভাবে এগিয়ে নেয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা হবে। এছাড়া ঢাকা পক্ষ থেকে গত বৈঠকে করা বাণিজ্য ও বিনিয়োগের প্রস্তাবগুলো আলোচনায় নিয়ে আসবে।
এর আগে সৌদি আরবের একটি উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকা সফরের পর প্রায় ৭০০ কোটি ডলার বাংলাদেশে বিনিয়োগের কথা জানিয়েছে। বাংলাদেশে তেল শোধনাগার, পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্স, এলএনজি টার্মিনাল, বিদ্যুৎকেন্দ্র, খাদ্য ও ওষুধ শিল্প, সড়ক ও রেলপথ নির্মাণ, পোতাশ্রয় নির্মাণ, সামরিক ও বেসামরিক উড়োজাহাজ রক্ষণাবেক্ষণ, যন্ত্রাংশ নির্মাণ, সার ও সৌর বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে দেশটি।
সৌদি আরবের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় জ্বালানি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আকওয়া পাওয়ার ৩৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছিল। এর মধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ৬০ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। সৌদি আরবের বিনিয়োগ প্রস্তাবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য রেড সি গেটওয়ে টার্মিনালের ১২০ কোটি ডলারের বিনিয়োগের প্রস্তাব। বন্দর অবকাঠামো উন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটি বিনিয়োগ করতে চায়।
Leave a Reply