তাঁবুর নগরী খ্যাত মিনায় অবস্থানের মধ্য দিয়ে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে আজ শুক্রবার ১৪ জুন থেকে। বিশ্বের ১৮০টির বেশি দেশের প্রায় ২০ লাখ মুসল্লি পবিত্র হজের অন্যতম ফরজ আদায়ের জন্য এখন সৌদি আরবের মিনায় অবস্থান করছেন। মিনা থেকে তারা যাবেন আরাফাত ময়দানে। শনিবার ১৫ জুন সেখানে শুরু হবে মূল হজ।
এর আগে বৃহস্পতিবার পবিত্র মক্কার মসজিদুল হারামে আসরের নামাজ আদায়ের পর থেকেই হজের অংশ হিসেবে তাঁবুর নগরী মিনায় পৌঁছাতে শুরু করেন হাজিরা।
প্রতি বছর হজের সময় মুসল্লিদের অস্থায়ী আবাস হিসেবে মিনায় বসানো হয় আধুনিক সুযোগ সুবিধার লাখ লাখ তাঁবু। এবারও তাঁবুর নিচে অবস্থান করবেন বিভিন্ন দেশ থেকে আসা হাজিরা। অন্য দেশের হাজিদের মতো বাংলাদেশের ৮৫ হাজার হাজি মিনায় অবস্থান করছেন। লাল পাথরের পাহাড়ঘেঁসা চৌচালা তাঁবুর নিচে মুসল্লিদের লাব্বায়েক ধ্বনিতে মুখরিত পবিত্র মিনা নগরী।
শনিবার ৯ই জিলহজ ফজরের নামাজ আদায় করে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা পালনের জন্য গাড়িতে বা ট্রেনে মিনা থেকে হাজিরা রওনা হবেন পবিত্র আরাফাত ময়দানের উদ্দেশে। তবে ১৮ কিলোমিটার দূরত্বের এই পথ বেশিরভাগ হাজি পাড়ি দেবেন পায়ে হেঁটেই। কয়েক বছর হলো, হাজিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য মেট্রোরেল চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি জোরদার করা হয়েছে নিরাপত্তা।
৯ জিলহজ সকাল থেকে হাজিগণ আরাফাতের ময়দানে উপস্থিত হতে শুরু করে। ৯ জিলহজ দুপুর থেকে সুর্যাস্তের আগ পর্যন্ত আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করাই হলো হজের মূল ফরজ আমল। এদিনকেই বলা হয় হজের দিন। এ দিনের নাম ইয়াওমুল আরাফা। এরপর আরাফাতের ময়দান থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় রাত যাপন ও পাথর সংগ্রহ করবেন তারা।
১০ জিলহজ মিনায় প্রত্যাবর্তনের পর হাজিদের পর্যায়ক্রমে চারটি কাজ সম্পন্ন করতে হয়। শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ, আল্লাহর উদ্দেশে পশু কোরবানি, মাথা মুণ্ডন এবং তাওয়াফ জিয়ারত। এরপর ১১ ও ১২ জিলহজ অবস্থান করে প্রতিদিন ৭টি করে প্রতীকী শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করবেন হাজিরা। সবশেষে কাবা শরিফে বিদায়ী তাওয়াফের মধ্য দিয়ে শেষ হবে হজের আনুষ্ঠানিকতা।
Leave a Reply