আজ বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে বরিশাল ও রংপুরে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকেরা মহাসড়কে নছিমন-করিমন, ইজিবাইক ও বিআরটিসি বাস চলাচল বন্ধ এবং ভাড়ায় মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন বন্ধের দাবিতে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। এর আগে ময়মনসিংহ ও খুলনার সমাবেশ ঘিরেও একই ধরনের পরিবহন ধর্মঘট পালন করে মালিক-শ্রমিকরা। এসব ধর্মঘটের পেছনে সরকারের হাত রয়েছে বলে বিএনিপ দাবি করলেও সরকার বরাবরই তা অস্বীকার করে আসছে।
বিএনপির সমাবেশ ঘিরে ডাকা ধর্মঘটের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অতীতে বাস মালিক-শ্রমিকেরা দেখেছেন অগ্নিসংযোগ কাকে বলে। বাস বের হলেই আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। বিএনপি-জামায়াত সেই যে আন্দোলন শুরু করেছে, সেটা শেষ করেনি। তারা বলেনি ওই আন্দোলন শেষ হয়ে গেছে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা যদি মনে করেন বাসটি চললে আবার কোনো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে, আগের মতো যেমন বাস পুড়িয়ে দিয়েছে। সে অভিজ্ঞতা তো রয়েছে। সে অভিজ্ঞতা থেকে তাঁরা যদি সিদ্ধান্ত নেন, তাহলে আমাদের কিছু বলার নেই।’
বিএনপির সভা-সমাবেশে বাধা দেওয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের সভা-সমাবেশ করা নিয়ে আমরা কোনো বাধা দিচ্ছি না। যেখানে করতে চাচ্ছে, সেখানেই করছে। এখন বাস আসবে কি আসবে না, সেটা নিয়ন্ত্রণ করে বাস মালিক সমিতি এবং শ্রমিক সমিতি। তারা কী করবে না করবে এটা তাদের ব্যাপার।’
সভার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘অবৈধ ড্রাইভিং প্রশিক্ষণ স্কুলগুলোকে বিআরটিএ নীতিমালার অধীনে নিয়ে আসা হবে। বিআরটিএ তদারকি শুরু করবে। এ সংক্রান্ত একটি কর্মসূচি বিআরটিএ ঘোষণা করবে।’ চালক বা শ্রমিকদের ডোপ টেস্ট সহজ ও স্বল্পতম সময়ের মধ্যে করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
Leave a Reply