1. admin@kishorganjeralo.com : kishorganjeralo.com :
  2. admin@shadinota.net : shadinota net : shadinota net
ব্রেকিং নিউজ :

গ্লোবাল সাউথ যেভাবে ক্ষমতায় ফিরে এসেছে

  • আপডেট সময় : শুক্রবার, ৩১ মে, ২০২৪
  • ৫৪ বার পঠিত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পশ্চিমা পর্যবেক্ষকদের মনে করিয়ে দিয়েছে যে বৃহৎ শক্তি এবং তাদের প্রধান মিত্রদের বাইরেও একটি বিশ্ব রয়েছে।

এই বিশ্বে প্রধানত আফ্রিকান, এশিয়ান এবং ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলো অন্তর্ভুক্ত রয়েছে যারা সংঘাতের কোনো এক দিকে একটি স্পষ্ট পক্ষ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। তাই, ভূ-রাজনীতির প্রধান কারণ হিসেবে যুদ্ধ গ্লোবাল সাউথকে আলোচিত করেছে।

গ্লোবাল সাউথের প্রত্যাবর্তন

শীতল যুদ্ধের অবসানের পর এক মেরুকেন্দ্রিক দশকগুলোতে মনে হয়েছিল যে গ্লোবাল সাউথ স্থায়ীভাবে কোনো এক পক্ষের সঙ্গে একিভূত হয়ে গেছে। তবে গ্লোবাল সাউথ তার নিজেদের মহিমায় ফিরে এসেছে। এই প্রত্যাবর্তন একটি সংগঠিত এবং সুসংগত সংগঠনের আকারে নয় বরং একটি ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা হিসাবে।

গ্লোবাল সাউথের ব্যাপ্তি

গ্লোবাল সাউথ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ থেকে ল্যাটিন আমেরিকার দেশগুলোর একটি বড় অংশকে অন্তর্ভুক্ত করে।

গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোর সূচক নির্ধারণ করা

গ্লোবাল সাউথের বিভিন্ন দেশগুলো বেশ কিছু সাধারণ বৈশিষ্ট্য শেয়ার করে। তাদের একটি অংশের উপর ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শাসনের স্মৃতি এখনও ভূ-রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা গঠনের কারণ। এই দেশগুলো বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং মূল্য শৃঙ্খলকে উন্নত করার দিকেও দৃঢ়ভাবে মনোনিবেশ করছে।

গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোতে সম্পদ

গ্লোবাল সাউথের অনেক দেশ বিংশ শতাব্দীর পর থেকে আরও ধনী এবং স্মার্ট হয়ে উঠেছে এবং নিজেদের সুবিধা পেতে উভয় পক্ষের (একদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং ইউরোপ এবং অন্যদিকে চীন-রাশিয়া জোট) সঙ্গে কীভাবে খেলতে হয় তা তারা শিখেছে।

ইউক্রেন যুদ্ধে গ্লোবাল সাউথ দেশগুলোর ভূমিকা

গ্লোবাল সাউথের দেশগুলো অস্বীকৃতির জানানোর ক্ষমতার মাধ্যমে লাভবান হয়েছে। বাস্তবে ইউক্রেনে হামলার পর রাশিয়ার বিরুদ্ধে যে নিষেধাজ্ঞা গৃহীত হয়েছিল, গ্লোবাল সাউথের সব দেশই তা প্রত্যাখ্যান করেছে। এর মধ্যে কয়েকটি দেশ মস্কোর সঙ্গে তাদের বাণিজ্য বাড়িয়েছে যা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কার্যকারিতাকে মারাত্মকভাবে হ্রাস করেছে।

জাতিসংঘের ব্যবস্থা সংস্কারের অনুরোধ

গ্লোবাল সাউথের সব দেশের পরিস্থিতি মৌলিক পরিবর্তনের জন্য একটি জরুরী প্রয়োজনীয়তার দিকে আহ্বান করছে। যেমন সবাই চায় জাতিসংঘের বর্তমানে ব্যবস্থায় একটি মৌলিক পরিবর্তন আসুক। তবে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সংস্কার দ্রুত হবে তা এখনই আশা করা যায় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক অর্থায়নে আধিপত্য অব্যাহত রেখেছে, এবং এই অবস্থানটি এটিকে অন্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে দেয়ার ক্ষেত্রে তার প্রধান মিত্রদের সাথে কাজ করার অনুমতি দেয়। যেমন গ্লোবাল সাউথের দেশগুলোকে লক্ষ্য করে আমেরিকা যেসব নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে তা বাস্তবায়নে আমেরিকা তার আর্থিক ব্যবস্থাকে অপব্যবহার করছে।

নতুন গ্লোবাল সাউথের ভবিষ্যত

সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন গ্লোবাল সাউথ বড় শক্তিগুলোকে অন্তত আংশিকভাবে আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানে আরও উপস্থিতির দাবিতে সাড়া দিতে এবং বেশিরভাগ প্রক্সি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করতে পারে। নিউ গ্লোবাল সাউথ প্রধানত জাতীয় স্বার্থের উপর ভিত্তি করে সরকারের ব্যক্তিগত কর্মের মাধ্যমে তার প্রভাব প্রয়োগ করে। জলবায়ু পরিবর্তন এবং ডলারের আধিপত্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের দুটি ক্ষেত্রে তাদের কণ্ঠস্বর শোনা যায়।

একই সময়ে, নিউ সাউথের দেশগুলো একে অপরের থেকে ভৌগোলিক বিচ্ছিন্নতা এবং তাদের কেন্দ্রীয় স্বার্থকে প্রভাবিত করে এমন পার্থক্যের অনুপস্থিতি সম্ভবত ভবিষ্যতে তাদের সম্পর্ক সৌহার্দ্যপূর্ণ থাকবে এমন নিশ্চয়তা দেয়।#

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 shadinota.net
Design & Development By Hostitbd.Com