দীর্ঘদিন ধরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রাশিয়া। তবে এই যুদ্ধ চালাতে গিয়ে প্রয়োজনীয় অস্ত্র উৎপাদনে হিমশিম খাচ্ছে দেশটি। যার প্রভাব পড়ছে যুদ্ধক্ষেত্রেও। অপর্যাপ্ত অস্ত্রের কারণে ইউক্রেনে রুশ সেনারা প্রচণ্ড চাপে রয়েছে বলেও বিভিন্ন রিপোর্টে দাবি করা হচ্ছে।
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, রাশিয়ার অবস্থা এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে- প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এখন এই সমস্যা সমাধানে নতুন একটি কাঠামো বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) পুতিন রাশিয়ান সৈন্যদের জন্য অস্ত্র উৎপাদন এবং সরবরাহ ত্বরান্বিত করার জন্য ওই নতুন কমিটির সভাপতিত্ব করেন। এসময় তিনি ‘সব ক্ষেত্রে উচ্চ গতি অর্জন’ করার প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন।
রুশ গণমাধ্যমগুলো ‘ইউক্রেনে যুদ্ধ করার জন্য যে নতুন সেনা নিয়োগ দেয়া হচ্ছে তাদেরকে পর্যাপ্ত মৌলিক সরঞ্জাম সরবরাহ করা হয়নি’ বলে স্বীকার করেছে। মেডিকেল কিট এবং ফ্ল্যাক জ্যাকেটের সংকট রয়েছে। অনেককে তাদের নিজস্ব ব্যবস্থা করে নিতে বলা হয়েছে।
অন্যান্য প্রতিবেদনগুলোও বলছে, রাশিয়ার সৈন্যরা পুরানো এবং কখনও কখনও খারাপ মানের সরঞ্জাম ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছে। নতুন সৈন্যদলকেও সামান্য প্রশিক্ষণ দিয়ে যুদ্ধের প্রথম সারিতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, রাশিয়ার মিসাইলগুলো ব্যর্থ হওয়ায় তারা এখন ড্রোন ব্যবহার করছে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অতিক্রম করার জন্য। রাশিয়ার গোলাবারুদও ফুরিয়ে আসছে বলে দাবি করা হয় ওই রিপোর্টে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক ‘ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার’ বলেছে যে, রাশিয়ার বিমান, ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলার ধীর গতি দেখা যাচ্ছে। এর কারণ, তাদের ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোনের মজুদ হ্রাস পেয়েছে। এটিই প্রমাণ করে রাশিয়া কৌশলগত সামরিক লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।
যদিও বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর আক্রমণে ইউক্রেন অচল হয়ে গেছে। ইউক্রেনের পাওয়ার গ্রিড ধ্বংস হয়েছে, জ্বালানি স্থাপনাগুলোও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলছে, এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ৩০০ বিলিয়ন ডলার।
Leave a Reply