বাংলাদেশ ও রাশিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে বাংলাদেশে দেশটির ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করার প্রস্তাব দিয়েছেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম।সোমবার (২৭ মে) রাজধানীর গুলশানে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত ‘রাউন্ড টেবিল অন ডেভেলপমেন্ট অব ট্রেড অ্যান্ড ইকোনমিক কোঅপারেশন বাংলাদেশ রাশিয়া’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি।
তিনি বলেন, রাশিয়া বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। স্বাধীনতার সময় বাংলাদেশের পাশে এসে দাঁড়িয়েছিল। যুদ্ধের সময় বিধ্বস্ত ডুবে যাওয়া জাহাজ ও মাইন অপসারণের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরকে সচল করতে সহায়তা করেছিল তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন। দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে রাশিয়ার সহযোগিতায়। তবে দুইদেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ এখনও আশানুরূপ নয়। বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারে দুই দেশের মধ্যে বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক জোনসহ গভীর সমুদ্র বন্দর ও অন্যান্য স্থাপনা তৈরি হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ৫৫ বিলিয়ন ডলারের রফতানি করছে। দেশ এখন ট্রিলিয়ন ডলার অর্থনীতি হওয়ার পথে। যার ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালের মধ্যে ৩০০ বিলিয়ন ডলার রফতানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। বিশ্বের পোশাক খাতের সেরা পরিবেশবান্ধব গ্রিন ফ্যাক্টরিগুলোর উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশে অবস্থিত।
মাহবুবুল আলম বলেন, রাশিয়ায় বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য তৈরি পোশাক। তবে ওষুধ, কৃষি, তথ্যপ্রযুক্তি সহ অন্যান্য খাতেও রফতানি সম্প্রসারণের সম্ভাবনা রয়েছে। দুই দেশের মধ্যে কাস্টমসের সুযোগ সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি বিকল্প মুদ্রায় বাণিজ্য বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে।
রাশিয়ার ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে রাশিয়ার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করতে হয় বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের। এতে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যে খরচ ও জটিলতা বেড়ে যায়। দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ব্যাংকিং সুবিধা চালু হলে এই জটিলতা কেটে যাবে। বাড়বে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বাণিজ্যের সুযোগও।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মান্টিটস্কি, এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি আমিন হেলালী, সহ-সভাপতি শমী কায়সার প্রমুখ।
Leave a Reply