1. admin@kishorganjeralo.com : kishorganjeralo.com :
  2. admin@shadinota.net : shadinota net : shadinota net
ব্রেকিং নিউজ :

৭ দফা আবেদন করেও প্রশাসনের সহায়তা পায়নি মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট

  • আপডেট সময় : শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪
  • ১২৯ বার পঠিত

অবৈধ দখলে থাকা সম্পত্তি উদ্ধারের জন্য আবেদন করেও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পাচ্ছে না মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট। উচ্ছেদ অভিযান চালাতে ম্যাজিস্ট্রেট চেয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসনের কাছে সাত দফা চিঠি দিয়েছে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে পরিচালিত রাষ্ট্রীয় এই সংস্থা। কিন্তু সহায়তা পায়নি তারা।

সম্প্রতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির অনুষ্ঠিত বৈঠকের এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, সংস্থাটি নিজেদের সম্পত্তি উদ্ধারে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসনের কাছে সাতবার চিঠি দিয়েছে। তবু কোনও সহযোগিতা করেনি জেলা প্রশাসন।সূত্রে আরও জানা গেছে, একাদশ জাতীয় সংসদে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে কল্যাণ ট্রাস্ট্রের অবৈধ দখলে থাকা সম্পত্তি উদ্ধারে সুপারিশ করা হয়। সেই সুপারিশের আলোকে গত বছরের ৩১ অক্টোবর ও ২৮ নভেম্বর এবং চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি, ১৫ ফেব্রুয়ারি, ৫ ও ৬ মার্চ এবং সর্বশেষ ৯ এপ্রিল উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের চাহিদা চেয়ে ঢাকা জেলা প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট না পাওয়ায় তারা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করতে পারেনি।

এদিকে গত ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংসদীয় কমিটির প্রথম বৈঠকে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের জমি অবৈধ দখলের বিষয়ে আলোচনা হয়। সেই জমি উদ্ধারে প্রশাসনের কাছে চিঠি দেওয়ার সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি।

ওই বৈঠকে উচ্ছেদ অভিযানের অগ্রগতি সম্পর্কে কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সংসদ সদস্য এস এম মাহাবুবুর রহমান বলেন, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের ২৮ একর ৭১ শতক জমি অবৈধ দখলে ছিল। গত তিন বছরে সেখানে ২১ একর ৮৯ শতাংশ জমি উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকৃত জমিতে নিজস্ব অর্থায়নে ৩০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে বলে তিনি কমিটিতে অবহিত করেন।

বর্তমানে ৬ একর ৮২ শতক জমি অবৈধ দখলে আছে উল্লেখ করে এই সংসদ সদস্য বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট না পাওয়ায় জমিটি উদ্ধার করা যাচ্ছে না। ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হলে অতি দ্রুত এ জমি উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলেও তিনি কমিটিতে জানান। পরে ওই বৈঠকে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনায় ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসনে চিঠি দেওয়াসহ অবৈধ সম্পত্তি উচ্ছেদের সুপারিশ করা হয়।

গত ১৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বৈঠকে ওই সুপারিশের অগ্রগতির প্রতিবেদন সংসদীয় কমিটির কাছে উপস্থাপন করে মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট। বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের মালিকানাধীন ঢাকার মোহাম্মদপুরের গজনবি রোডের মুক্তিযোদ্ধা টাওয়ার-১-এর অবৈধ দখলে থাকা ৬টি ফ্ল্যাট, ৫টি দোকান, স্পেস ও ভয়েট এবং নবাবপুর রোডের মডেল মিনি মার্কেটের খেলাপি ভাড়াটে উচ্ছেদের লক্ষ্যে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসকের কাছে ছয়বার চিঠি দেওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়। কোন কোন তারিখে চিঠি দেওয়া হয়েছে, সেটাও উল্লেখ করা হয়।

সর্বশেষ তারা ৯ এপ্রিল চিঠি দিয়েছে বলেও কমিটিতে অবহিত করেছে। তবে এতবার চিঠি দেওয়ার পরেও ঢাকা জেলা প্রশাসন থেকে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

এ বিষয়ে জানার জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসক ও মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের এমডির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের কল্যাণে এসব প্রতিষ্ঠান ট্রাস্টকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৮টি শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান দেন মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টকে। এরপর ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমান দেন আরও ১১টি প্রতিষ্ঠান।

এরপর কল্যাণ ট্রাস্ট নিজেই চট্টগ্রামের কালুরঘাটে ফলের রস কারখানা, ঢাকায় ট্রাস্ট হাসপাতাল ও দুর্বার অ্যাডভারটাইজিং গড়ে তুললেও লোকসানে সেগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এ ছাড়া ট্রাস্টের বেশ কিছু জমি বেদখলের অভিযোগও আছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 shadinota.net
Design & Development By Hostitbd.Com