উন্নয়নের মহাসড়কে এবার পাতাল মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। রাজধানীর যানজট নিরসনে নেয়া নতুন এ প্রকল্পের পুরোটার পরামর্শক ও তত্ত্বাবধানে ৮ প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তিবদ্ধ হলো মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে চুক্তিসই অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ২০২৯ সাল নাগাদ শুরু হবে পাতাল মেট্রোর বাণিজ্যিক চলাচল।
দেশের প্রথম পাতাল মেট্রো ‘এমআরটি লাইন-ওয়ান’। উড়াল ও পাতাল মিলিয়ে মেট্রোটির রুট দুই ভাগে বিভক্ত; প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৯ সাল নাগাদ।
পাতাল অংশ, রাজধানীর বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর ২০ কিলোমিটার। বিমানবন্দর থেকে শুরু হয়ে, খিলক্ষেত, যমুনা ফিউচার পার্ক, নতুন বাজার, মালিবাগ এবং রাজারবাগ হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত। যাতায়াতে সময় লাগবে সব মিলিয়ে ২৪ মিনিট ৩০ সেকেন্ড।
আর উড়াল অংশ সোয়া এগারো কিলোমিটার। নতুন বাজার থেকে যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা, পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটি, মাস্তুল, পূর্বাচল হয়ে, পৌঁছবে কাঞ্চণ ব্রিজের কাছে পিতলগঞ্জে।
নির্মাণ কাজের তত্ত্বাবধানে ‘কনসালটেশন ও সুপারভিশন সার্ভিস’ নিয়োগে এদিন ৮টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হলো মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ।
১২টি প্যাকেজে বিভক্ত প্রকল্পটি নির্ধারিত সময়ে শেষ করার বিষয়ে আন্তরিকতার কথা জানালেন জাইকা’র প্রতিনিধি ইচি লুচি তুনো হাই।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানালেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের পর দেশকে আরো স্মার্ট করতে আধুনিক গণপরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর সরকার।
সরকার সর্বমোট ৬টি মেট্রোরেল নির্মাণ করে ২০৩০ সালের মধ্যে একটি শক্তিশালী মেট্রো-নেটওয়ার্ক নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বলেও জানালেন সড়ক পরিবহন মন্ত্রী।
Leave a Reply