1. admin@kishorganjeralo.com : kishorganjeralo.com :
  2. admin@shadinota.net : shadinota net : shadinota net
ব্রেকিং নিউজ :

বিমানে আগুন লাগার পরও যেভাবে রক্ষা পেলেন জাপান এয়ারলাইন্সের সব যাত্রী

  • আপডেট সময় : বুধবার, ৩ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ৫৮ বার পঠিত

জাপানের টোকিওতে হানেদা বিমানবন্দরের রানওয়েতে দুটি বিমানের সংঘর্ষে পাঁচ জন মারা গেছেন এবং শতাধিক যাত্রী রক্ষা পেয়েছেন।

মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় জাপান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান অবতরণের সময় রানওয়েতে পার্ক করে রাখা আরেকটি বিমানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে দুটি বিমানেই আগুন ধরে যায়।

আগুন ধরা অবস্থাতেই জাপান এয়ারলাইন্সের বিমানটি রানওয়েতে অবতরণ করে। মুহূর্তেই পুরো রানওয়ে কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়।

জাপান এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস এ৩৫০ উড়োজাহাজে সে সময় ৩৭৯ জন আরোহী ছিলেন, যাদের মধ্যে আটজন ছিল শিশু। তবে তাদের সবাইকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া সম্ভব হয়েছে।

জাপানের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা এনএইচকে-এর ওয়েবসাইটে পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পার্ক করা কোস্টগার্ডের বিমানে থাকা ছয়জন ক্রু সদস্যের মধ্যে পাঁচজন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন এবং সেটির পাইলট আহত হয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্লাইট ৫১৬ বিমানটি ছিল উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি বিমান।

গত পহেলা জানুয়ারি দেশটিতে যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে, সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে কোস্টগার্ডের ওই বিমানে করে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল।

বিমানটির হানেদা থেকে নিগাতা শহরের দিকে যাওয়ার কথা ছিল।

অন্যদিকে জাপানের স্থানীয় গণমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে যে অন্য ফ্লাইটটিতে ১৪ জন সামান্য আহত হয়েছেন।জাপানের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা এনএইচকে-এর ওয়েবসাইটে পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পার্ক করা কোস্টগার্ডের বিমানে থাকা ছয়জন ক্রু সদস্যের মধ্যে পাঁচজন দুর্ঘটনায় মারা গেছেন এবং সেটির পাইলট আহত হয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ফ্লাইট ৫১৬ বিমানটি ছিল উপকূলরক্ষী বাহিনীর একটি বিমান।

গত পহেলা জানুয়ারি দেশটিতে যে ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়েছে, সেখানে ক্ষতিগ্রস্তদের কাছে কোস্টগার্ডের ওই বিমানে করে ত্রাণসামগ্রী পৌঁছে দেয়ার কথা ছিল।

বিমানটির হানেদা থেকে নিগাতা শহরের দিকে যাওয়ার কথা ছিল।

অন্যদিকে জাপানের স্থানীয় গণমাধ্যম এনএইচকে জানিয়েছে যে অন্য ফ্লাইটটিতে ১৪ জন সামান্য আহত হয়েছেন।

আগুন আর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন
অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, রানওয়েতে জাপান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান আগুনে পুড়ে যাচ্ছে।

জাপানের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা এনএইচকে-এর প্রকাশিত ফুটেজে বিমানের জানালা দিয়ে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। বিমানটির ধ্বংসাবশেষ থেকেও আগুনের শিখা জ্বলে উঠছিল।

স্থানীয় টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায় দমকল বাহিনীর বেশ কয়েকটি ইউনিট কয়েক ঘণ্টার লাগাতার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এতে ১৪ জন যাত্রী এবং ক্রু সামান্য আঘাত পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাদের সাথে সাথে চিকিৎসাও দেয়া হয়েছে।

আগুনের কারণে বিশাল এই বিমানটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং আকাশ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।

উত্তর জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপের সাপোরো থেকে জাপান এয়ারলাইন্সের বিমানটি স্থানীয় সময় বিকেল চারটার দিকে যাত্রা শুরু করে।

ফ্লাইটরেডার ওয়েবসাইট অনুসারে, বিমানটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার কয়েক মিনিট আগে হানেদা বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিমান দুটির মধ্যে সংঘর্ষের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। কোস্টগার্ড বলছে, কখন এবং কীভাবে দুটি বিমানের সংঘর্ষ হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে।

দুটি বিমান একই সময়ে রানওয়েতে ছিল কি না তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

এরই মধ্যে হানেদা বিমানবন্দরের সমস্ত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। সেই সাথে বিমানবন্দরের সব রানওয়ে বন্ধ করে দেওয়া-সহ সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে
আগুন লাগার কারণ কী?
জাপান এয়ারলাইন্স দেশটির গণমাধ্যম এনএইচকে-কে জানিয়েছে, “ওই দুর্ঘটনায় কী ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, আমরা সেটা খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছি।”

মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা সাংবাদিকদের জানান, “সরকার দ্রুত ক্ষয়ক্ষতি পরিস্থিতি মূল্যায়ন করবে। জনসাধারণের কাছে দুর্ঘটনার বিষয়ে যথাযথ তথ্য দেওয়ার নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে।”

এ সময় তিনি হতাহতদের প্রতি সমবেদনা জানান।

পরিস্থিতির বিষয়ে দেশটির দুর্ঘটনা, ভূমি, অবকাঠামো, পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক, শিগেৎসু হিরাওকা বলেছেন, “জাপান এয়ারলাইন্সের বিমানটি দক্ষিণ দিক থেকে রানওয়ে সি-তে অবতরণ করতে যাচ্ছিল।”

“তখন রানওয়েতে জাপান কোস্ট গার্ডের একটি বিমান ছিল, এবং এটার সাথে ধাক্কা লাগে। আমি এখনো নিশ্চিত জানি না কীভাবে সংঘর্ষ হয়েছে।”

দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে যুক্তরাজ্যের কিংস কলেজ লন্ডনের প্রফেসর অ্যালেসিও পাটালানো বিবিসিকে বলেছেন, ”জাপানের বেশির ভাগ রানওয়ের ক্ষেত্রে নিয়ম হল যেকোন জরুরি বাহিনীর ফ্লাইট সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। তখন ওই বিমানগুলো বাণিজ্যিক বিমানের সাথে রানওয়ে ভাগ করে নেয়।”

ব্রিটেনের ক্র্যানফিল্ড ইউনিভার্সিটির পরিবহন ব্যবস্থার অধ্যাপক গ্রাহাম ব্রেথওয়েট দুর্ঘটনার সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে বলেন, “জাপান এয়ারলাইন্সের বিমানে আগুনের ফুটেজ দেখার সময় মনে হয়েছে, বিমানটি অবতরণের পর কিছু দূর ছেঁচড়ে বা পিছলে সামনে এগিয়েছে।”

“এতে বাম দিকের ইঞ্জিন শক পায়। সংঘর্ষে মনে হয়েছে, বিমানটির জ্বালানির লাইন ফেটে যায় এতে একটি বিশাল আগুনের সৃষ্টি হয়।”

“তারপর থেকে জ্বালানি লিক হয়ে পড়েছিল বলে মনে হয়েছে। এতে বিমান থেকে জ্বালানি বের হতে থাকে, এবং আগুন বাড়তে বাড়তে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়”, জানাচ্ছেন তিনি।আগুন আর ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন
অনলাইনে পোস্ট করা ভিডিও ও ছবিতে দেখা গেছে, রানওয়েতে জাপান এয়ারলাইন্সের একটি বিমান আগুনে পুড়ে যাচ্ছে।

জাপানের সরকারি সম্প্রচার সংস্থা এনএইচকে-এর প্রকাশিত ফুটেজে বিমানের জানালা দিয়ে ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়। বিমানটির ধ্বংসাবশেষ থেকেও আগুনের শিখা জ্বলে উঠছিল।

স্থানীয় টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায় দমকল বাহিনীর বেশ কয়েকটি ইউনিট কয়েক ঘণ্টার লাগাতার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এতে ১৪ জন যাত্রী এবং ক্রু সামান্য আঘাত পেয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তাদের সাথে সাথে চিকিৎসাও দেয়া হয়েছে।

আগুনের কারণে বিশাল এই বিমানটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায় এবং আকাশ ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।

উত্তর জাপানের হোক্কাইডো দ্বীপের সাপোরো থেকে জাপান এয়ারলাইন্সের বিমানটি স্থানীয় সময় বিকেল চারটার দিকে যাত্রা শুরু করে।

ফ্লাইটরেডার ওয়েবসাইট অনুসারে, বিমানটি স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টার কয়েক মিনিট আগে হানেদা বিমানবন্দরে অবতরণ করে।

বিমান দুটির মধ্যে সংঘর্ষের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। কোস্টগার্ড বলছে, কখন এবং কীভাবে দুটি বিমানের সংঘর্ষ হয়েছে তা নিয়ে তদন্ত চলছে।

দুটি বিমান একই সময়ে রানওয়েতে ছিল কি না তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

এরই মধ্যে হানেদা বিমানবন্দরের সমস্ত ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। সেই সাথে বিমানবন্দরের সব রানওয়ে বন্ধ করে দেওয়া-সহ সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
জীবন মৃত্যুর ফারাক যখন মাত্র কয়েক সেকেন্ড
দুর্ঘটনার যেসব ছবি ও ভিডিও সামনে এসেছে তাতে দেখা যায় বিমানটিতে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। বিমানের জানালা দিয়ে আগুন ও ধোঁয়া বেরোচ্ছে।

আগুন ধরার পর যাত্রীবাহী ওই বিমানের আরোহীরা প্রাণ বাঁচাতে ছোটাছুটি শুরু করেন।

আরোহীরা ধোঁয়ায় ভরা কেবিন থেকে পালাতে তখন জরুরি অবতরণের দরজা দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

তারা বুঝতে পেরেছিলেন যে তাদের বেঁচে থাকা, না থাকা পরবর্তী কয়েক সেকেন্ডের উপর নির্ভর করছে।

জাপান এয়ারলাইন্সের ওই বিমানটি ছিল সব আধুনিক সুবিধাসম্পন্ন। বিশেষজ্ঞরা জানান ওই বিমানে থাকা নতুন প্রযুক্তির কারণেই এতোগুলো মানুষের জীবিত বেঁচে ফেরা সম্ভব হয়েছে।

তবে ছোট কোস্টগার্ড বিমানটির আরোহীরা ততটা ভাগ্যবান ছিলেন না।

যাত্রীরা যখন ঘটনার আকস্মিকতার সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন, তখন অনেকেই আবার তাদের বন্ধুদের এবং প্রিয়জনদের বলছিলেন যে তারা ঠিক আছেন এবং পরবর্তীতে কী হবে তার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

এক যাত্রী প্রশ্ন করেন, “আমি জানতে চাই কেন এমনটা ঘটল?” উত্তর না পাওয়া পর্যন্ত তিনি অন্য বিমানে উঠবেন না বলেও জানান।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 shadinota.net
Design & Development By Hostitbd.Com