1. admin@kishorganjeralo.com : kishorganjeralo.com :
  2. admin@shadinota.net : shadinota net : shadinota net
ব্রেকিং নিউজ :

সিলেটের হরিপুরে জ্বালানি তেলের খনির সন্ধান

  • আপডেট সময় : রবিবার, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৩
  • ৭৫ বার পঠিত

গত মাসের শেষদিকে সিলেটের হরিপুরে নতুন একটি কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছিল সিলেট গ্যাসফিল্ডস কর্তৃপক্ষ। এমন ঘোষণার ১৪ দিন পর সেখানে তেলের সন্ধান মিলেছে। রোববার (১০ ডিসেম্বর) বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী জানান, গ্যাসক্ষেত্রের ১০ নম্বর কূপের প্রথম স্তরে তেলের সন্ধান পাওয়া গেছে। প্রতি ঘণ্টায় সেখান থেকে ৩৫ ব্যারেল তেল উঠছে। তবে আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করতে ৪ থেকে ৫ মাস লেগে যাবে। গ্যাস স্তরগুলোর অবস্থান হচ্ছে ২৪৬০ থেকে ২৪৭৫ মিটার, ২৫৪০ থেকে ২৫৭৬ মিটার ও ৩৩০০ মিটার নিচে।নসরুল হামিদ বিপু বলেন, আশা করা হচ্ছে আগামী ১৫ থেকে ২০ বছর সেখান থেকে তেল পাওয়া সম্ভব হবে। ৩৫ বছর আগে হরিপুরে তেলের সন্ধান মিলেছিল। কিন্তু সেটা বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। এ সময় গ্যাসের মজুদ ৪৩ দশমিক ৬ থেকে ১০৬ বিলিয়ন ঘনফুট হতে পারে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। যার গড় মূল্য ৮৫০০ কোটি টাকা।সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই তেল উত্তোলন করা গেলে দেশের অর্থনীতিতে তা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবং ২০২৬ সালে বাংলাদেশ গ্যাসে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারবে।
জানা যায়, সিলেটের ১০ নম্বর কূপে ২৫৭৬ মিটার গভীরতায় খনন সম্পন্ন করা হয়েছে। এই কূপে ৪টি স্তরে গ্যাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়। নিচের স্তরটির ২৫৪০-২৫৫০ মিটার টেস্ট করে ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের প্রবাহ পাওয়া যায় এবং ফ্লোয়িং প্রেসার ৩২৫০ পিএসআই। যেখানে মজুদের পরিমাণ ৪৩-১০০ বিলিয়ন ঘনফুট।২৪৬০-২৪৭৫ মিটারে আরও একটি ভালো গ্যাসের স্তর পাওয়া গেছে। যেখানে টেস্ট করলে ২৫-৩০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। মূলত ২২৯০-২৩১০ মিটারে গ্যাসের উপস্থিতি মিলে। এছাড়াও ১৩৯৭-১৪৪৫ মিটার গভীরতায় অপর একটি জোন পাওয়া যায়, যা ৮ ডিসেম্বর পরীক্ষা করে তেলের উপস্থিতির কথা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত করা হয়। এর এপিআই গ্রাভিটি ২৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি।

গ্যাসফিল্ড কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সেলফ প্রেসারে প্রতি ঘণ্টায় ৩৫ ব্যারেল তেলের প্রবাহ রয়েছে। পরীক্ষা সম্পন্ন হলে তেলের মজুদ জানা যাবে। ২৫৪০ এবং ২৪৬০ মিটার গভীরতায় একযোগে উৎপাদন করা হলে প্রায় ৮-১০ বছর সাসটেইন করবে এবং গড় ভারিত মূল্য হিসেবে এর দাম প্রায় ৮৫০০ কোটি টাকা। যদি ২০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে উৎপাদন করা হয়, তাহলে ১৫ বছরের অধিক সময় স্থায়ী হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 shadinota.net
Design & Development By Hostitbd.Com