ইসরায়েল ও অধিকৃত ফিলিস্তিন ভূখন্ডের বেসামরিক জনগণ সপ্তাহব্যাপী নিদারুণ যন্ত্রণা ও ধ্বংসযজ্ঞের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। আরও ভয়ঙ্কর বিপর্যয় নেমে আসতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন জাতিসংঘের হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাফেয়ার্স অ্যান্ড রিলিফ কো-অর্ডিনেটর বিষয়ক আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল মার্টিন গ্রিফিথস। শনিবার এক বিবৃতি এ মন্তব্য করেন তিনি।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলে পরিবারগুলো গত শনিবারের আক্রমণের ধাক্কায় পর্যুদস্ত। সহস্রাধিক মানুষ নিহত এবং আরো বহুসংখ্যক আহত হয়েছেন। শতাধিক মানুষকে আটক করা হয়েছে।
অপরদিকে গাজায়, স্থানত্যাগের নির্দেশ পেয়ে সংকীর্ণ, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ধরে দক্ষিণে সরে যাওয়ার সময় পরিবারগুলোর ওপর বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। ফলে লাখ লাখ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে, কিন্তু তাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা ছিল না। প্রায় ২ হাজার মানুষ নিহত এবং আরও বহুসংখ্যক আহত হয়েছেন।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়, ইসরায়েলে পরিবারগুলো গত শনিবারের আক্রমণের ধাক্কায় পর্যুদস্ত। সহস্রাধিক মানুষ নিহত এবং আরো বহুসংখ্যক আহত হয়েছেন। শতাধিক মানুষকে আটক করা হয়েছে।
অপরদিকে গাজায়, স্থানত্যাগের নির্দেশ পেয়ে সংকীর্ণ, ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা ধরে দক্ষিণে সরে যাওয়ার সময় পরিবারগুলোর ওপর বোমাবর্ষণ করা হয়েছে। ফলে লাখ লাখ মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে, কিন্তু তাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা ছিল না। প্রায় ২ হাজার মানুষ নিহত এবং আরও বহুসংখ্যক আহত হয়েছেন।
মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, ‘কোনও বিদ্যুৎ নেই, কোনও পানি নেই, কোনও জ্বালানি নেই। খাদ্যসরবরাহও বিপদজনকভাবে কম। হাসপাতালগুলোয় রোগীর অনেক ভীড়, ওষুধের অভাবও দেখা দিয়েছে। উপচে পড়ছে মর্গ। বাড়িঘর, বিদ্যালয়, আশ্রয়স্থল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও উপাসনালয়গুলো ব্যাপক বোমাবর্ষণের কবলে পড়েছে। সমস্ত আবাসিক এলাকা মাটিতে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে। ত্রাণকর্মীরাও নিহত হয়েছেন। ইতোমধ্যেই সংকটজনক গাজার মানবিক পরিস্থিতি অচল হয়ে পড়ছে।’
ওই আন্ডার-সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘পশ্চিম তীরে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় বেসামরিক লোকজনের মৃত্যু ও আহত হওয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিবারগুলো চলাচলের ক্ষেত্রে আরও বেশি করে বিধিনিষেধের মুখোমুখি হচ্ছে। ওদিকে, লেবাননে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার ঝুঁকি আর একটি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে।’
মার্টিন গ্রিফিথস বলেন, ‘গত কয়েকদিন যাবৎ, যুদ্ধরত নানা পক্ষগুলোর কার্যকলাপ ও কথাবার্তা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক ও অগ্রহণযোগ্য। যুদ্ধেরও নিয়মনীতি আছে, এবং এসব নিয়মনীতি সর্বদা, এবং সকল পক্ষকে, অবশ্যই বজায় রাখতে হবে। ত্রাণকর্মী ও প্রয়োজনীয় উপকরণসহ বেসামরিক লোকজন ও বেসামরিক অবকাঠামোগুলো অবশ্যই রক্ষা করতে হবে। বেসামরিক লোকজনকে নিরাপদ এলাকায় চলে যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে। এবং তারা চলে যান বা রয়ে যান, তাঁদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নিরন্তর সচেষ্ট থাকতে হবে।’
গ্রিফিথস আরও বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় সরবরাহ ও পরিষেবা এবং অবাধে ত্রাণ সহায়তা পৌঁছানোর অনুমতি দিতে হবে। কাউকে আটক রাখা হলে তার সঙ্গে মানবিক আচরণ করতে হবে। সকল জিম্মিকে অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে। প্রভাবশালী সকল দেশকে যুদ্ধের নিয়মনীতির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন নিশ্চিত করতে এবং আরও উত্তেজনা বৃদ্ধি ও বিস্তার এড়াতে সেই প্রভাব খাটাতে হবে।’
গত সপ্তাহে মানবতার জন্য এটি একটি পরীক্ষা ছিল এবং মানবতা পরাজিত হচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
Leave a Reply