আজ রাজধানী ঢাকা থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রেলযাত্রার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সেই সাথে ঢাকা-ভাঙ্গা রেলপথও আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী
দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে রাজধানী ঢাকার সহজ ও সল্পসময়ে পদ্মা সেতু দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল উদ্বোধনের অপেক্ষা আর কিছুক্ষণ। আজ মঙ্গলবার ১০ অক্টোবর দুপুর পৌণে একটায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়া স্টেশন থেকে ট্রেনে চড়ে পদ্মা সেতু পার হবেন। ট্রেনেই ভাঙ্গা যাবেন তিনি। ভাঙ্গায় বিশাল জনসভায় যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
রেলওয়ে সূত্র জানিয়েছে, আজ দুপুরে ঢাকার কমলাপুর থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা রেললাইন উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। তবে যাত্রা শুরু করবেন মুন্সীগঞ্জের মাওয়া স্টেশন থেকে।
রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) শাহাদাত আলী সরদার জানান, উদ্বোধনের পর ট্রেনে চেপেই প্রধানমন্ত্রী ভাঙ্গা যাবেন। উদ্বোধনী এই ট্রেনে পাওয়ারকার সহ ১৪টি কোচ থাকছে।
তবে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধনের সঙ্গে সঙ্গেই যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে না। সেজন্য যাত্রীদের অপেক্ষায় থাকতে হবে আরও কয়েক সপ্তাহ।
শাহাদাত আলী জানান, ঢাকা-ভাঙ্গা যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হবে আগামী ১ নভেম্বর।
ঢাকার সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনে আনন্দে উচ্ছ্বসিত মাদারীপুর, ফরিদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার বাসিন্দারা।
বোয়ালমারী উপজেলা চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন মিয়া বলেন, দফায় দফায় এই রেললাইনে ট্রায়াল ট্রেন চালানো হয়েছে। ট্রেনের হুইসেলে আমাদের আর তর সইছে না। পদ্মা সেতু পাড়ি দেবো ট্রেনে, ভাবতেই ভালো লাগছে।
পদ্মা সেতু দিয়ে ট্রেন চালু হওয়ায় মুন্সিগঞ্জ, মাদারীপুর, শরীয়তপুর, রাজবাড়ী ও নড়াইল জেলা দেশের রেল নেটওয়ার্কে যুক্ত হলো।
স্বপ্নের পদ্মা সেতু দিয়ে ২০২২ সালের ২৫ জুন পদ্মা যান চলাচল শুরু হয়। এর প্রায় ১০ মাস পর চলতি বছরের ৪ এপ্রিল প্রথমবার পরীক্ষামূলক একটি ট্রেন পদ্মা সেতু পার হয়। এর তিন দিন পর যাত্রীবাহী ট্রেন পরীক্ষামূলকভাবে পাড়ি দেয় পদ্মা সেতু। এরপর কয়েক দফায় বিভিন্ন ট্রেনের ট্রায়াল চালানো হয় পদ্মা সেতুতে। সব ট্রায়ালের সমাপ্তি ঘটছে আজ।
Leave a Reply