দেশে স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক ধারা ছিল বলেই গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আবারও সুযোগ পেলে প্রতিটি গ্রামকে শহরের মতো গড়ে তোলা হবে।
দেশে স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক ধারা ছিল বলেই গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আবারও সুযোগ পেলে প্রতিটি গ্রামকে শহরের মতো গড়ে তোলা হবে।
জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর স্থানীয় সরকারকে যথেষ্ট অর্থ বরাদ্দ দিয়ে তৃণমূলে উন্নয়নের সুযোগ করে দিয়েছি। কষ্টের এ ফসল যেন কেউ নষ্ট করতে না পারে। অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে, সেভাবেই কাজ করতে হবে সবাইকে। স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়নি, ব্যর্থ হতেও আমরা দেব না।
১৫ টা ৫৫ মিনিট, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩
আবারও সুযোগ পেলে প্রতিটি গ্রাম হবে শহরের মতো: প্রধানমন্ত্রী
দেশে স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক ধারা ছিল বলেই গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আবারও সুযোগ পেলে প্রতিটি গ্রামকে শহরের মতো গড়ে তোলা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণভবনে স্থানীয় সরকার দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ভিডিও থেকে নেয়া
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণভবনে স্থানীয় সরকার দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ভিডিও থেকে নেয়া
ফারুক ভূঁইয়া রবিন
২ মিনিটে পড়ুন
বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গণভবনে জাতীয় স্থানীয় সরকার দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।
জনপ্রতিনিধিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর স্থানীয় সরকারকে যথেষ্ট অর্থ বরাদ্দ দিয়ে তৃণমূলে উন্নয়নের সুযোগ করে দিয়েছি। কষ্টের এ ফসল যেন কেউ নষ্ট করতে না পারে। অগ্রযাত্রা যেন অব্যাহত থাকে, সেভাবেই কাজ করতে হবে সবাইকে। স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়নি, ব্যর্থ হতেও আমরা দেব না।
আরও পড়ুন: জনপ্রতিনিধিদের ডেকে পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, জনগণের কল্যাণে কাজ করাই সবার দায়িত্ব। আস্থা বিশ্বাস ধরে রেখেই কাজ করতে হবে। একইসঙ্গে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে দাঁড়াতে হবে।
সরকারের সাফল্য তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্থিতিশীলতা ও গণতান্ত্রিক ধারা ছিল বলেই গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত উন্নয়ন করতে পেরেছি। আবার সুযোগ পেলে প্রতিটি গ্রাম শহরের মতো গড়ে উঠবে। দেশকে আরও উন্নত করতে চাই। যেটুকু সম্পদ আছে, সেটুকু নিয়ে দেশকে আরও এগিয়ে নেব।
কেন্দ্র থেকে ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণ করে জাতির পিতা তৃণমূল পর্যায়ের মানুষকে ক্ষমতাসীন করে জনগণের দৌরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে চেষ্টা করেছিলেন জানিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, তিনি সবার মাঝে স্বাধীনতার সুফল পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি দ্বিতীয় বিপ্লবের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। ঠিক সেই সময়ে এল চরম আঘাত। এরপরই থেমে গেল বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নের অগ্রযাত্রা।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করার সুযোগ পায়। পিতা, মাতা, ভাই সব হারিয়ে ছিলাম। বিদেশে আমি ও আমার ছোটবোনকে রিফিউজি হিসেবে থাকতে হয়েছিল। আমার ছোটবোন রেহানার পাসপোর্টটিও জিয়াউর রহমান দেয়নি। সময় শেষ হয়ে গিয়েছিল তবুও রিনিউ করে দেয়নি।
তিনি বলেন, নিরাপত্তার জন্য আমাদের নিজের নাম ব্যবহার করতে পারতাম না। যারা আমাদের আশ্রয় দিয়েছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। ১৯৭১ সালে যেমনিভাবে আশ্রয় দিয়েছে, পরবর্তীতেও আশ্রয় দিয়েছে। এরপর ২১ বছর পর জনগণের শক্তি নিয়ে দেশে ফিরে এসেছি। আমার অবর্তমানে আওয়ামী লীগ আমাকে সভাপতি করেছিল। আওয়ামী লীগের প্রতি ও বাংলাদেশের জনগণের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাই।
Leave a Reply