1. admin@kishorganjeralo.com : kishorganjeralo.com :
  2. admin@shadinota.net : shadinota net : shadinota net
ব্রেকিং নিউজ :

তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন ফক্সকনের প্রতিষ্ঠাতা টেরি গো

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২৮ আগস্ট, ২০২৩
  • ১৬৩ বার পঠিত

২০২৪ সালে তাইওয়ানে জাতীয় নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করার ঘোষণা দিয়েছেন অ্যাপল ইনকর্পোরেটেডের প্রধান সরবরাহকারী ফক্সকনের প্রতিষ্ঠাতা টেরি গো। সোমবার (২৮ আগস্ট) তিনি এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। খবর রয়টার্সের।

টেরি গো ২০১৯ সালে ফক্সকন প্রধানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন এবং সেই বছর তিনি রাষ্ট্রপতি পদে লড়াই করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেসময় ঐতিহ্যগতভাবে চীনের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের পক্ষপাতী তাইওয়ানের প্রধান বিরোধী দল কুওমিনতাং-এর (কেএমটি) মনোনয়ন জিততে তিনি ব্যর্থ হন।

এবারও তিনি কুওমিনতাং-এর (কেএমটি) পক্ষ থেকে রাষ্ট্রপতি পদে লড়াই করা জন্য মনোনয়নের আবেদন করেছিলেন। কিন্তু দলটি তার পরিবর্তে নিউ তাইপেই সিটির মেয়র হাউ ইউ-ইহকে বেছে নিয়েছে।

গত কয়েক সপ্তাহ তাইওয়ানজুড়ে সফর এবং সভা-সমাবেশের দেখে টেরি গোর স্বতন্ত্র্যভাবে প্রেসিডেন্ট পদে লড়াই করার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছিল।

উদ্যোক্তাদের শাসনের যুগ শুরু হয়েছে জানিয়ে টেরি গো বলেন, “গত ৭ বছরে গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল পার্টির শাসন আন্তর্জাতিকভাবে তাইওয়ানকে যুদ্ধের বিপদের দিকে নিয়ে গেছে। অভ্যন্তরীণভাবে তাদের নীতিগুলি ভুলে ভরা”।

টেরি গো আরও বলেন, “আমাকে ৪ বছর সময় দিন এবং আমি প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে তাইওয়ান প্রণালীতে ৫০ বছরের শান্তি আনব এবং প্রণালীজুড়ে পারস্পরিক বিশ্বাসের জন্য গভীরতম ভিত্তি তৈরি করব”।

“তাইওয়ানকে ইউক্রেন হওয়া উচিত নয় এবং আমি তাইওয়ানকে পরবর্তী ইউক্রেন হতে দেব না”- বলেন টেরি গো।

গোর নির্বাচনী প্রচারণার প্রধান থিম হলো চীনের সঙ্গে যুদ্ধ এড়ানো। যদিও তাইওয়ানকে চীন নিজস্ব অঞ্চল বলে দাবি করে।

তাইওয়ানের নির্বাচনের নিয়ম অনুযায়ী, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে যোগ্য হওয়ার জন্য গোকে ২ নভেম্বরের মধ্যে প্রায় ৩ লাখ ভোটারের স্বাক্ষর সংগ্রহ করতে হবে। কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন স্বাক্ষরগুলি পর্যালোচনা করবে এবং ১৪ নভেম্বরের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করবে।

ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দলের চেয়ারম্যান উইলিয়াম লাইকে আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে বেছে নিয়েছে ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি)।

সাম্প্রতিক সময়ে সার্বভৌমত্বের দাবি নিয়ে দ্বীপটির কাছে নিয়মিত সামরিক মহড়া চালিয়ে আসছে চীন। তখনই ওই অঞ্চলে নির্বাচন নিয়ে নতুন উত্তেজনা তৈরি হয়েছে।

কেএমটি বেইজিংপন্থী হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেও চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখাকে সমর্থন করে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন ডিপিপি তাইওয়ানকে চীন থেকে স্বাধীন সত্তা হিসেবে প্রচার করে। তারা বারবার আলোচনার প্রস্তাব দিলেও চীন প্রত্যাখ্যান করেছে।

চীনে ব্যাপক বিনিয়োগকারী ফক্সকনের প্রধান শেয়ারহোল্ডার হওয়ার সাথে টেরি গোকে স্বার্থের সংঘাতের বিষয়টি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন, চীনা আক্রমণের ঘটনায় তিনি চীনে তার ব্যক্তিগত সম্পদ ‘বলি’ দিতে ইচ্ছুক।

তিনি বলেন, “আমি কখনই গণপ্রজাতন্ত্রী চীনের নিয়ন্ত্রণে ছিলাম না। আমি তাদের নির্দেশ পালন করি না”।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 shadinota.net
Design & Development By Hostitbd.Com