আজকের পত্রিকার শিরোনাম ভারত-পাকিস্তানি প্রতিষ্ঠানের হাতে এনআইডির ভান্ডার। এ খবরে বলা হয়েছে, দেশের প্রাপ্তবয়স্ক সব মানুষের যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য আছে যে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) সার্ভারে, তাতে চাইলেই ঢুকে যেতে পারছে ভারত-পাকিস্তান এবং যুক্তরাষ্ট্রের মতো আরও কয়েকটি দেশের প্রতিষ্ঠান।
নির্বাচন কমিশন-সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবরে বলা হয়েছে, অর্থের বিনিময়ে দেশি-বিদেশি ১৭১টি প্রতিষ্ঠান এনআইডির সার্ভারের সেবা নেয়। এগুলোর মধ্যে দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৫৪টি, মোবাইল ফোন সেবাদাতা কোম্পানি ছয়টি, দেশি-বিদেশি ব্যাংক ৬৩টি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ২৮টি, বিমা প্রতিষ্ঠান পাঁচটি, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল কোম্পানি আটটি এবং অন্যান্য সাতটি। ব্যাংকগুলোর মধ্যে আছে ভারত, পাকিস্তান, যুক্তরাষ্ট্র, হংকং, যুক্তরাজ্যের নয়টি প্রতিষ্ঠান।

একই বিষয় নিয়ে কালবেলার শিরোনাম পাকিস্তানি প্রতিষ্ঠানের কাছেও যাচ্ছে এনআইডির তথ্য । খবরে বলা হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্য যাচ্ছে, সে তালিকায় পাকিস্তানের ন্যাশনাল ব্যাংক ও হাবিব ব্যাংক, হংকংয়ের এইচএসবিসি ব্যাংক, যুক্তরাজ্যের স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক এবং যুক্তরাষ্ট্রের বীমা প্রতিষ্ঠান মেটলাইফও রয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য ৭টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দেশের স্বনামধন্য দুটি শিল্প গ্রুপের বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানও রয়েছে।

এনআইডি বিভাগের চুক্তিপত্র অনুযায়ী, ওই ১৭০টি প্রতিষ্ঠান এনআইডি সার্ভারের প্রবেশাধিকার (এক্সেস) পাবে। সেজন্য এককালীন ৫ লাখ টাকা দিয়ে নিবন্ধন করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো। এরপর একেকটি এনআইডি তথ্য যাচাইয়ের জন্য প্রতিবার সরকারি সংস্থাগুলোর কাছ থেকে এক টাকা এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ টাকা ফি আরোপ করে এনআইডি অনুবিভাগ।

নির্বাচন তদারকির গাড়ি কিনতে চায় কমিশন- দৈনিক যুগান্তরের এই খবরে বলা হয়েছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং টাঙ্গাইল কার্যালয়ের জন্য গাড়ি কেনার প্রস্তাব দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

অন্যদিকে মাঠ পর্যায়ের জরিপ কাজে সাতটি গাড়ি কিনতে চেয়ে প্রস্তাব দিয়েছে ভূমি মন্ত্রণালয়। কৃচ্ছতা সাধন কর্মসূচির আওতায় বর্তমানে নতুন গাড়ি কেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সম্প্রতি পৃথকভাবে এসব প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।

এদিকে গণভবনে আজ আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভার খবরটিও উঠে এসেছে। ভোট প্রস্তুতির চূড়ান্ত বার্তা দেবেন শেখ হাসিনা শিরোনামে ইত্তেফাকের খবরে বলা হয়েছে সাড়ে তিন হাজার নেতাকে গণভবনে ডাকা হয়েছে। সভায় স্থানীয় এক শ্রেণির নেতা ও এমপিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে তৃণমূল নেতাদের হাজির হওয়ার প্রস্তুতি রয়েছে বলে বলা হয়েছে।
দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন ব্যবসায়ীরা- বনিক বার্তার শিরোনাম এটি। এতে বলা হয়েছে চলমান ডলার সংকটের প্রেক্ষাপটে দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের ভাষ্য, সরকার ২০৪১ সাল নাগাদ দেশে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে।

এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করতে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি আমদানি করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান করতে গিয়ে বিপাকে পড়ার জোর আশঙ্কা রয়েছে।

এখনই গুলি করতে শুরু করেছে: ফখরুল – এটি দৈনিক প্রথম আলোর খবর। খবরে বলা হয়েছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক সমাবেশে বলেছেন, “এখনই গুলি করতে শুরু করেছে। এখনই রাতে বাড়িতে থাকতে দেয় না। মিথ্যা মামলার ওয়ারেন্ট নিয়ে হাজির হয়।” আগের মতই জোর করে, প্রশাসনকে নিয়ন্ত্রণ করে আওয়ামী লীগ আবার ক্ষমতায় আসতে চাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

অন্যদিকে আন্দোলন সফলে বিদেশি চাপ সহায়ক বলে মনে করছে বিএনপি। নয়া দিগন্তে প্রকাশিত সুষ্ঠু নির্বাচনে ‘বিদেশী চাপ’ সহায়ক ভাবছে বিএনপি শিরোনামের খবরে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে পশ্চিমাসহ গণতান্ত্রিক বিশ্বের উদ্বেগ ও তাদের নানামুখী প্রকাশ্য পদক্ষেপ রাজপথে চলমান আন্দোলনে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে বলে মনে করছে দলটি।

এক বছরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সাড়ে ৩৭ কোটি টাকার অনিয়মের খবর প্রকাশ করেছে দ্য ডেইলি স্টার। TK 37.5cr mishandled in just one year শিরোনামের খবরে বলা হয়েছে ২০১৯-২০ অর্থবছরে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষ বন্দীদের জন্য চালের জন্য ৯.১১ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। কিন্তু সেই চাল খাওয়ার অযোগ্য।

নিম্নমান, স্বল্প খাদ্য সরবরাহ থেকে শুরু করে খাদ্যসামগ্রীর চাহিদার অতিরিক্ত ব্যয়, ক্রয় বিধি লঙ্ঘন করা থেকে ক্যান্টিনের অর্থ কোষাগারে জমা না দেওয়ার মতো ১৪টি অনিয়ম করেছে কর্তৃপক্ষ।

Govt wants to complete key mega projects before polls শিরোনামে ডেইলি সানের খবরে বলা হয়েছে, আসন্ন সাধারণ নির্বাচনের আগেই এই বছরের শেষ নাগাদ সরকার বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্প শেষ করার চেষ্টা করছে।

এসব প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে মেট্রোরেল লাইন-৬, বঙ্গবন্ধু টানেল, বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি), ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল (এইচএসআইএ) এবং দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন। এই প্রকল্পগুলোর ৮০ শতাংশের বেশি কাজ সম্পন্ন হয়েছে।

৩০ হাজার আবেদনকারীর তথ্য নেই বিআরটিএতে- কালের কণ্ঠের খবর এটি। খবরে বলা হয়েছে, আগের নির্ধারিত ফি দিয়ে করা ৩০ হাজার আবেদনকারীর প্রয়োজনীয় তথ্য বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাছে নেই। ফলে যারা চালকের লাইসেন্স নবায়ন করতে দিয়েছেন তারা বছর গড়িয়ে গেলেও লাইসেন্স পাচ্ছেন না।

বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, আগের ঠিকাদার ৩০ হাজার গ্রাহকের তথ্য সিস্টেমে সংরক্ষণ করেনি। ফলে সমস্যা হয়েছে।