পোশাক রপ্তানিতে বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হয়েছে। বৈশ্বিক বাজারে প্রধান প্রতিযোগী দেশগুলোর অংশীদারিত্ব কমলেও বেড়েছে বাংলাদেশের। রপ্তানির এই গতিশীলতা ধরে রাখতে বিদ্যুৎ-জ্বালানির নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ চান উদ্যোক্তারা।
একক দেশ হিসেবে বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশ। ২০২২ সালে মোট পোশাক রপ্তানি হয় ৪৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার, যা বৈশ্বিক রপ্তানির ৭ দশমিক ৯ শতাংশ। বিশ্ববাণিজ্য সংস্থা-ডব্লিওটিও’র প্রতিবেদন বলছে, বৈশ্বিক তৈরি পোশাকের বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বি ভিয়েতনামের তুলনায় বাংলাদেশের অবস্থান আরও সুদৃঢ় হয়েছে। ২০২২ সালে দেশটির তৈরি পোশাক রপ্তানি ছিল ৩৫ বিলিয়ন ডলার, যা বৈশ্বিক মোট পোশাক রপ্তানির ৬ দশমিক ১ শতাংশ। আগের বছর তাদের রপ্তানি ছিল ৩২ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার, বাজার হিস্যা ৫ দশমিক ৮ শতাংশ। এক বছরের ব্যবধানে ভিয়েতনামের সাথে পোশাক রপ্তানিতে পার্থক্য ৩ বিলিয়ন থেকে ১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নিত হয়েছে।
বিজিএমইএ বলছে, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বাজারে বাংলাদেশ তার অবস্থান ধরে রাখতে পেরেছে, পাশাপাশি অপ্রচলিত বাজারে রপ্তানিতে বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তাই ভিয়েতনামের চেয়ে অনেক এগিয়ে গেছে বাংলাদেশ।
বিজিএমইএ সহ-সভাপতি শহিদুল্লাহ আজিম বলেন, “আমাদের বড় মার্কেট ছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন, সেখানে ৬০ শতাংশ রপ্তানি করে থাকি। আর যুক্তরাষ্ট্রে ২২ শতাংশ। যুদ্ধের কারণে আমরা বসে নেই, চেষ্টা করছি অপ্রচলিত বাজার যেগুলো আছে যেমন জাপান, কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, ইন্ডিয়া। এদেশগুলোর বাজারে আমাদের অনেক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।”
এদিকে, বিশ্ববাজারে এখনও শীর্ষ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ চীন। ২০২২ সালে তাদের রপ্তানি ছিল ১৮২ বিলিয়ন ডলার, আগের বছর যা ছিল ১৭৬ বিলিয়ন ডলার। রপ্তানি কিছুটা বাড়লেও বিশ্ববাজারে তাদের অংশিদারিত্ব ১ দশমিক ১ পয়েন্ট কমে ৩১ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
২০২২ সালে ২০ বিলিয়ন ডলার পোশাক রপ্তানি করে তুরস্ক ছিল তৃতীয় অবস্থানে। আর চতুর্থ অবস্থানে থাকা ভারতের পোশাক রপ্তানি ছিল ১৮ বিলিয়ন ডলার।
এএইচ
Leave a Reply