বিশ্বে বর্তমান তাপমাত্রাকে জলবায়ুর জন্য বড় বিপর্যয় বলে দাবি করছেন পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। আবহাওয়ার এ অবস্থার জন্য বারবারই দায়ী করা হচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোকে। এমন পরিস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করছেন গবেষকেরা।
এই তাপমাত্রা বাড়ার গতি আগের চেয়ে অনেক বেশি দ্রুত বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন গবেষকরা। এ ছাড়া ইউরোপে চলমান তাপপ্রবাহ আরও রেকর্ড ভাঙতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ।
সমুদ্রের উষ্ণতা এবং অ্যান্টার্কটিক সমুদ্রের বরফ নিয়ে ধারাবাহিক গবেষণার ফল চিন্তার ভাঁজ বাড়াচ্ছে পরিবেশ বিজ্ঞানীদের। তাদের দাবি, আবহাওয়া এবং মহাসাগরগুলোর তাপমাত্রা জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে অনেক বেশি জটিল হচ্ছে।
এসব বিষয় নিয়ে আরও গবেষণা চলছে জানিয়ে পুরো বিশ্ব এক ভয়ংকর ও অজানা ভবিষ্যতের দিকে এগোচ্ছে বলে সতর্ক করেছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি আবহাওয়ার সব রেকর্ড এত দ্রুত ভেঙে পড়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন ভূগোলবিদরা।
আবহাওয়ার এ অবস্থার জন্য বারবারই দায়ী করা হচ্ছে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়ানোকে। সেইসঙ্গে ২০১৮ সাল থেকে উষ্ণায়নকারী প্রাকৃতিক আবহাওয়া ব্যবস্থাও এর জন্য দায়ী। চলতি বছরের গ্রীষ্মেই এ পর্যন্ত তাপমাত্রা পরিবর্তনের চারটি রেকর্ড ভেঙে নতুন রেকর্ড হয়েছে।
এমন পরিস্থিতিতে খাদ্য উৎপাদন হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে সতর্ক করছেন গবেষকেরা। তীব্র তাপপ্রবাহের জেরে শুধু মানুষ নয়, বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজনীয় স্থল ও জলভাগ হুমকিতে থাকার কথাও বলা হচ্ছে।
বিজ্ঞানীদের আশঙ্কা, ২০৪০ সাল নাগাদ বিশ্বে তাপপ্রবাহ বাড়বে আরও ১২ গুণ। এ ছাড়া সাগরের তাপমাত্রা বাড়ায় সেখানে মানুষের খাদ্যের উৎসগুলোও পড়ছে হুমকির মুখে। এমনকি বৈশ্বিক পরিবেশের এমন পরিবর্তনের গতিবিধি এখনও পুরোপুরি বুঝে উঠতে পারছেন না বলেও জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা।
Leave a Reply