বিশ্বের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ব্যাংকে নানা দেশের স্বর্ণ সঞ্চিত রয়েছে। এখন সেগুলো তুলে এনে নিজ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রাখছে দেশগুলো। পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ভয়ে এ তোড়জোড় শুরু করেছে তারা।
ইনভেসকো গ্লোবাল সোভেরিন অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের বার্ষিক জরিপে এ তথ্য উঠে এসেছে। কানাডাভিত্তিক প্রভাশালী বাণিজ্যিক সংবাদমাধ্যম কিটকোর এক প্রতিবেদনে তা জানা গেছে।
এতে বলা হয়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারির শেষদিকে ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালায় রাশিয়া। পরিপ্রেক্ষিতে রুশদের ওপর অজস্র নিষেধাজ্ঞা জারি করে পশ্চিমা বিশ্ব। এতে প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির দেশের নানা সম্পদ মার্কিন নেতৃত্বাধীন জালে আটকে যায়।
সেই থেকে এখন পর্যন্ত সবাই মিলে রাশিয়ার ৬৪০ বিলিয়ন ডলারের স্বর্ণ এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ জব্দ করেছে পশ্চিমা মহল। এতে আতঙ্কিত হয়ে উঠেছে বিভিন্ন দেশ।
তারা মনে করছে, তাদের ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত জোট। সেই ভয়ে মূল্যবান ধাতুটি তুলে আনছে আশঙ্কায় থাকা দেশগুলো।
# ডলারের ব্যাপক পতন, ইউরো-পাউন্ড-ইয়েনের বড় উত্থান
ইনভেসকোর জরিপে অংশ নিয়েছে ৮৫টি সার্বভৌম সম্পদ তহবিল এবং ৫৭ কেন্দ্রীয় ব্যাংক।তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ২১ ট্রিলিয়ন ডলার সম্পদ।
জরিপে দেখা যায়, রুশ রিজার্ভ বাজেয়াপ্ত করা নিয়ে উদ্বিগ্ন অধিকাংশ কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সংখ্যাগরিষ্ঠ (৫৮ শতাংশ) সম্মত হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের এ প্রক্রিয়া স্বর্ণকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
এতে অংশগ্রহণকারী ৬৮ শতাংশ মনে করেন, এ মুহূর্তে নিজ দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকেই স্বর্ণ মজুত রাখা বেশি নিরাপদ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, এতদিন আমরা আমাদের রিজার্ভের স্বর্ণের বড় অংশ ইংল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকে গচ্ছিত রেখেছি। এখন সেগুলো নিজ দেশে ফিরিয়ে আনছি। নিরাপদ আশ্রয় ধাতুটিতে সুরক্ষিত রাখতে এ পদক্ষেপ নিয়েছি।
Leave a Reply