দুদকের ‘নির্দোষ সনদ’ পেতে তৎপর অভিযুক্ত এমপিরা”- এই শিরোনামে প্রধান খবর করেছে সমকাল। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, স্বচ্ছ ভাবমূর্তি প্রমানে নির্বাচনের আগেই দুর্নীতির অভিযোগ থেকে মুক্ত হতে তদবির করছেন বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন এমপি। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে নির্দোষ সনদ পেতে চাইছেন তারা।

গত দেড় বছরে বর্তমান ও সাবেক আটজন এমপি-কে ‘নির্দোষ সনদ’ হিসেবে পরিচিত পুলিশ সমাপ্তীকরণ চিঠি তথা অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে দুদক। অনুসন্ধান চলমান রয়েছে বর্তমান ছয় এবং আট এমপির বিরুদ্ধে।

দুদকের একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করা শর্তে সমকালকে জানিয়েছে বর্তমানে সাবেক এমপিদের কেউ কেউ সরাসরি যোগাযোগ করেছেন, দুদকে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাতের চেষ্টা করছেন, প্রভাবশালী রাজনীতিক দের মাধ্যমে চাপ দিচ্ছেন, রাজনীতির বাইরের প্রভাবশালীদের দিয়েও তদবির করছেন।

নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, “$3.7b needed to use half power capacity until Dec”। অর্থাৎ ডিসেম্বর পর্যন্ত অর্ধেক বিদ্যুৎ ব্যবহারে প্রয়োজন ৩৭০ কোটি মার্কিন ডলার।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের একটি অনুমানিক হিসাবে দেখা গিয়েছে যে, তারা যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো স্থাপন করেছে। সেগুলো থেকে জুলাই থেকে ডিসেম্বর সক্ষমতার অর্ধেক বিদ্যুৎ ব্যবহার করতে গেলেও বাংলাদেশকে ৩৭০ কোটি ডলারের বেশি খরচ করতে হবে, এই খরচ মেটাতে দুই কোটি ডলারের বেশি ভর্তুকি প্রয়োজন।

পিডিবির হিসেবে, ফার্নেস অয়েল এবং কয়লার মতো জ্বালানি আমদানি, ঋণের কিস্তি পরিশোধ এবং ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য অর্থের প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশে বর্তমান ২৪ হাজার ১৪৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা থাকলেও, জ্বালানি রয়েছে এর অর্ধেক উৎপাদনের।

বিদ্যুৎ খাত নিয়ে বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, “২০২৫ সালে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতার প্রায় ৬০ শতাংশ অব্যবহৃত থাকবে”। খবরে বলা হচ্ছে, দেশে বিদ্যুতের বর্তমান ইনস্টল ক্যাপাসিটি ২৪ হাজার ২৬৩ মেগাওয়াট (ক্যাপটিভ বাদে)।

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের হিসাব অনুযায়ী, আগামী ২০২৫ সাল নাগাদ সক্ষমতায় যুক্ত হবে আরো অন্তত সাড়ে ১৪ হাজার মেগাওয়াট। এ সক্ষমতা যুক্ত হলে দেশে সংশ্লিষ্ট সময়ে মোট সক্ষমতা তৈরি হবে ৩৮ হাজার ৭০০ মেগাওয়াটের কিছু বেশি।

দ্য নিউ এইজ

অথচ দেশে বর্তমানে (জুলাই ২০২৩) বিদ্যুতের চাহিদা রয়েছে গড়ে সাড়ে ১৩ হাজার মেগাওয়াট। এরপর প্রতি বছরে ১০ শতাংশ হারে অর্থাৎ বছরে ১৩০০ মেগাওয়াট করে চাহিদা বৃদ্ধি পেলে সংশ্লিষ্ট বছরে চাহিদা দাঁড়ায় ১৬,২০০ মেগাওয়াট। সে হিসাবে ২০২৫ সাল নাগাদ যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা তৈরি হবে, তার প্রায় ৬০ শতাংশই অব্যবহৃত থাকবে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা রয়েছে তার অর্ধেকের কিছু বেশি ব্যবহার হচ্ছে। বাকি সক্ষমতার কেন্দ্র বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জ দিচ্ছে বিপিডিবি। অতিরিক্ত সক্ষমতা যুক্ত হলে বিপিডিবির কাঁধে যে পরিমাণ ব্যয়ের বোঝা যুক্ত হবে তা সামাল দেয়া কষ্টসাধ্য হবে।

সরকারি সার্ভারের তথ্য ফাস নিয়ে দৈনিক যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, “তথ্য সুরক্ষায় চরম ব্যর্থতা”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকারি বা বেসরকারি যে প্রতিষ্ঠানই নাগরিকের তথ্য নেবে তাদেরই দায়িত্ব এগুলো সুরক্ষিত রাখা। কিন্তু অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানই তথ্য সুরক্ষিত রাখতে চরমভাবে ব্যর্থ।

অনেকেই আবার সুরক্ষা নিশ্চিতে উদাসীন, কেউ কেউ এ বিষয়ে অনীহাও প্রকাশ করেছে। ফলে মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। সাইবার নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আর্থিক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরের ওয়েবসাইট।

এই ঝুঁকি কাজে লাগিয়ে হ্যাকাররা নাগরিকদের স্পর্শকাতর তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। ডলারের (ক্রিপ্টোকারেন্সি) বিনিময়ে যা পাওয়া যাচ্ছে ডার্ক ওয়েবে। সাইবার নিরাপত্তা মনিটরিংয়ের দায়িত্বে থাকা সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোও এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

যুগান্তর

ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা ট্রিবিউনের প্রধান শিরোনাম, “Dengue outbreak: Tragic deaths of children raise concern”। এতে বলা হচ্ছে, ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ উদ্বেগজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় বাংলাদেশে শিশুদের মর্মান্তিক মৃত্যু হচ্ছে।

শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, বর্তমান ডেঙ্গু পরিস্থিতি শিশুদের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলেছে। শিশুদের রক্তে প্লাটিলেটের হার উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাচ্ছে, যা অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।

শিশুদের শরীরে সাধারণত দেড় লাখ থেকে চার লাখ প্লাটিলেট থাকে। এর নিচে নেমে গেলে মারাত্মক ঝুঁকির সৃষ্টি হয়। এক্ষেত্রে প্রায়শই ডেঙ্গু হেমোরেজিক জ্বর বা ডেঙ্গু শক সিন্ড্রোম হয়, যা অত্যন্ত গুরুতর। তাই কোন শিশুর ডেঙ্গু শনাক্ত হলে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

দেশের সব জেলায় ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মুখে রয়েছে ঢাকা মহানগরী। গতকাল পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায়, সারা দেশে ৮৩৬জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে, এরমধ্যে ঢাকায় ভর্তি হয়েছে ৫১৬ জন।

প্রথম আলোর প্রথম পাতার খবর, “পার্বত্য তিন জেলায় ম্যালেরিয়া এবং ডেঙ্গুর প্রকোপ”।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, পার্বত্য তিন জেলা রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে গতকাল রোববার পর্যন্ত ৭২ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। অথচ গত বছরের প্রথম ছয় মাসে এই তিন জেলায় কোন ডেঙ্গু রোগী ছিল না।

ম্যালেরিয়া প্রবণ পার্বত্য জেলায় ডেঙ্গুর বিস্তার এই অঞ্চলের হাসপাতালগুলোতে চাপ সৃষ্টি করেছে। এদিকে রাঙামাটি ও খাগড়াছড়িতে চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে আগের বছরের এই সময়ের তুলনায় ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।

যদিও আরেক পার্বত্য জেলা বান্দরবানে আগের বছরের তুলনায় কমেছে।

ঢাকা ট্রিবিউন

বাংলাদেশ প্রতিদিনের প্রথম পাতার খবর, “সর্বজনীন পেনশন বাস্তবায়ন নিয়ে প্রশ্ন আইএমএফের!”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, সরকারের দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল সর্বস্তরের জনগণের জন্য একটি সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করা।

সেটির বাস্তবায়ন করারও ঘোষণা দেওয়া হয়েছে নতুন ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে। কিন্তু এটি কতটা টেকসই হবে এবং এটার বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া কতটা স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার মধ্যে থাকবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল।

ঢাকা সফররত সংস্থাটির প্রতিনিধি দল আজ এ বিষয়ে অর্থ বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবে। সেখানে এই স্কিম বাস্তবায়নের একটি কর্মপরিল্পনা তুলে ধরা হবে।

এদিকে আইএমএফের চাপে সুদের হার কমানোয় সঞ্চয়পত্রের বিক্রি কমেছে। অর্থাৎ মানুষ এ খাতে বিনিয়োগের চেয়ে টাকা তুলে নিচ্ছে বেশি। যার ফলে সরকারের ব্যাংক ঋণ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মানবজমিনের প্রথম পাতার খবর, “৩ চক্রে অস্থির নিত্যপণ্যের বাজার”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, চাল, ডাল, পিয়াজ, চিনি, আটা, নুন, ভোজ্য তেল, মাছ, সবজি ও মুরগি- এসব পণ্য নিয়ে যেন চলছে দাম বৃদ্ধির প্রতিযোগিতা। প্রতি সপ্তাহে বাড়ছে। আবার কোনো পণ্যের দাম প্রায় প্রতিদিনই বাড়ছে।

মানুষ যা আয় করছে সিংহভাগই শেষ হচ্ছে বাজার করতে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বাড়লে দেশেও বাড়ে। কিন্তু পরে কমলে দেশের বাজারে আর কমে না।

মূলত দেশের ভোগ্যপণ্যের দাম ওঠানামা করে করপোরেট প্রতিষ্ঠান, বড় ব্যবসায়ী ও অসাধু পাইকার সিন্ডিকেট চক্রের ইচ্ছায় বলে মনে করেন অনেকেই।

ভোজ্য তেল, চিনি, আদা-ময়দা থেকে শুরু করে সব ধরনের পণ্যই এরাই উৎপাদন, আমদানি ও সরবরাহ করে থাকে। তাদের কাছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যেন অসহায়।

তথ্য ফাস নিয়ে যুগান্তরের খবর “সাজা ৫ বছরের কারাদণ্ড”। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, হঠাৎ করেই দেশে নানাভাবে নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যাচ্ছে। এতে নাগরিকদের মাঝে বাড়ছে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ও আতঙ্ক।

অনেকেই ছুটছেন আইটি বিশেষজ্ঞদের কাছে। জানতে চাচ্ছেন তার এনআইডি বা ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত আছে কিনা। এ বিষয়ে দেশের প্রচলিত বা বিশেষ আইনে কী আছে।

এ বিষয়ে ২০১১ সালে প্রণীত তথ্য প্রকাশ (সুরক্ষা প্রদান) আইনে বলা হয়েছে, ব্যক্তির কোনো ধরনের তথ্য কেউ যদি বেআইনিভাবে প্রকাশ করে তাহলে তা অপরাধ হিসাবে গণ্য হবে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি আইনের মাধ্যমে প্রতিকার পাবেন।

নাগরিকের গোপনীয় কোনো তথ্য প্রকাশকারী ব্যক্তি এই আইনের অধীন অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবেন এবং ওই অপরাধের জন্য তিনি অন্যূন ২ বছর, অনধিক ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

তথ্য প্রকাশকারী কোনো সরকারি কর্মকর্তা হলে এবং তিনি কোনো মিথ্যা তথ্য প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে অর্থদণ্ড ছাড়াও বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে।