রোববার (৯ জুলাই) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তবে এ সময় নাগরিকদের বায়োমেট্রিক কিংবা আঙ্গুলের ছাপও উন্মুক্ত হয়েছে কি না এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি।
ডিজি দাবি করেন, ‘আমাদের সার্ভারের কোনো প্রকার তথ্য আসেনি ও যায়নি, আমাদের সার্ভার সুরক্ষিত আছে।’
তিনি জানান, যারা আমাদের থেকে সার্ভিস নেন তাদের কারও কাছ থেকে এটা হতে পারে। তদন্তের মাধ্যমে ওই প্রতিষ্ঠানকে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি জানান, ১৭১টি প্রতিষ্ঠান এনআইডি সার্ভার থেকে সেবা নেয়।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে এনআইডি সার্ভারের নিরাপত্তার বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, আমাদের সাইটে অ্যাবনরমাল হিট পাইনি। আমাদের সার্ভার পাবলিক প্রপার্টি নয়, এটা নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব সম্পদ। এখানে কেউ চাইলেই কিছু লিখতে বা নিতে পারে না।
তবে ঘটনার পর পার্টনারদের সাইট অডিট করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
এর আগে বাংলাদেশ সরকারের রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয়ের জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন ওয়েবসাইট থেকে তথ্য ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
সকালে আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এক অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানশেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পলক এমন মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, যে ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল, সেই ২৯টি প্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকে ২৭ নম্বর প্রতিষ্ঠানটি এ পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছে।
এদিকে ২৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৭ নম্বরে রয়েছে রেজিস্ট্রার জেনারেল কার্যালয় (জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন)।
তথ্য উন্মুক্তের ঘটনায় এনআইডির সেন্ট্রাল সার্ভার বড় কোনো হুমকির মুখে নেই বলে জানিয়েছেন এনআইডি সার্ভারের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ স্কোয়াড্রন লিডার সাদ ওয়ায়েজ তানভীর। তিনি বলেন, এনআইডি সার্ভার হুমকিতে না থাকলেও আপাতত জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন অধিদফতরকে নাগরিকদের তথ্য দেয়া বন্ধ রাখা হবে।
তথ্য উন্মুক্তের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, ১৭১টি অংশীদার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কেউ নিয়মভঙ্গ করে বিপুল পরিমাণ তথ্য জমা রাখায় কিংবা তাদের সার্ভারের দুর্বলতার কারণে তথ্য উন্মুক্তের ঘটনা ঘটতে পারে। এ অবস্থায় এনআইডির ডাটা সেন্টারের নিরাপত্তা নিশ্চিতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুরো ব্যবস্থাটিকে আরও সুরক্ষিত করার চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার (৮ জুলাই) প্রযুক্তিবিষয়ক মার্কিন ওয়েবসাইট টেকক্রাঞ্চ জানায়, বাংলাদেশ সরকারের একটি ওয়েবসাইট থেকে কয়েক লাখ নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য ‘ফাঁস’ হয়েছে। যেখানে অনেকের পুরো নাম, ফোন নম্বর, ই-মেইল ঠিকানা ও জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর রয়েছে।
Leave a Reply