1. admin@kishorganjeralo.com : kishorganjeralo.com :
  2. admin@shadinota.net : shadinota net : shadinota net
ব্রেকিং নিউজ :

নিখোঁজ সেই সাবমেরিনে রয়েছেন পাকিস্তানি ধনকুবের দাউদ

  • আপডেট সময় : বুধবার, ২১ জুন, ২০২৩
  • ৭১ বার পঠিত

আটলান্টিক মহাসাগরে টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে নিখোঁজ ওশানগেট কোম্পানির টাইটান সাবমেরিনে রয়েছেন পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ ও তার ছেল সুলেমান দাউদসহ পাঁচজন যাত্রী।

বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানা গেছে, সাবমেরিনটিতে পাইলট ও ক্রু ছাড়াও তিনজন পর্যটক আছেন। এদের মধ্যে একজন ব্রিটিশ অভিযাত্রী হামিশ হার্ডিং। বাকি দুজন পাকিস্তানি ধনকুবের শাহজাদা দাউদ ও তার ছেলে সুলেমান দাউদ।

৪৮ বছর বয়সী ব্রিটিশ ব্যবসায়ী শাহজাদা দাউদ পাকিস্তানের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের একজন। তিনি তার ১৮ বছর বয়সী ছেলে সুলেমান দাউদের সঙ্গে সাবমেরিনটিতে ভ্রমণ করছিলেন।
 
শাহজাদা পাকিস্তানি সার ফার্মের এনগ্রো করপোরেশনের ভাইস চেয়ারম্যান। এ ছাড়াও তিনি তার পারিবারিক প্রতিষ্ঠান দাউদ ফাউন্ডেশনের সঙ্গেও কাজ করেন। একই সঙ্গে ক্যালিফোর্নিয়ার এসইটিআই নামক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও তিনি যুক্ত রয়েছেন। শাহজাদা দাউদ রাজা চার্লসের প্রতিষ্ঠিত দুটি দাতব্য সংস্থা: ব্রিটিশ এশিয়ান ট্রাস্ট ও প্রিন্স ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনালের সঙ্গেও যুক্ত আছেন।

শাহজাদা দাউদ দক্ষিণ-পশ্চিম লন্ডনের সুরবিটনে তার স্ত্রী ক্রিস্টিন এবং অন্য সন্তান আলিনার সঙ্গে থাকেন। তবে আটলান্টিক মহাসাগরে যাত্রার আগে তারা এক মাস কানাডায় ছিলেন।
 
নিখোঁজ সাবমেরিনটি উদ্ধারে তৎপরতা চালাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার অনুসন্ধানকারী দল। টাইটান নামের ওই সাবমেরিনটিতে আর মাত্র ৩০ ঘণ্টার অক্সিজেন আছে বলে জানিয়েছে মার্কিন কোস্টগার্ড।
 
মার্কিন কোস্টগার্ড আরও জানিয়েছে, মঙ্গলবার (২০ জুন) তল্লাশি অঞ্চল থেকে জোরে ঠুনঠুন শব্দ শুনতে পেয়েছে অনুসন্ধানকারী কানাডিয়ান পি-৩ বিমান। টুইটারে মার্কিন কোস্টগার্ড লিখেছে, ‘একটি কানাডিয়ান পি-৩ বিমান তল্লাশি এলাকায় পানির নিচে নিখোঁজ সাবমেরিনের ‘ঠুনঠুন’ শব্দ শনাক্ত করেছে।’
  
মার্কিন বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, সাবমেরিনটি যে স্থানে ডুবে গিয়েছিল, সেখান থেকে ৩০ মিনিট পরপর ‘ঠুনঠুন’ (স্টিলের সঙ্গে কোনো বস্তুর আঘাত লাগলে যে শব্দ হয়) শব্দ পাওয়া যাচ্ছে। তবে শব্দটি কতক্ষণ স্থায়ী হচ্ছে, এটা এখনও স্পষ্টভাবে জানা যায়নি।
 
১৯১২ সালে যুক্তরাজ্যের সাউদাম্পটন থেকে নিউইয়র্কের উদ্দেশে যাত্রা করে টাইটানিক। প্রথম সমুদ্রযাত্রায় মাঝপথে বিশাল বরফখণ্ডের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে আটলান্টিক মহাসাগরে ডুবে যায় তৎকালীন বিশ্বের বৃহত্তম যাত্রীবাহী জাহাজটি। ভয়াবহ ওই দুর্ঘটনায় দেড় হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়।
 
১৯৮৫ সালে কানাডার নিউফাউন্ডল্যান্ড উপকূল থেকে ৬০০ কিলোমিটার দূরে আটলান্টিকের সাড়ে ১২ হাজার ফুট নিচে এর ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর থেকেই বহু সংস্থা তা নিয়ে গবেষণা চালিয়ে আসছে। মাঝে মাঝেই পর্যটকদের নিয়ে যাওয়া হয় সেই ধ্বংসাবশেষ দেখাতে। আট দিনের এ ভ্রমণের জন্য আড়াই লাখ ডলার খরচ করতে হয় পর্যটকদের।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 shadinota.net
Design & Development By Hostitbd.Com