এর আগে নিজেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র দাবি করা সাতক্ষীরা পৌরসভার প্যানেল মেয়র-১ কাজী ফিরোজ হাসানকে তলব করেন হাইকোর্ট। তাকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে জেনেশুনে হাইকোর্টের কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করায় কারণ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়।
গত ৬ ফেব্রুয়ারি মেয়র তাসকিন আহমেদকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে প্যানেল মেয়র-১ কাজী ফিরোজ হাসানকে আর্থিক ক্ষমতাসহ ভারপ্রাপ্ত মেয়রের দায়িত্ব দেয়। কিন্তু ওই আদেশটি হাইকোর্ট স্থগিত করেন ১৪ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু, প্যানেল মেয়র-১ কাজী ফিরোজ হাসান জোর করে নিজেকে ভারপ্রাপ্ত মেয়র দাবি করে কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিলেন। হাইকোর্টের আদেশের বিষয়টি সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ অবগত হওয়ার পর তার স্বাক্ষরিত কোনো ধরনের চেক বা লেনদেন পৌরসভার পক্ষ থেকে আসলে সেটাকে গ্রহণ না করায় সিটি ব্যাংক সাতক্ষীরা শাখা কর্তৃপক্ষের প্রতি কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে জানতে চাওয়া হয়—তাদের ট্রেড লাইসেন্স কেন বাতিল করা হবে না, একইসঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে কেন ফৌজদারি মামলাসহ দুদকে অভিযোগ করা হবে না?
বিষয়টি সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আদালতের নজরে নিয়ে আসে এবং এই মামলায় অতিরিক্ত বিবাদী হওয়ার জন্য আবেদন করে। হাইকোর্ট তাদের আবেদনটি গ্রহণ করে এবং প্যানেল মেয়র-১ কাজী ফিরোজ হাসানকে তলব করেন।
Leave a Reply