1. admin@kishorganjeralo.com : kishorganjeralo.com :
  2. admin@shadinota.net : shadinota net : shadinota net
ব্রেকিং নিউজ :

নির্বাচনী বছরে ভর্তুকিবাড়াচ্ছে সরকার

  • আপডেট সময় : সোমবার, ২৯ মে, ২০২৩
  • ১৪৪ বার পঠিত

বিদ্যুৎ-জ্বালানিসহ প্রায় সবখাতে ভর্তুকি কমিয়ে আনতে চায় সরকার। দাতা সংস্থাগুলোও ঢালাও ভর্তুকির বিপক্ষে। তবুও আসছে বাজেটে বাড়ছে ভর্তুকি-ব্যয়। বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে যার পরিমাণ ৮২ হাজার ৭৪৫ কোটি টাকা। সার, বিদ্যুৎ, এলএনজি, নগদ ও খাদ্যপণ্য-সহায়তা এবং রপ্তানি প্রণোদনায় এই ভর্তুকি দেবে সরকার। 

ভর্তুকি থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করছে সরকার। এবছরই কয়েক দফা বাড়ানো হয়েছে বিদ্যুতের দাম। সমন্বয় করা হয়েছে গ্যাস ও জ্বালানি তেলের দামও। সম্প্রতি সারের দামও বাড়ানো হয়েছে। ধীরে ধীরে বিভিন্ন খাতে ভর্তুকি কমানো হচ্ছে। আইএমএফসহ দাতা সংস্থাগুলোও ভর্তুকি কমানোর পক্ষে।

এরপরও আসছে বাজেটে সার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি তেল, এলএনজি, নগদ সহায়তা, খাদ্যপণ্য ও রপ্তানিতে দেয়া হচ্ছে বড় ভর্তুকি।

চলতি অর্থবছরে ভর্তুকি বাবদ বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৮২ হাজার ৭শ’ ৪৫ কোটি টাকা। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে এ খাতের বরাদ্দ কমপক্ষে ১৮ হাজার কোটি টাকা বাড়িয়ে উন্নীত করা হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের বকেয়া দায় মেটাতেই ব্যয় হবে ভর্তুকির বড় একটি অংশ।

 

মাতারবাড়ী প্রকল্প, রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র, মেট্রোরেলসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পে ঋণের দায় শোধে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের বাড়তি সুদ পরিশোধ করতে হবে। তাই তেল, গ্যাস, বিদ্যুতে দেনা পরিশোধের কারণেই আসছে বাজেটে সার্বিক ভর্তুকি বাড়ছে বলে জানালেন পরিকল্পনামন্ত্রী।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, “সকল ভর্তুকি নয়, ভালো ভর্তুকি, মঙ্গলজনক ভর্তুকি, লাভ হয় ভর্তুকির- কৃষিতে। ফসল বাড়ে, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে। সেখানে ভর্তুকির ঘোষণা দিয়েছেন সরকারপ্রধান, অন্যের কথা এখানে মানা হবে না।”

এছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্য সহায়তার মতো সামাজিক প্রকল্পে নির্বাচনী বছরের ভর্তুকি বাড়াতে হচ্ছে সরকারকে।

 

এছাড়া মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি এবং খাদ্য সহায়তার মতো সামাজিক প্রকল্পে নির্বাচনী বছরের ভর্তুকি বাড়াতে হচ্ছে সরকারকে।

 

এমএ মান্নান বলেন, “নিম্নআয়ের মানুষ যারা গ্রামেগঞ্জে বা শহরে আছে, তাদের আয় সীমিত। তাদের জন্য সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে মূল্য কমিয়ে নানাভাবে জীবনটাকে একটু সহনীয় করা যায়।”

 

অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, “সামাজিক সুরক্ষা খাতের কর্মসূচিগুলোর উপর গুরুত্ব দিতে হবে। গ্রামের দরিদ্র মানুষের জন্য অনেকগুলো কর্মসূচি আছে এগুলোর টার্গেটিংটা যাতে সঠিকভাবে হয়।”

এদিকে, খাদ্য সহায়তা ও কৃষির ভর্তুকির অর্থ পণ্য-দ্রব্যের পরিবর্তে নগদ পরিশোধের পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।

 

 

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 shadinota.net
Design & Development By Hostitbd.Com