“রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাতে চীনা উপপররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমাদের বক্তব্য বলেছি। আমাদের অগ্রাধিকার হচ্ছে রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানো। সম্প্রতি আরেকটি সমস্যা হচ্ছে, যারা রোহিঙ্গাদের জন্য তহবিল দিত, তারা টাকাপয়সা কমিয়ে দিয়েছে। অনেকে অনেক বেশি কমিয়ে দিয়েছে। যেমন, আগে যুক্তরাজ্য ১২৬ মিলিয়ন (১২ কোটি ৬০ লাখ) মার্কিন ডলার দিত, কিন্তু এ বছরে তারা ৫.৪ মিলিয়ন (৫৪ লাখ) ডলার দিয়েছে। আমাদের দেননি, জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনারকে (ইউএনএইচআর) দিয়েছে,” যোগ করেন আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, তবে প্রতিবছর রোহিঙ্গাদের পেছনে ১.৯ বিলিয়ন (১৯০ কোটি) মার্কিন ডলার খরচ করতে হচ্ছে আমাদের। এছাড়াও অবকাঠামো বানাতে হয়েছে তাদের জন্য। সবমিলিয়ে আমরা চাই, তারা ফেরত যাক। তারা (চীন) মিয়ানমারকে নিয়ে এসেছিল। মিয়ানমারের লোকজন এসে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে আলাপ করেছিল। রোহিঙ্গাদের কেউ কেউ নিজ দেশে ফেরত যেতে চান, আবার কেউ কেউ কিছু দাবিও তুলেছে।
“চীনের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্ক ভালো। রোহিঙ্গাদের দাবি—তারা নিজেদের গ্রামে, বাড়িতে যেতে চান। মিয়ানমার বলেছিল, তারা কিছু বাড়িঘর বানিয়েছে, সেখানে রোহিঙ্গাদের রাখতে চায়। কিন্তু রোহিঙ্গারা বলে, তারা নিজেদের বাড়িতে যাবে। তারপর মুক্ত চলাচল ও কাজের সুযোগও দাবি করেছে তারা। রোহিঙ্গারা অবশ্য চায়, তারা গেলে নাগরিকত্ব দেয়া হবে কিনা; এসব প্রশ্ন—এগুলো এখনো জঞ্জালের মধ্যেই আছে। আমার ধারণা, রোহিঙ্গাদের সুন্দর ভবিষৎ তার নিজ দেশেই সম্ভব, অন্যকোথাও তারা ধীরে ধীরে কঠিন অবস্থার মধ্যে পড়ে যাবে।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, এরইমধ্যে রোহিঙ্গাদের সংখ্যা কক্সবাজারের স্থানীয় মানুষের চেয়ে পাঁচগুণ বেড়ে গেছে। তারা স্থানীয়
Leave a Reply