দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার আলীরহাটে লোহার খনির সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের খনন শুরু হয়েছে। আট মাসে ৬টি হোল ড্রিলিংয়ের মাধ্যমে নিশ্চিত করা হবে কি পরিমাণ লৌহ আকরিক মজুত রয়েছে খনিতে। আকরিকের মজুত ও অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হবে কিনা তার ভিত্তিতে উত্তোলনের সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
২০১৯ সালে দিনাজপুরের হাকিমপুরের আলীহাটে লোহার খনি আবিষ্কার করে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর। সেসময় ৬২৫ মিলিয়ন মেট্রিক টন লৌহ আকরিকের সন্ধান পাওয়া যায়, যা ৪০৮ থেকে ৬৩২ মিটার গভীরতায় ৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে আছে।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম বলেন, এবার দ্বিতীয় পর্যায়ে খনের কাজ শুরু হয়েছে। এর মাধ্যমে লোহার গুণগত মান ও মজুতের পরিমাণ নির্ধারণ হবে। এছাড়া, অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে কিনা সে বিষয়ে সম্ভবতা যাচাই করে পেট্রোবাংলার কাছে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
দিনাজপুর-৬ আসন সংসদ সদস্য শিবলী সাদিক বলেন, খনির কার্যক্রম শুরু হলে, এলাকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বাড়বে। এতে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে দূর হবে বেকারত্ব।
প্রথম জরিপের তথ্যেমতে, খনিতে যে পরিমাণ লৌহ আকরিক রয়েছে, তা তোলা গেলে আগামী ৩০ থেকে ৪০ বছর দেশের লোহার চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে।
Leave a Reply