চীন আগেই জানিয়েছিল কাশ্মীরে আয়োজিত কোনো বৈঠকে তারা অংশ নেবে না। শেষ মুহূর্তে নিজেদের প্রতিনিধি সরিয়ে নেয় তারা। এর আগে অরুণাচলের বৈঠকে যোগ দেওয়া নিয়েও আপত্তি জানিয়েছিল চীন। এরপর একে একে আরও তিনটি দেশ কাশ্মীরের বৈঠকে যোগ দিতে অস্বীকার করে।
২২ থেকে ২৪ মে পর্যন্ত জি-২০ প্রস্তুতি বৈঠকের আয়োজন হয় কাশ্মীরের শ্রীনগরে। চীনের পর তুরস্ক জানায় তারা এই বৈঠকে যোগ দেবে না। এরপর সৌদি আরব ও মিসর কাশ্মীরের সম্মেলনে যোগ দিতে অস্বীকার করে। এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে ভারতীয় প্রতিনিধি মেজাজ হারান বলেও অভিযোগ উঠেছে। এক ফরাসি সাংবাদিক এ বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি কাশ্মীরের শ্রীনগরে মূলত পর্যটন নিয়ে বৈঠক হয়েছে। এতে শেষপর্যন্ত ১৬টি দেশের ৬০ জন প্রতিনিধি যোগ দেন। চারটি দেশের কোনো প্রতিনিধি অংশ নেননি।
কাশ্মীরে জি-২০ সম্মেলন আয়োজন নিয়ে আরও কিছু প্রতিকূলতা সৃষ্টি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছিল গুলমারগে বৈঠকের আয়োজন হবে। শ্রীনগর থেকে গুলমারগের দূরত্ব প্রায় ৭০ কিলোমিটার। পাহাড়ঘেরা গুলমারগের আয়োজনস্থল শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয়। প্রকাশ্যে না বলা হলেও সূত্র জানায়, নিরাপত্তাজনিত কারণেই ওই জায়গা বাতিল করা হয়েছে। সব বৈঠকই শ্রীনগরে হয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের একটি অংশ প্রশ্ন তুলেছেন, সেপ্টেম্বরে বিশ্বনেতাদের উপস্থিতিতেও কি কাশ্মীর বিতর্ক সামনে এসে পড়বে?
Leave a Reply