বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশ আঘাত করতে যাচ্ছে -এটি এখন মোটামুটি নিশ্চিত। এজন্য স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দুই নম্বর থেকে চার নম্বরে উন্নীত করা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন বিবিসি বাংলাকে বলেন, “ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশের ওপর দিয়ে যাবে, তাই চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এর ফলে কোন এলাকাগুলোতে বেশি প্রভাব পড়বে, তা আরো পরে জানা যাবে।”
ঘূর্ণিঝড় মোখা রবিবার দুপুর নাগাদ যখন বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত করবে, তখন সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ার কথা বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্বে বঙ্গোপসাগরের ওপর অবস্থিত সেন্ট মার্টিন দ্বীপে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে যে ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলীয় অঞ্চলের কাছে দিয়ে যাওয়ার সময় ৫ থেকে ৭ ফুট উঁচু ঢেউ আঘাত করতে পারে।
সেন্ট মার্টিনে এই ঢেউয়ের উচ্চতা আরেকটু বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ সমরেন্দ্র কর্মকার বিবিসি বাংলাকে বলেন, “উপকূলীয় এলাকায় ৫ থেকে ৭ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে ধারণা দেয়া হয়েছে। সেন্ট মার্টিনের ক্ষেত্রে এই ঢেউয়ের উচ্চতা হয়তো আরেকটু বেশি হতে পারে।”
আবহাওয়া অধিদপ্তর অবশ্য বলছে জলোচ্ছ্বাসের প্রকৃত উচ্চতা কতটা হবে তা ঘূর্ণিঝড় আঘাত করার ২৪ ঘণ্টা আগে জানানো সম্ভব হবে।
সেন্ট মার্টিনে বসবাস করা মানুষ এবং সেখানকার বিভিন্ন ধরণের স্থাপনার বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে। সেই আশঙ্কায় দ্বীপটির অনেকেই দ্বীপ ছেড়ে টেকনাফে চলে যাচ্ছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
সেন্ট মার্টিনের একজন বাসিন্দা এবং ইউনিয়ন পরিষদের একজন প্যানেল চেয়ারম্যান আখতার কামাল বিবিসি বাংলাকে জানান গতকাল (বৃহস্পতিবার) ও আজ দুইদিনই সেন্ট মার্টিন থেকে প্রায় দুই হাজার মানুষ টেকনাফে চলে গেছেন।
আখতার কামাল বলছিলেন, “সেন্ট মার্টিনে সাইক্লোন সেন্টার খুবই কম। তাই অনেকেই কালকে আর আজকে টেকনাফে চলে গেছে।”
“যারা গেছেন তারা দামী জিনিসপত্র, স্বর্ণালঙ্কার, গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে গেছেন। এছাড়া ঘরের অন্যান্য জিনিসপত্র এখানেই রেখে গেছেন।”
মি. কামাল জানান শুক্রবার দুপুরের আগেই সেন্ট মার্টিন্সের সব মাছ ধরা ট্রলার ও যাত্রী চলাচলের জন্য ব্যবহৃত নৌকা টেকনাফে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
Leave a Reply