সুদানে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফেরানোর দিন এখনও চূড়ান্ত হয়নি। সৌদি সরকারের সাথে আলোচনা করে আজ বৃহস্পতিবারের (২৭ এপ্রিল) মধ্যে তা নিশ্চিতের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ দূতাবাস।
সুদানে বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ যমুনা নিউজকে জানিয়েছেন, সেখানে থাকা ছয় শতাধিক বাংলাদেশি দেশে ফেরার জন্য নিবন্ধন করেছেন। নিজ বাসভবনে হামলার সময় সেখানেই পরিবারসহ ছিলেন এই বাংলাদেশি কূটনীতিক।
এখন দূতাবাস বা রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে কেউই নেই জানিয়ে তারেক আহমেদ বলছেন, আপাতত নিরাপদেই আছেন তারা।
গত মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় অস্ত্রবিরতি ঘোষণা হলেও সুদানের রাজধানী খার্তুমে এখনও পরিস্থিতি থমথমে। থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছে বিভিন্ন এলাকায়। অনেক জায়গায় নেই বিদ্যুৎ, এমনকি খাবার পানিও। মিলছে না খাদ্য ও নিত্যপণ্য। এমন পরিস্থিতিতে অব্যাহত আছে বিদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার প্রক্রিয়া।
গত ১৫ এপ্রিল দেশটির সেনাবাহিনী ও আধা সামরিক বাহিনী আরএসএফ এর ক্ষমতার পুরনো দ্বন্দ্ব আবারও প্রাণঘাতী সংঘাতে রূপ নেয়। সেদিনই বাংলাদেশ দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূতের বাসভবনসহ বহু স্থাপনায় ঘটে হামলার ঘটনা।
তারেক আহমেদ বলেন, যেদিন অফিসে হামলা হয়েছে, সেদিন অফিসে আমরা কেউ-ই ছিলাম না। শুধু সিকিউরিটি গার্ড ছিল। যেদিন বাসায় হামলা হলো সেদিন পরিবারসহ বাসায় ছিলাম। এখন অফিস বা বাসায় কেউ নেই। আমরা নিরাপদে আছি এখন। শহর থেকে একটু বাইরে আছি।
তাদেরকে খার্তুম থেকে বাস, পরে নৌ পথে সৌদি আরব হয়ে বিমানে ঢাকায় ফেরানোর পরিকল্পনা বাংলাদেশ দূতাবাসের। সম্ভাব্য তারিখ ৩০ এপ্রিল ধরে কাজ করছেন কর্মকর্তারা। বাংলাদেশিদের ফেরানোর এ পরিকল্পনার একটা বড় অংশই নির্ভর করছে সৌদি সরকারের ওপর।
তারেক আহমেদ বলেন, ৩০ তারিখ ধরেই কাজ করছি। জাহাজের তারিখটা জেনে নিশ্চিত করতে চেয়েছি। তারিখ ফাইনাল করার বিষয়ে আজকে একটা সম্ভাবনা রয়েছে। আর সৌদি কর্তৃপক্ষ থেকে যদি আজকে কনফার্মেশন পাই, তাহলে বাসের তারিখটাও নিশ্চিত করা যাবে।
দেশে ফেরার জন্য এখনও যারা নিবন্ধন করেননি, তাদের দ্রুত তা করতে পরামর্শ দিয়েছে দূতাবাস।
Leave a Reply