২০৩০ সালের মধ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ১ কোটি মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং বার্ষিক অতিরিক্ত ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার পণ্য উৎপাদন ও রপ্তানির প্রত্যাশা নিয়ে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এসব অঞ্চলে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আসন্ন বাংলাদেশ বিজনেস সামিটেও বিদেশিদের কাছে অর্থনৈতিক অঞ্চলের সুবিধাগুলো তুলে ধরা হবে।
তথ্যমতে, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) এরই মধ্যে ৯৭টির অনুমোদন দিয়েছে, যার ১০টি ইতিমধ্যে উৎপাদনে গেছে। যেখানে ৩৮টি উৎপাদনশীল কারখানা আছে। বাস্তবায়নাধীন ২৯টি অর্থনৈতিক অঞ্চল। ৭৮টি কারখানা নির্মাণাধীন।
অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে দেশিয় বিনিয়োগের পাশাপাশি বিদেশি বিনিয়োগও আসছে। এরইমধ্যে বিদেশি ৩৯টি প্রতিষ্ঠান প্রায় ১ হাজার ৪০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে এবং করছে। উৎপাদনে আছে ১৩টি বিদেশি কারখানা।
ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, আমাদের অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো এখন রেডি। অনেকেই এখানে বিনিয়োগ করছেন। আশা করছি, আসন্ন বাংলাদেশ বিজনেস সামিটে আরও নতুন নতুন বিদেশি প্রতিষ্ঠান অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে বিনিয়োগে আগ্রহী হবে।
বিজনেস সামিটে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলকে ব্র্যান্ডিং করা গেলে আশানুরূপ ফল মিলবে বলে জানান বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান।
এদিকে ওয়ান স্টপ সেন্টারের মাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের খুব সহজেই ১২৫ ধরনের সেবা দিচ্ছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা, যার ৫০টি অনলাইনে সহজলভ্য।
বেজা’র অতিরিক্ত সচিব ও নির্বাহী সদস্য ইরফান শরীফ বলেন, একজন বিদেশি আবেদনের মাধ্যমে বাহিরে বসেই এই ৫০টি সেবা পাবে। আমরা অধিকাংশ সেবা অনলাইনে করতে কাজ করছি।
২০৩০ সালের মধ্যে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল উৎপাদনে গেলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের সোপানে পৌঁছানো সহজ হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
Leave a Reply