যদিও গ্রীষ্মের চরম গরমের আগেই রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় গ্রাহকদের ভুগতে হচ্ছে লোডশেডিংয়ে। বিদ্যুতের অভাবে দিনদুপুরে অলস সময় কাটছে দোকানিদের। কেউ কেউ কাজ সারছেন বিকল্প উপায়ে। গ্রাহকদের দাবি, দাম বাড়লেও স্বাভাবিক হচ্ছে না পরিস্থিতির।
রাজধানীর মিরপুরের কয়েকজন দোকানি বলেন, বিদ্যুতের দাম বেড়েছে; কিন্তু তারপরও লোডশেডিং হচ্ছে। ঠিকমতো বিদ্যুৎ থাকছে না। ঘনঘন লোডশেডিং হচ্ছে। কোনো কাজ শেষ করার আগেই হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। এতে অনেক ধরনের সমস্যা হয়। সেই সঙ্গে কাস্টমারও চলে যান। গরম আসার আগেই এমন অবস্থা; গরম এলে তো মনে হয় পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।
বিদ্যুৎ বিভাগের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে সর্বোচ্চ চাহিদা দাঁড়াবে ১৬ হাজার মেগাওয়াট। বর্তমানের ১২ হাজার মেগাওয়াটের চাহিদা মেটাতেই হিমশিম অবস্থা। এমন অবস্থায় শঙ্কা বাড়ছে গরম বাড়লে পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার।
তবে নীতিনির্ধারকরা বলছেন, গতবারের তুলনায় বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমে আসা আর কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর উৎপাদন স্বস্তি জোগাচ্ছে এ খাতে। পাশাপাশি জ্বালানি তেল আমদানিতে মিলছে ডলারের নিশ্চয়তা। সব মিলিয়ে তাই চাহিদা বাড়লেও এবার পরিস্থিতি সহনীয় থাকার আশা।
এ বিষয়ে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক বলেন, ‘বিদ্যুৎ নিয়ে চ্যালেঞ্জগুলো শনাক্ত করা হয়েছে। নীতিনির্ধারক মহল এ বিষয়ে আশ্বস্ত হয়েছে। যত ধরনের রিসোর্স প্রয়োজন হবে, তা সরবরাহ করা যাবে। গত বছরের অভিজ্ঞতার পুনরাবৃত্তি হবে না বলে আশা করছি।’
যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এবারও হাঁটতে হবে কিছুটা সাশ্রয়ী পন্থায়।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসেন বলেন, ‘পুরোপুরি গরম পড়েনি। এ অবস্থায়ই ৫শ মেগাওয়াট লোডশেডিং হচ্ছে। বৈশ্বিক সংকট চলছে। সেই সঙ্গে আমাদের দেশে চলছে ডলার সংকট। এ কারণে হয়তো সরকার বিদ্যুতের সম্পূর্ণ চাহিদা মেটাতে পারবে না। লোডশেডিং সরকারকে করতেই হবে। এটা সাশ্রয় করার একটা উপায়।’
প্রসঙ্গত, বর্তমানে দেশে ২৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা থাকলেও মূল বাধা জ্বালানি সংকট, সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থার সীমাবদ্ধতা।
Leave a Reply