একাত্তরের মার্চেই শুরু সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। নতুন পতাকা, স্বাধীনতার ঘোষণা, কালরাত সব মিলিয়ে মার্চের প্রতিটি দিনই অগ্নিঝরা। ২৫শে মার্চ গণহত্যার প্রেক্ষাপটে স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু। এর আগে ৭ই মার্চ রেসকোর্সে বাঙালিকে সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান জাতির পিতা।
৪৭-এ দেশভাগের পর থেকেই বঞ্চনার শুরু। ৫২, ৫৪, ৬৬, ৬৯-এ নানা বাঁক-বদলে মুক্তির মন্ত্রে উজ্জীবিত হয় বাঙালি। ৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয় পেলেও ক্ষমতায় বসতে পারেনি। বরং গণহত্যার নীল নকশা করে পাকিস্তানি সামরিক শাসক।
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ বলেন, একাত্তরের ১ মার্চ ইয়াহিয়া খান রেডিওতে ভাষণ দিয়ে ৩ মার্চের গণপরিষদের সাধারণ অধিবেশন স্থগিত করেন। প্রতিবাদে গর্জে ওঠে পুরো দেশ। ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’ স্লোগানে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ। ৭ই মার্চ জাদুকরি ভাষণে সশস্ত্র সংগ্রামের রূপরেখা দেন জাতির পিতা। ডাক দেন স্বাধীনতার।
বীর মুক্তিযোদ্ধা মনোরঞ্জন ঘোষাল বলেন, ২৫শে মার্চ অপারেশন সার্চ লাইট নামে গণহত্যা শুরু করে পাকিস্তানিরা। ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন।
মার্চে শুরু হয়ে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর বিশ্ব মানচিত্রে জন্ম হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের।
Leave a Reply