ভূমিকম্পের ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও জীবিত উদ্ধার হচ্ছে, তবে সে সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কমে এসেছে। সময় যত বাড়ছে তত কমছে জীবিত উদ্ধারের আশা। তারপরও থেমে নেই উদ্ধারকারীদের চেষ্টা।
ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ভেসে আসে শিশুর আর্তচিৎকার। কান্নার আওয়াজ শুনে উদ্ধারকর্মীরা তুরস্কের একটি বিধ্বস্ত ভবনের নিচ থেকে ১৪০ ঘণ্টা পর বের কেরে আনেন ৭ মাসের শিশুকে। হাতায়া প্রদেশে ৭ বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করা হয় ১৩৬ ঘণ্টা
সবশেষ তথ্য অনুযায়ী তুরস্কে ২৯ হাজার ৬০৫ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আর সিরিয়ার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্পে দেশটিতে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন।
ভূমিকম্পের ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনও জীবিত উদ্ধার হচ্ছে, তবে সে সংখ্যা আগের তুলনায় অনেক কমে এসেছে। সময় যত বাড়ছে তত কমছে জীবিত উদ্ধারের আশা। তারপরও থেমে নেই উদ্ধারকারীদের চেষ্টা।
ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে ভেসে আসে শিশুর আর্তচিৎকার। কান্নার আওয়াজ শুনে উদ্ধারকর্মীরা তুরস্কের একটি বিধ্বস্ত ভবনের নিচ থেকে ১৪০ ঘণ্টা পর বের কেরে আনেন ৭ মাসের শিশুকে। হাতায়া প্রদেশে ৭ বছরের এক শিশুকে উদ্ধার করা হয় ১৩৬ ঘণ্টা পর।
ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও চাপা পড়ে আছে বহু মানুষ। আর এতে করে এ পর্যন্ত যত মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে সে সংখ্যা দ্বিগুণ বা এর চেয়ে বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সমন্বয়কারী মার্টিন গ্রিফিথস।
তবে যারা গৃহহীন হয়েছেন তাদের অবস্থাও শোচনীয়। তীব্র ঠান্ডা, খাদ্য, পানি, জ্বালানি সংকটে কোন রকমে দিন পার করছেন তারা। বয়স্ক ও শিশুদের অবস্থা বেশি খারাপ। এ অবস্থায় তাদের স্বাস্থ্যঝুঁকির আশংকা করা হচ্ছে।
৬ ফেব্রুয়ারির ৪৫ সেকেন্ডের ভূমিকম্পের পর আরও ২৩ শ’র বেশি আফটার শক হয়েছে বলে জানিয়েছে ভূতাত্বিক জরিপ সংস্থা। এতে যেসব ভবন এখনও অক্ষত আছে সেগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর আগে ১৯৩৯ সালে দেশটিতে শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে অন্তত ৩৩ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।
এদিকে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত তুরস্ক ও সিরিয়ার নাগরিকদের জরুরি ভিত্তিতে সাময়িক ভিসা দেয়ার কথা জানিয়েছে জার্মানি। জার্মানিতে বসবাসরত অভিবাসীদের ক্ষতিগ্রস্ত আত্মীয়দের খাদ্য, বাসস্থান ও চিকিৎসাসেবা দিতে এ পদক্ষেপ নিচ্ছে বার্লিন।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) জার্মানির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ন্যান্সি ফিজার বলেন, এটি একটি জরুরি সহায়তা। তুরস্ক ও সিরিয়ার যেসব পরিবার জার্মানিতে আছে, কোনো জটিলতা ছাড়াই দুর্যোগকবলিত এলাকা থেকে নিজেদের আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে আসতে পারবে। তাদের দ্রুত ভিসা দেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, নিয়মিত প্রক্রিয়ায় এ ভিসা দেয়া হবে। তবে এই ভিসার মেয়াদ হবে তিন মাস।
Leave a Reply