1. admin@kishorganjeralo.com : kishorganjeralo.com :
  2. admin@shadinota.net : shadinota net : shadinota net
ব্রেকিং নিউজ :

ওয়াশিংটনের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে বাংলাদেশের পাশে ভারত

  • আপডেট সময় : শনিবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ৭১ বার পঠিত

ওয়াশিংটনের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে বাংলাদেশের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারত। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থাকায় রাশিয়ার উরসা মেজর নামে জাহাজটি পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া বন্দরে নোঙর করে বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম পণ্য খালাস করবে। এরপর ‍উভয় দেশের বাণিজ্যিক চুক্তির আওতায় সেগুলো বাংলাদেশে আনা হবে। এতে দিল্লির কোনো আপত্তি নেই বলে জানানো হয়েছে।

সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রীতিমতো ঘোষণা দিয়ে জানিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রাশিয়ার কোনো জাহাজ ভারতে প্রবেশ করে পণ্য খালাস করলে, তাতে দিল্লির কোনো আপত্তি নেই। রাশিয়ার উরসা মেজর নামের জাহাজে বাংলাদেশের পাবনার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ সরঞ্জাম রয়েছে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়ার বেশ কয়েকটি সংস্থাকে কালো তালিকাভুক্ত করে বাইডেন প্রশাসন। সে তালিকায় নাম ছিল রাশিয়ার এই জাহাজ সংস্থারও।যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এই জাহাজকে নোঙর করতে না দিতে বাংলাদেশকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল পেন্টাগন। বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সে জন্য উরসা মেজরকে পণ্য খালাস করার অনুমতি দেয়ার মধ্যদিয়ে পাশে দাঁড়াল ভারত। দিল্লির এমন ভূমিকা নজিরবিহীন, বলছেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও বর্ষীয়ান সাংবাদিক সুবীর ভৌমিক।তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে বাংলাদেশকে বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে যে ‘তুমি বিপদে পড়েছো, আমি তোমাকে উদ্ধার করলাম।’ এখন আমেরিকানদের তো সবকিছু নিয়েই আপত্তি। এখন ওরা রাশিয়াকে চাপে রাখার চেষ্টা করছে। বিশেষ করে তারা রাশিয়ার এনার্জি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে বেশি চাপ দেয়ার চেষ্টা করছে। তাছাড়া ভারতের বেশির ভাগ বড় বড় নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টও রাশিয়ার। সুতরাং এখানে যেন আমেরিকানরা নতুন করে কোনো গোলযোগ করতে না পারে, সে জন্য ভারত আগে থেকেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে।ভারতের এই সিদ্ধান্ত কূটনৈতিকভাবে এ উপমহাদেশের জন্য তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করেন এ সাংবাদিক।

সুবীর ভৌমিক বলেন, ভারত একসঙ্গে কিন্তু তিনটি ইঙ্গিত দিচ্ছে। প্রথমত মার্কিনিদের। দ্বিতীয়ত, রাশিয়ানদের বুঝিয়ে দেয়া যে, ‘ভাই, আমরা তোমাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব রক্ষা করতে ইচ্ছুক। আমরা আমাদের পলিসি অনুসারে তোমাদের থেকে তেলও কিনব, আবার তোমাদের জিনিস আরেক দেশে আসছিল, আমরা সেটিও রাস্তা করে দিচ্ছি, ট্রানজিটের ব্যবস্থা করে দিচ্ছি।’

জানা গেছে, ঘন কুয়াশার কারণে পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুরের হলদিয়া বন্দরে রাশিয়ার উরসা মেজর জাহাজটি এখনও প্রবেশ করতে পারেনি। তবে বৈরী আবহাওয়া স্বাভাবিক হলেই বন্দরে নোঙর করে পণ্য খালাস শুরু করবে। এরপরই সড়ক কিংবা নৌপথে ভারত-বাংলাদেশের বাণিজ্যিক চুক্তির আওতায় সেই পণ্য বাংলাদেশে পৌঁছাবে।

গত ১৪ নভেম্বর জাহাজটি রাশিয়ার পিটার্সবার্গ থেকে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য পণ্য নিয়ে বাংলাদেশের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। তবে বাদ সাধে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস। তাদের দাবি, স্পার্টা-৩ নামের নিষেধাজ্ঞা আরোপিত রাশিয়ান জাহাজটি রং ও নাম পাল্টে চালানো হচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চোখরাঙানি উপেক্ষা করে ভারত মূলত তিনটি বার্তা দিয়েছে বলে মনে করছেন ভারতীয় বিশ্লেষকরা। এক. মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দাদাগিরি কোনোভাবেই মেনে নেবে না দিল্লি। দুই. একই সঙ্গে রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের যে বন্ধুত্ব, সেই বন্ধুত্বে কোনো ধরনের চিড় ধরুক, সেটিও চায় না নয়াদিল্লি। তিন. ঐতিহাসিক ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককেও চিরজীবী করতে চাইছে দিল্লি।

সংবাদটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই রকম আরো কিছু জনপ্রিয় সংবাদ

© All rights reserved © 2022 shadinota.net
Design & Development By Hostitbd.Com