বহু বছরের জড়তা ঝেড়ে ফেলে জার্মানি ২০২২ সালে বিশাল কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের সাক্ষী হয়েছে৷ বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সরকারকে পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা নীতি ঢেলে সাজাতে হয়েছে৷
দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের নেতৃত্বে জার্মানি বিশ্ব মঞ্চে যথেষ্ট সম্মান ও সম্ভ্রম আদায় করতে পারলেও প্রয়োজনীয় ও সাহসি সংস্কারের অভাবে দেশটির অনেক ক্ষেত্র বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছিল৷ ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রয়োগের ধীর গতি থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর বেহাল অবস্থার উন্নতি থমকে ছিল৷ ২০২১ সালের শেষে ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বে তিনটি দলের জোট সরকার জার্মানির লাগাম ধরার পর অনেক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের আশা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল৷ সেই ‘অগ্রসর হবার জোট’ সেই লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচিও ঘোষণা করেছিল৷ ২০২২ সালের শেষে তার কতটুকু বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে?
দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের নেতৃত্বে জার্মানি বিশ্ব মঞ্চে যথেষ্ট সম্মান ও সম্ভ্রম আদায় করতে পারলেও প্রয়োজনীয় ও সাহসি সংস্কারের অভাবে দেশটির অনেক ক্ষেত্র বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছিল৷ ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রয়োগের ধীর গতি থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর বেহাল অবস্থার উন্নতি থমকে ছিল৷ ২০২১ সালের শেষে ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বে তিনটি দলের জোট সরকার জার্মানির লাগাম ধরার পর অনেক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের আশা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল৷ সেই ‘অগ্রসর হবার জোট’ সেই লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচিও ঘোষণা করেছিল৷ ২০২২ সালের শেষে তার কতটুকু বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে?
ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো জার্মানিও গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার ফলে বিহ্বল হয়ে পড়েছে৷ সব হিসেব গোলমাল করে ইউরোপের একটি দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে ওঠায় শলৎসের সরকারকেও দ্রুত এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, যা কিছুকাল আগেও প্রায় অকল্পনীয় ছিল৷ জার্মান সংসদে এক ভাষণে ‘যুগান্তকারী পরিবর্তন’-এর উল্লেখ করে শলৎস সেনাবাহিনীর সংস্কারের জন্য ১,০০০ কোটি ইউরো অংকের এককালীন ব্যয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেন৷ সেইসঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র সরবরাহ না করার অতীত নীতি ত্যাগ করে ইউক্রেনের জন্য একের পর এক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি৷
দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর ধরে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলের নেতৃত্বে জার্মানি বিশ্ব মঞ্চে যথেষ্ট সম্মান ও সম্ভ্রম আদায় করতে পারলেও প্রয়োজনীয় ও সাহসি সংস্কারের অভাবে দেশটির অনেক ক্ষেত্র বেশ দুর্বল হয়ে পড়েছিল৷ ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রয়োগের ধীর গতি থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর বেহাল অবস্থার উন্নতি থমকে ছিল৷ ২০২১ সালের শেষে ওলাফ শলৎসের নেতৃত্বে তিনটি দলের জোট সরকার জার্মানির লাগাম ধরার পর অনেক ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তনের আশা উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল৷ সেই ‘অগ্রসর হবার জোট’ সেই লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচিও ঘোষণা করেছিল৷ ২০২২ সালের শেষে তার কতটুকু বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে?
ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতো জার্মানিও গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার হামলার ফলে বিহ্বল হয়ে পড়েছে৷ সব হিসেব গোলমাল করে ইউরোপের একটি দেশের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে ওঠায় শলৎসের সরকারকেও দ্রুত এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে, যা কিছুকাল আগেও প্রায় অকল্পনীয় ছিল৷ জার্মান সংসদে এক ভাষণে ‘যুগান্তকারী পরিবর্তন’-এর উল্লেখ করে শলৎস সেনাবাহিনীর সংস্কারের জন্য ১,০০০ কোটি ইউরো অংকের এককালীন ব্যয়ের কর্মসূচি ঘোষণা করেন৷ সেইসঙ্গে যুদ্ধক্ষেত্রে অস্ত্র সরবরাহ না করার অতীত নীতি ত্যাগ করে ইউক্রেনের জন্য একের পর এক অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জার্মানি৷
বছরের পর বছর ধরে জ্বালানির ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপর অতিরিক্ত নির্ভরতা কাটিয়ে জার্মানির সরকার প্রায় রাতারাতি বিকল্প নীতি গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে৷ বিশেষ করে গ্যাসের জোগান নিশ্চিত করতে অ্যামেরিকা ও কাতারের মতো দেশ থেকে জাহাজে করে তরল গ্যাস আমদানির পথ প্রশস্ত করেছে৷ জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ২০২২ সালে পরমাণু শক্তি পুরোপুরি ত্যাগের ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত কয়েক মাসের জন্য মুলতুবি রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চ্যান্সেলর শলৎস৷
Leave a Reply